ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ১৮ এপ্রিল ২০২৪, ৫ বৈশাখ ১৪৩১

রবিবার মৌসুমের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ৪১ ডিগ্রী সেলসিয়াস

প্রকাশিত: ০৮:৩৩, ২৫ এপ্রিল ২০১৬

রবিবার মৌসুমের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ৪১ ডিগ্রী সেলসিয়াস

স্টাফ রিপোর্টার ॥ মৌসুমের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড হয়েছে রবিবার। এদিন যশোরে রেকর্ড হয় ৪১ ডিগ্রী সেলসিয়াস। গত শনিবার চুয়াডাঙ্গায় রেকর্ড হয়েছিল ৪০.৬ ডিগ্রী সেলসিয়াস। এবার ঢাকায় বইতে শুরু করেছে মাঝারি ধরনের তাপপ্রবাহ। ঢাকার সর্বোচ্চ তাপমাত্রাও ৩৬ থেকে বেড়ে গিয়ে ৩৯ ডিগ্রী সেলসিয়াসে পৌঁছে গেছে। আর দু’ এক ডিগ্রী সেলসিয়াস বৃদ্ধি পেলেই ঢাকা ও সারাদেশের বিশ বছরের তাপমাত্রা বৃদ্ধির রেকর্ড ভেঙ্গে যাবে। গত কয়েক সপ্তাহ ধরে দাবদাহে পুড়ছে সারাদেশ। আবহাওয়ার ব্যতিক্রম আচরণে বিব্রত অবস্থায় পড়েছেন দেশের আবহাওয়াবিদরা। অধিদফতরের পূর্বাভাসে চলতি মাসে দেশে স্বাভাবিক অপেক্ষা কিছুটা বেশি বৃষ্টিপাত হওয়ার কথা বলা হয়েছে। সৃষ্টি হতে পারে নিম্নচাপ, ঘূর্ণিঝড় ও তীব্র তাপপ্রবাহ। কিন্তু তাপপ্রবাহ ছাড়া আবহাওয়া অধিদফতরের কোন পূর্বাভাসই বাস্তবে রূপ নিচ্ছে না। চলতি মাসের আর মাত্র ক’টা দিন বাকি রয়েছে। মাঠ প্রান্তর খাঁ খাঁ করছে। আজ সোমবারও বয়ে যাবে তাপপ্রবাহ। আবহাওয়া অধিদফতর জানায়, আজ সোমবার সিলেট ও চট্টগ্রাম বিভাগের কিছু কিছু জায়গায় এবং বরিশাল বিভাগের দু’এক জায়গায় অস্থায়ী দমকা/ঝড়ো হাওয়াসহ বৃষ্টি অথবা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে। সেই সঙ্গে বিক্ষিপ্তভাবে শিলাবৃষ্টি হতে পারে। এছাড়া দেশের অন্যত্র আকাশ অস্থায়ীভাবে আংশিক মেঘলাসহ আবহাওয়া প্রধানত শুষ্ক থাকতে পারে। ফরিদপুর, রাজশাহী, মংলা, সাতক্ষীরা, যশোর ও চুয়াডাঙ্গা অঞ্চলসমূহের ওপর দিয়ে তীব্র তাপপ্রবাহ এবং চাঁদপুর, নোয়াখালী ও শ্রীমঙ্গল অঞ্চলসহ রংপুর ও বরিশাল বিভাগ এবং ঢাকা, রাজশাহী এবং খুলনা বিভাগের অবশিষ্টাংশের ওপর দিয়ে মৃদু থেকে মাঝারি ধরনের তাপপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে। এ তাপপ্রবাহ পরিস্থিতি অব্যাহত থাকতে পারে। রবিবার ঢাকার সর্বোচ্চ ও সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড হয় যথাক্রমে ৩৯ ও ২৮.৪ ডিগ্রী সেলসিয়াস। আবহাওয়া অফিস জানায়, ২০০৯ সালে দেশের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা যশোরে ৪৩ দশমিক ২ ডিগ্রী সেলসিয়াস রেকর্ড হয়। ২০০৮ সালের এপ্রিলে সারাদেশের তাপমাত্রা যশোরে ৪২ দশমিক ৮ ডিগ্রী সেলসিয়াস রেকর্ড হয়। এর আগে দেশের সর্বোচ্চ তাপমাত্রার রেকর্ড রয়েছে ৪৫ দশমিক ১ ডিগ্রী সেলসিয়াস। ১৯৭২ সালের ২৮ মে রাজশাহীতে এ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়। যশোরে ১৯৬০ সালের ৩০ এপ্রিল সর্বোচ্চ তাপমাত্রা উঠেছিল ৪৩ দশমিক ৩ ডিগ্রী সেলসিয়াস। ১৯৮৯ সালে বগুড়ায় ৪৪ ডিগ্রী এবং ১৯৯৫ সালের ২০ এপ্রিল রেকর্ড হয়েছিল ৪২ দশমিক ৭ ডিগ্রী সেলসিয়াস।
×