ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ২৮ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০

ধরা পড়লেও প্রভাবশালীদের হস্তক্ষেপে রক্ষা পেয়ে যায়

বগুড়ার শিবগঞ্জে চোরের উপদ্রব ॥ পুলিশ নীরব

প্রকাশিত: ০৪:০৫, ২৬ এপ্রিল ২০১৬

বগুড়ার শিবগঞ্জে চোরের উপদ্রব ॥ পুলিশ নীরব

স্টাফ রিপোর্টার, বগুড়া অফিস ॥ শিবগঞ্জের কয়েকটি এলাকায় চুরি ও ছিনতাই এতটাই বেড়েছে যে দিনের বেলাতেও মানুষ চুরির শঙ্কা কাটাতে পারছে না। বিশেষ করে আমতলি বাজার ও আশপাশের এলাকায় চোরের দল একত্রিত হয়ে চোর সিন্ডিকেট গড়ে তুলেছে। এমনও অবস্থা হয়, চুরি করে ধরা পড়লেও প্রভাবশালীদের হস্তক্ষেপে চোর পার পেয়ে যায়। চোরের উৎপাত বেড়ে যাওয়ার পরও আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী কর্তৃপক্ষ কোন এক কারণে নীরব ভূমিকা পালন করে। এতে এলাকার লোক পুলিশের ওপর আস্থা হারাতে বসেছে। বিষয়টি পুলিশ প্রশাসনের কর্তাদের নজরে আনলে তারাও কোন ব্যবস্থা নেয় না। আমতলি এলাকার লোকজন জানায়, কিছুদিন ধরে আমতলি বন্দরের দোকান ও ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে চুরি হচ্ছে। বাসাবাড়িতে দিন দুপুরে চোর ঢুকে মালামাল চুরি করে নিয়ে যায়। শ্রমজীবী লোকের অটোভ্যান রিক্সা ঠেলাগাড়ি চুরি হয়ে যাচ্ছে। রাইসমিলের বৈদ্যুতিক মোটর অটোরিক্সাভ্যানের ব্যাটারি চুরি হচ্ছে। শিবগঞ্জের পূর্বজাহাঙ্গিরাবাদ কাজীতলা এলাকার মোঃ সোহেল রানা শিবগঞ্জ থানায় চুরির এজাহার দিয়েও মালামাল উদ্ধার করতে পারেননি। এপ্রিলের প্রথম দিকে গভীর রাতে আমতলি বন্দরে তার প্রতিষ্ঠানের ওপরের টিন ও হার্ডবোর্ড কেটে বিপুল অঙ্কের মালামাল নিয়ে যায়। আমতলি এলাকার রওশন আলী চুরি থেকে রক্ষা পেতে থানায় সাধারণ ডায়েরি করেছেন। এর আগে তার প্রতিষ্ঠানের ওয়েল্ডিং মেশিনসহ বিপুল মালামাল চুরি হয়। চুরির ঘটনা যত ঘটে তার এক শতাংশ থানায় রেকর্ড হয় না। চোরের খপ্পরে পড়া লোকজনের কথা; থানা পুলিশ করে কী হবে! আজ পর্যন্ত এমন কোন দৃষ্টান্ত নেই যে থানা পুলিশ চোরদের ধরে মালামাল উদ্ধার করে দিতে পেরেছে। থানায় ডায়েরি ও চুরির এজাহার দায়েরের পর পুলিশ এখন পর্যন্ত কোন চোর ধরতে পারেনি। এমনও দেখা গেছে চিহ্নিত সন্ত্রাসী ও চোর পুলিশের সামনে ঘুরে বেড়ায়। এক প্রবীণ বললেন, যাদের কাজ দুষ্কৃতদের দমন করা তাদের সামনেই যখন দুষ্কৃতরা ঘুরে বেড়ায় তখন চোর পুলিশ খেলা ছাড়া আর কি বলা যায়। এদিকে চুরির সঙ্গে পাল্লা দিয়ে ছিনতাই বেপরোয়াভাবে বেড়েছে। বিশেষ করে মহাস্থান শিবগঞ্জ সড়কে সন্ধ্যা রাতে পথ চলতে ছিনতাইকারীদের ভয়ে গা শিউরে ওঠে।
×