ঢাকা, বাংলাদেশ   মঙ্গলবার ২৩ এপ্রিল ২০২৪, ১০ বৈশাখ ১৪৩১

বিপাকে চাকরি প্রার্থীরা

জামালপুরে দুই বিভাগের নিয়োগ পরীক্ষা একই সময়ে

প্রকাশিত: ০৪:১১, ২৬ এপ্রিল ২০১৬

জামালপুরে দুই বিভাগের নিয়োগ পরীক্ষা একই সময়ে

নিজস্ব সংবাদদাতা, জামালপুর, ২৫ এপ্রিল ॥ জেলা প্রশাসক ও পুলিশ সুপার কার্যালয়ের ‘অফিস সহকারী কাম-মুদ্রাক্ষরিক’ পদে নিয়োগের লিখিত পরীক্ষায় অংশগ্রহণ নিয়ে বিপাকে পড়েছে অনেক চাকরি প্রার্থী। জামালপুর জেলা প্রশাসক ও পুলিশ সুপার কার্যালয়ের ‘অফিস সহকারী কাম-মুদ্রাক্ষরিক’ পদের আবেদনকারীরা জানায়, জামালপুর জেলা প্রশাসকের কার্যালয় থেকে ‘অফিস সহকারী কাম-মুদ্রাক্ষরিক’ পদে নিয়োগের জন্য কিছুদিন আগে বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হয়। এর কিছুদিন পর জামালপুর জেলার পুলিশ সুপার কার্যালয়ে ‘অফিস সহকারী কাম-মুদ্রাক্ষরিক’ পদে নিয়োগের জন্য পৃথক বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করে। ওই দুটি নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি পেয়ে শত শত বেকার যুবক উভয় বিভাগের ‘অফিস সহকারী কাম-মুদ্রাক্ষরিক’ পদে নিয়োগ পেতে পৃথক আবেদন করে। প্রার্থীরা আরও জানায়, জেলা প্রশাসকের কার্যালয় থেকে ‘অফিস সহকারী কাম-মুদ্রাক্ষরিক’ পদে নিয়োগের জন্য আগামী ২৯ এপ্রিল শুক্রবার সকাল ১০টায় সরকারী জাহেদা সফির মহিলা কলেজ কেন্দ্রে লিখিত পরীক্ষার তারিখ পুনর্নির্ধারিত হয়েছে। অপরদিকে পুলিশ সুপার কার্যালয়ের ‘অফিস সহকারী কাম-মুদ্রাক্ষরিক’ পদে নিয়োগের জন্যও ২৯ এপ্রিল শুক্রবার সকাল ১০টায় শহীদ জিয়াউর রহমান ডিগ্রী কলেজ কেন্দ্রে লিখিত পরীক্ষার তারিখ নির্ধারিত হয়েছে। সেই হিসেবে জেলা প্রশাসক ও পুলিশ সুপার কার্যালয়ের ‘অফিস সহকারী কাম-মুদ্রাক্ষরিক’ পদে নিয়োগের লিখিত পরীক্ষা একই দিন একই সময়ে অনুষ্ঠিত হবে। এতে বিপাকে পড়েছে উভয় বিভাগে চাকরি প্রার্থীরা। জেলা প্রশাসক ও পুলিশ সুপার কার্যালয়ের পৃথক নিয়োগ প্রক্রিয়ায় দুই বিভাগের ‘অফিস সহকারী কাম-মুদ্রাক্ষরিক’ পদে নিয়োগের জন্য পৃথক দুটি কেন্দ্রে প্রার্থীদের লিখিত পরীক্ষার তারিখ একই দিন একই সময় নির্ধারিত হওয়ায় বিপাকে পড়েছে প্রার্থীরা। উভয় বিভাগের লিখিত ও মৌখিক পরীক্ষা পৃথক পৃথক তারিখে অনুষ্ঠানের জন্য চাকরি প্রার্থীরা কর্তৃপক্ষের কাছে অনুরোধ করেছে। ৭ বছর কারাভোগ শেষে বাংলাদেশী ভাইবোনকে ফেরত দিল বিএসএফ সংবাদদাতা, দামুড়হুদা, চুয়াডাঙ্গা, ২৫ এপ্রিল ॥ সাত কারাভোগের পর দামুড়হুদা উপজেলার দর্শনা সীমান্তে ৭ বছর কারাভোগ শেষে পতাকা বৈঠকের মাধ্যমে দুই বাংলাদেশী ভাইবোনকে বিজিবির কাছে ফেরত দিয়েছে বিএসএফ। সোমবার দেড়টার দিকে তাদের ফেরত দেয়া হয়। বিজিবি জানায়, দিনাজপুর জেলার বিরল উপজেলার শংকরপুর গ্রামের দ্বিনেশ চন্দ্র রায়ের কন্যা শ্রীমতি চায়না রায় (১৭) ও তার ছোটো ভাই হৃদয় রায় (১১) ২০০৮ সালের প্রতারণার শিকার হয়ে কাজের প্রলোভনে সীমান্তের ওপারে পাচার হয়। ভারতের বহরমপুর জেলার রাধিকাপুর বিএসএফ এর হাতে আটক হলে সংশ্লিষ্ট থানায় সোপর্দ করা হয় তাদের। পুলিশের মাধ্যমে তাদের আদালতে প্রেরণ করা হলে অপ্রাপ্তবয়স্ক হওয়ায় বহরমপুর আনন্দাশ্রম সেফ হোমে রাখা হয়েছিল। পরে তাদের স্বীকারোক্তি মোতাবেক নিজ আবাসস্থলের কথা বললে দু’দেশের সমন্বয়ের ভিত্তিতে নদীয়া জেলার কৃষ্ণনগর থানার গেদে বিএসএফ ক্যাম্পে পাঠানো হয়।
×