ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০

অস্ত্রসহ গ্রেফতার চার

টঙ্গীতে শ্রমিক-ছিনতাইকারী সংঘর্ষ ॥ আহত ১২

প্রকাশিত: ০৪:০৫, ২৬ এপ্রিল ২০১৬

টঙ্গীতে শ্রমিক-ছিনতাইকারী সংঘর্ষ ॥ আহত ১২

নিজস্ব সংবাদদাতা, টঙ্গী, ২৫ এপ্রিল ॥ সোমবার সকালে পরিবহন শ্রমিক, পুলিশ ও ছিনতাইকারীদের মধ্যে ত্রিমুখী সংঘর্ষে দুই পুলিশ কর্মকর্তাসহ ১০-১২ জন আহত হয়েছে। পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে ম্যাগাজিনসহ ৪ রাউন্ড গুলি, একটি বিদেশী রিভলবার ও বিপুল পরিমাণ দেশী ধারালো অস্ত্রসহ চার সন্ত্রাসীকে গ্রেফতার করেছে। আহত পুলিশ কর্মকর্তা হলেন টঙ্গী শিল্প পুলিশের পরিদর্শক (ওসি) জামান ও টঙ্গী মডেল থানার এসআই বেলাল। সংঘর্ষ চলাকালে ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়কে ১০-১২টি গাড়ি ভাংচুর করা হয়। এ সময় এক ঘণ্টা মহাসড়কে যানবাহন চলাচল বন্ধ থাকে। পুলিশ, প্রত্যক্ষদর্শী ও পরিবহন শ্রমিকরা জানান, ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়ক ও আশপাশের বিভিন্ন শাখা সড়কে ট্রাক পরিবহন শ্রমিকরা প্রতিদিনই ছিনতাইকারীর কবলে পড়ে। ছিনতাইকারী চক্র অস্ত্রের মুখে ট্রাক পরিবহন শ্রমিকদের নগদ টাকা ও মোবাইল সেট ছিনিয়ে নেয়। বিশেষ করে টঙ্গী-মেঘনা রোডে রাতে যেমন-তেমন দিনের বেলাতেই চলে ছিনতাই। সড়কের পাশে গাড়ি পার্কিং করে ছিনতাইকারীদের ভয়ে আতঙ্কে থাকে ট্রাক-কাভার্ডভ্যান চালক ও শ্রমিকরা। কারখানায় মালামাল ডেলিভারি দিয়ে ভাড়া নিয়ে নিরাপদে ফিরতে পারে না তারা। সোমবার সকাল ১০টায় মেঘনা রোডে এক ট্রাকচালককে ছুরিকাঘাত করে টাকা ছিনিয়ে নেয় ছিনতাইকারীরা। এ সময় হাতেনাতে এক ছিনতাইকারীকে ধরে ট্রাক টার্মিনালে নিয়ে আটকে রাখে পরিবহন শ্রমিকরা। পরে ছিনতাইকারী চক্রের সদস্যরা সংঘবদ্ধ হয়ে রাম দা, চাপাতি, ছোরা ও আগ্নেয়াস্ত্র নিয়ে টঙ্গীর চেরাগআলী মার্কেট সংলগ্ন ট্রাকস্ট্যান্ডের বিপরীত পাশে কথিত দরবারে জড়ো হয় এবং ট্রাক টার্মিনালে হামলা চালিয়ে আটক ছিনতাইকারীকে ছাড়িয়ে নেয়ার প্রস্তুতি নেয়। খবর পেয়ে ট্রাক শ্রমিকরা লাঠিসোটা নিয়ে ছিনতাইকারীদের ধাওয়া দেয়। এ সময় উভয়পক্ষের মধ্যে ধাওয়া পাল্টাধাওয়া শুরু হয়। সংঘর্ষ চলাকালে ১০-১২টি গাড়ি ভাংচুর ও প্রায় এক ঘণ্টা মহাসড়কে যানবাহন চলাচল বন্ধ থাকে। খবর পেয়ে পুলিশ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনার চেষ্টাকালে শিল্প পুলিশের পরিদর্শক (ওসি) জামান ও টঙ্গী থানার এসআই বেলাল আহত হন। এ সময় পরিবহন শ্রমিক ও পুলিশের ধাওয়া খেয়ে ছিনতাইকারীরা কথিত দরবারের ভেতর অস্ত্রশস্ত্র ফেলে পালিয়ে যায়। গাইবান্ধায় স্ত্রী হত্যার দায়ে স্বামীর যাবজ্জীবন নিজস্ব সংবাদদাতা, গাইবান্ধা, ২৫ এপ্রিল ॥ সাঘাটা উপজেলার পদুমশহর ইউনিয়নের টেপা পদুমশহর চরপাড়া গ্রামের আফছার আলীর ছেলে সাজু মিয়াকে স্ত্রী শহিদা বেগমকে হত্যার দায়ে যাবজ্জীবন ও ১০ হাজার টাকা জরিমানা অনাদায়ে আরও ১ বছরের সশ্রম কারাদ- প্রদান করা হয়েছে। অতিরিক্ত দায়রা জজ শরিফুল ইসলাম সোমবার এই রায় প্রদান করেন। জানা গেছে, ২০০৮ সালে সৌদি আরব থেকে বাড়ি ফিরে এসে ওই উপজেলার টেপা পদুমশহর গ্রামের আজগর আলীর মেয়ে শহিদা বেগমকে বিয়ে করে। পরবর্তীতে আসামি সাজু মিয়া বিভিন্ন মহিলার সঙ্গে পরকীয়ায় জড়িয়ে পড়ে এবং স্ত্রীর সঙ্গে দুর্ব্যবহার শুরু করে। এর জের ধরে ২০১৩ সালের ৮ মে স্ত্রী শহিদা বেগমের সঙ্গে স্বামী সাজু মিয়ার বিবাদের সূত্রপাত হলে বাড়ির শয়নকক্ষে সকাল ১০টায় একপর্যায়ে সাজু মিয়া ধারালো ছোরা দ্বারা শহিদাকে উপর্যুপরি ছুরিকাঘাত করে। এতে শহিদা ঘটনাস্থলেই নিহত হয়।
×