ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১

মুস্তাফিজ কির্তীতে অভিভূত ক্রিকেট বিশ্ব

প্রকাশিত: ০৬:৩৬, ২৫ এপ্রিল ২০১৬

মুস্তাফিজ কির্তীতে অভিভূত ক্রিকেট বিশ্ব

স্পোর্টস রিপোর্টার ॥ ‘মুস্তাফিজ, মুস্তাফিজ’ চিৎকার উঠল গ্যালারিতে! বাংলাদেশ জাতীয় দলের তরুণ এ বাঁহাতি পেসার ইতোমধ্যেই তারকা বনে যাওয়াতে সেটাই স্বাভাবিক। কিন্তু ভিনদেশের মাটিতে গ্যালারি থেকে ক্রিকেটপ্রেমী দর্শকদের এমন চিৎকার সত্যিই অভিভূত করবার মতোই। চলমান ইন্ডিয়ান প্রিমিয়ার লীগে (আইপিএল) আরও বড় ত্রাসে পরিণত হচ্ছেন মুস্তাফিজুর রহমান। ব্যাটসম্যানদের ধুম-ধাড়াক্কা ব্যাটিংয়ের দারুণ ক্ষেত্র টি২০ ক্রিকেট। তেমন ম্যাচেও ৪ ওভারে ১ মেডেনসহ মাত্র ৯ রানে ২ উইকেট নিয়ে সানরাইজার্স হায়দরাবাদের জয়ে ভূমিকা রেখেছেন। সে কারণেই রাজিব গান্ধী আন্তর্জাতিক স্টেডিয়ামে মুস্তাফিজ নামে সেøাগান দিলেন ভারতীয় দর্শকরা। সেটা ম্যাচ শেষে যখন সেরা খেলোয়াড়ের পুরস্কার নিতে এসেছেন তখনও করেছেন ক্রিকেট সমর্থকরা। পুরো ম্যাচজুড়েই ধারাভাষ্যকার, ক্রিকেট বিশ্লেষক এবং নিজ দলের অধিনায়ক ডেভিড ওয়ার্নারের প্রশংসায় ভেসেছেন মুস্তাফিজ। তার বোলিংয়ের ক্যারিশমায় অভিভূত সবার কণ্ঠেই বিস্ময় প্রকাশ পেয়েছে। ক্রমেই ব্যাটসম্যানদের জন্য দুর্বোধ্য হয়ে উঠছেন মুস্তাফিজ। এবি ডি ভিলিয়ার্স, ব্রেন্ডন ম্যাককুলাম, শেন ওয়াটসন, ডেভিড মিলার, গ্লেন ম্যাক্সওয়েল, বিরাট কোহলি কেউ বাদ পড়েননি। সবার কাছেই সমীহ আদায় করে নিয়েছেন বাঁহাতি মুস্তাফিজ। সতীর্থরা এখন তাকে সংক্ষিপ্ত করে ডাকেন ‘ফিজ’ বলে। ইংরেজি শব্দ ‘ফিজ’ অর্থ হিসহিস করা! মৌখিকভাবে সেটা কখনও করেন না, উইকেট পেয়ে গেলেও বাড়তি উল্লাস প্রকাশ করেন না; কিন্তু গতিময় মুস্তাফিজ প্রতিপক্ষ ব্যাটসম্যানদের জন্য হয়ে গেছেন মূর্তিমান আতঙ্ক। তিনি বোলিং করতে আসলেই যে কোন ব্যাটসম্যান যেন বিষাক্ত সর্পের ‘হিসহিস’ শুনতে পান, কারণ প্রতিটি বলেই ভিন্ন মাত্রার বিষ ছড়িয়ে দিতে পারঙ্গম মুস্তাফিজ। ব্রহ্মাস্ত্র হিসেবে আছে নিখুঁত ছদ্মবেশে দেয়া ‘সেøায়ার’ এবং কাটার। এর সঙ্গে সুইং এবং নানাবিধ বৈচিত্র্যে পরিপূর্ণ মুস্তাফিজের বোলিং। সেটার ভয়ানক শিকার হলো শনিবার কিংস ইলেভেন পাঞ্জাব। প্রথম ওভারেই মেডেন দিয়ে শুরু করা মুস্তাফিজ মাত্র ৩ ওভারে দেন ৩ রান। শেষ ওভারে দেন ৬ রান। তাকে কোন বাউন্ডারি হাঁকাতে পারেননি কেউ। অথচ দলের অন্য তিন পেসার ভুবনেশ্বর কুমার, বারিন্দার স্রান ও ময়সেস হেনরিক্স ওভারপ্রতি দিয়েছেন ৮ রানের বেশি করে। সেখানে মুস্তাফিজের ১৭ বল থেকে রানই করতে পারেননি পাঞ্জাবের ব্যাটসম্যানরা। এ কারণেই ম্যাচ চলার সময় বাংলাদেশ বিদ্বেষী দুই ধারাভাষ্যকার নভজ্যোত সিং সিধু এবং রমিজ রাজার কণ্ঠেও প্রশংসা ও বিস্ময় ঝরে পড়ে। রমিজ বলেন, ‘মুস্তাফিজ মানেই জাদু।’ পুরো ম্যাচ জুড়ে ধারাভাষ্যকারদের প্রশংসায় ভেসেছেন মুস্তাফিজ। ফরাসী লীগ কাপে চ্যাম্পিয়ন পিএসজি স্পোর্টস রিপোর্টার ॥ চ্যাম্পিয়ন্স লীগের কোয়ার্টার ফাইনাল থেকে ছিটকে পড়লেও ঘরোয়া আসরগুলোতে রীতিমতো উড়ছে প্যারিস সেইন্ট জার্মেইন (পিএসজি)। গত মাসে রেকর্ড ম্যাচ হাতে থাকতে ফরাসী লীগ ওয়ানের শিরোপা ঘরে তোলার পর এবার ফরাসী লীগ কাপে চ্যাম্পিয়ন হয়েছে পিএসজি। শনিবার রাতে আসরের ফাইনালে লিলেকে ২-১ গোলে পরাজিত করে লরেন্ট ব্লাঙ্কের পিএসজি। পিএসজির শিরোপা জয়ের নায়ক দুই আর্জেন্টাইন। দলের জয়ে দু’টি গোল করেন আর্জেন্টিনার অ্যাঞ্জেল ডি মারিয়া ও জ্যাভিয়ের পাস্টোরে। লিলের একমাত্র গোলদাতা জিবরিল সিডিবে। স্তাডে ডি ফ্রান্সে ম্যাচের শুরু থেকেই আধিপত্য বিস্তার করে খেলতে থাকে পিএসজি। তবে গোল পেতে বেশ সংগ্রাম করতে হয় ব্লাঙ্কের শিষ্যদের। অবশেষে ৪০ মিনিটে এগিয়ে যায় তারা। অসাধারণ এক ভলি থেকে গোল করেন জ্যাভিয়ের পাস্টোরে। বিরতির পরপরই (৪৯ মিনিট) দৃষ্টিনন্দন গোলে লিলেকে সমতায় ফেরান সিডিবে। ২২ মিটার দূর থেকে নেয়া ফ্রিকিক থেকে লক্ষ্যভেদ করেন তিনি। এর পরই বিপদে পড়ে পিএসজি। দুুই হলুদ কার্ড দেখে মাঠ ছাড়তে হয় পিএসজির মিডফিল্ডার আদ্রিয়ান রাবিওকে। কিন্তু এই সুযোগ কাজে লাগাতে পারেনি প্রথমবারের মতো লীগ কাপের ফাইনালে খেলা লিলে। উল্টো ম্যাচের ৭৪ মিনিটে ডি মারিয়ার অসাধারণ গোলে শিরোপার স্বাদ পায় পিএসজি। বক্স ছেড়ে বেরিয়ে আসা লিলে গোলরক্ষক ভিনসেন্ট এনাইয়েমাকে ফাঁকি দিয়ে বল জালে জড়ান আর্জেন্টিনার এ্যাটাকিং মিডফিল্ডার। শেষ পর্যন্ত এই গোলেই শিরোপা নিশ্চিত হয় পিএসজির। এ নিয়ে টানা তৃতীয়বারের মতো লীগ কাপের শিরোপা জিতল তারা। আসরে সর্বোচ্চ ছয়বার চ্যাম্পিয়নের স্বাদ পেয়েছে প্যারিসের দলটি। আগামী ২১ মে ফরাসী কাপের ফাইনালে মার্শেইকে হারালে ঘরোয়া ফুটবলের ট্রেবল জয়ের কৃতিত্ব দেখাবে পিএসজি। ম্যাচ শেষে শিরোপা জেতায় শিষ্যদের প্রশংসায় ভাসান পিএসজি কোচ লরেন্ট ব্লাঙ্ক। তিনি বলেন, আমার খেলোয়াড়েরা ১১ জনের বিরুদ্ধে ১০ জন নিয়ে খেলেছে। এই শিরোপাটা তাই অসাধারণ। এখন আমরা ২১ মে ফরাসী কাপ জিতে শেষ করতে চাই। এটাই হবে আমাদের জন্য মধুর সমাপ্তি। তিনি আরও বলেন, ইতোমধ্যে আমরা লীগ কাপ জিতেছি। আমার বিশ্বাস, খেলোয়াড়েরা ফরাসী কাপও জিততে মরিয়া থাকবে। এদিকে দশজনের পিএসজিকে হারাতে না পেরে হতাশ লিলে। দলটির উইঙ্গার বউফল বলেন, এটা অনেক কষ্টের, হতাশার। আমরা সবাই বিরক্ত, হতাশ। ইতোমধ্যে ফরাসী লীগ ওয়ানের শিরোপা জিতেছে পিএসজি। গত মাসে ট্রয়েসকে উড়িয়ে দিয়ে টানা চতুর্থবারের মতো ফরাসী লীগ ওয়ানের শিরোপা জেতার আনন্দ করে পিএসজি। ফ্রান্সের লীগ ওয়ানে সবচেয়ে কম ম্যাচ খেলে চ্যাম্পিয়ন হওয়ার নতুন রেকর্ড এটি। শুধু তাই নয়, ইউরোপের সেরা পাঁচ লীগে সবচেয়ে কম ম্যাচ ও বেশিদিন হাতে রেখে চ্যাম্পিয়ন হওয়ার রেকর্ড এটি। নিজেদের ৩০ নম্বর ম্যাচেই শিরোপা নিশ্চিত করেছে লরেন্ট ব্লাঙ্কের দল। লীগে রেকর্ড আট ম্যাচ ও সময়ের হিসেবে ৬২ দিন অর্থাৎ দুই মাসেরও বেশি সময় আগে চ্যাম্পিয়নশিপ নিশ্চিত করেছে পিএসজি। ব্যাঙ্গালুরুকে হারিয়ে শীর্ষে গুজরাট কোহলির সেঞ্চুরি ভেস্তে স্পোর্টস রিপোর্টার ॥ দারুণ এক হার না মানা সেঞ্চুরি, হলেন ম্যাচসেরাও। অপরাজিত সেঞ্চুরির পরও হাসতে পারেননি বিরাট কোহলি। কারণ পঞ্চম ম্যাচে তৃতীয় হার দেখেছে দল রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স ব্যাঙ্গালুরু। রবিবার রাজকোটে অনুষ্ঠিত ম্যাচে স্বাগতিক গুজরাট লায়ন্স জিতেছে ৬ উইকেটে। প্রথম ব্যাট করে ব্যাঙ্গালুরু গড়ে তুলেছিল ২ উইকেটে ১৮০ রানের বড় সংগ্রহ। জবাবে ১৯.৩ ওভারে ৪ উইকেট হারিয়ে ১৮২ রান তুলে নিজেদের চতুর্থ জয় তুলে নেয় গুজরাট। এবার ইন্ডিয়ান প্রিমিয়ার লীগের (আইপিএল) শুরু থেকেই দুর্দান্ত খেলতে থাকা নবাগত গুজরাট হ্যাটট্রিক জয়ের পর গত ম্যাচে হেরে গিয়েছিল সানরাইজার্স হায়দরাবাদের কাছে। আবারও জয়ের ধারায় ফিরল তারা। ৫ ম্যাচে ৪ জয়ে ৮ পয়েন্ট নিয়ে এখন শীর্ষে তারা। আর ব্যাঙ্গালুরু ৫ ম্যাচে ২ জয়ে ৪ পয়েন্ট নিয়ে থাকল ৫ নম্বরে। আগে ব্যাট হাতে নেমে ব্যাঙ্গালুরু দ্বিতীয় ওভারেই ইনিংস উদ্বোধন করতে নামা শেন ওয়াটসন (৬) ফিরে যান। তবে এবি ডি ভিলিয়ার্সের সঙ্গে দ্বিতীয় উইকেটে ৫১ রান যোগ করেন কোহলি। ভিলিয়ার্স ১৬ বলে ২০ রান করে সাজঘরে ফেরেন। ওপেনার লোকেশ রাহুল এদিন চার নম্বরে নেমে কোহলিকে দারুণ সঙ্গ দিয়ে ৩৫ বলে ৪ চার ও ৩ ছক্কায় ৫১ রানের হার না মানা ইনিংস খেলেন। সেঞ্চুরি হাঁকান কোহলি। এটি চলতি আসরের দ্বিতীয় সেঞ্চুরি। কুইন্টন ডি কক দিল্লী ডেয়ার ডেভিলসের হয়ে শতক হাঁকিয়েছিলেন ব্যাঙ্গালুরুর বিরুদ্ধে। তৃতীয় উইকেটে যোগ হয় মাত্র ৭৪ বলে ১২১ রান। সে কারণেই রানের পাহাড়ে ওঠে ব্যাঙ্গালুরু। কোহলি ৬৩ বলে ১১ চার ও ১ ছক্কায় ১০০ রানে অপরাজিত থাকেন। মাত্র ২ উইকেট হারিয়ে ১৮০ রান তোলে ব্যাঙ্গালুরু। জবাব দিতে নেমে প্রথম থেকেই ঝড় তোলেন গুজরাটের দুই ওপেনার। ৪৭ রানের জুটি গড়েন তারা মাত্র ৩২ বলে। ডোয়াইন স্মিথ ২১ বলে ৩ চার ও ২ ছক্কায় ৩২ রান করার পর কেন রিচার্ডসনের বলে সাজঘরে ফেরেন। এরপর ব্রেন্ডন ম্যাককুলাম-সুরেশ রায়না জুটি আরও ৪০ রান যোগ করে। ম্যাককুলাম ২৪ বলে ৫ চার ও ২ ছক্কায় ৪২ রান করে আউট হয়ে যান। জয়ের পথে দারুণভাবেই এগুচ্ছিল গুজরাট। রায়নাও সাজঘরে ফিরলে কিছুটা কঠিন হয়ে যায় পরিস্থিতি। কিন্তু দিনেশ কার্তিক দুর্দান্ত ব্যাটিং করে দলকে জিতিয়ে মাঠ ছাড়েন। তিনি ৩৯ বলে মাত্র ৩ চারে ৫০ রানে অপরাজিত থাকেন। ৩ বল হাতে থাকতেই ৪ উইকেট হারিয়ে ১৮২ রান তুলে জয় ছিনিয়ে নেয় গুজরাট। স্কোর ॥ রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স ব্যাঙ্গালুরু ইনিংস- ১৮০/২; ২০ ওভার (কোহলি ১০০*, লোকেশ ৫১*, ভিলিয়ার্স ২০, ওয়াটসন ৬; টাম্বে ১/২৪, কুলকার্নি ১/৩৯)। গুজরাট লায়ন্স ইনিংস- ১৮২/৪; ১৯.৩ ওভার (কার্তিক ৫০*, ম্যাককুলাম ৪২, ডোয়াইন ৩২, রায়না ২৮; শামসি ১/২১, ওয়াটসন ১/৩১)। ফল ॥ গুজরাট লায়ন্স ৬ উইকেটে জয়ী। ম্যাচসেরা ॥ বিরাট কোহলি (ব্যাঙ্গালুরু)। ফাইনালে ম্যানইউ স্পোর্টস রিপোর্টার ॥ অতিরিক্ত সময়ের শেষ মিনিটে (৯০+৩) দারুণ এক গোল করে ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডকে এফএ কাপের ফাইনালে তুললেন এ্যান্টনি মার্শাল। কেননা তার এই গোলেই যে শনিবার লুইস ভ্যান গালের ম্যানইউ ২-১ গোলে হারায় শক্তিশালী এভারটনকে। ইংল্যান্ডের ঐতিহ্যবাহী ওয়েম্বলি স্টেডিয়ামে এদিন এফএ কাপের সেমিফাইনালে এভারটনের মুখোমুখি হয় ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড। তবে প্রতিপক্ষের বিপক্ষে প্রথম এগিয়ে যায় লুইস ভ্যান গালের দলই। ম্যাচের ৩৪ মিনিটে মারোয়ানি ফেলাইনির গোলে আনন্দ-উল্লাসে ভাসে ম্যানইউ সমর্থকরা। আর তার এই গোলেই এগিয়ে থেকে বিরতিতে যায় ম্যানইউ। কিন্তু ম্যাচের ৭৫ মিনিটে নিজেদের জালেই গোল করে বসেন ম্যানইউর ক্রিস স্ম্যালিং। তার আত্মঘাতী গোলে সমতায় ফিরে এভারটন। কিন্তু অতিরিক্ত সময়ে গোল করে শেষ পর্যন্ত ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডকে দারুণ জয় উপহার দেন ফরাসী তারকা এ্যান্টনি মার্শাল। এই জয়ের ফলে ২০০৭ সালের পর এবারই প্রথম এফএ কাপের ফাইনালে ওঠে ম্যানইউ। শিরোপা জয়ের লড়াইয়ে তাদের প্রতিপক্ষ এখন ক্রিস্টাল প্যালেস কিংবা ওয়ার্টফোর্ড। ইংলিশ ফুটবলের সবচেয়ে সফল দল ম্যানইউ। কিন্তু সাম্প্রতিক সময়ে একেবারেই নিষ্প্রভ রেডডেভিলরা। বিশেষ করে স্যার এ্যালেক্স ফার্গুসনের বিদায়ের পর থেকেই আর কোন শিরোপা জিততে পারেনি তারা। তবে এবার ইংলিশ ফুটবলের ঐতিহ্যবাহী টুর্নামেন্ট এফএ কাপের ফাইনালের টিকেট নিশ্চিত করে শিরোপা-খরা ঘুচানোর স্বপ্ন দেখছে ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডের ভক্ত-অনুরাগীরা। এ বছরই বিসিবি ‘এ্যাওয়ার্ড নাইট’ স্পোর্টস রিপোর্টার ॥ ৭ বছর আগে ২০০৯ সালে একবার ‘এ্যাওয়ার্ড নাইট’ করার হুজুক উঠেছিল। কিন্তু সেই পর্যন্তই। মুখে মুখেই ‘এ্যাওয়ার্ড নাইট’ আটকে গেছে। বাস্তবে আর রূপ নেয়নি। এবার বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি) সেই উদ্যোগ আবার নিচ্ছে। এ বছরই ‘এ্যাওয়ার্ড নাইট’ করার চেষ্টা করছে। বিসিবির পরিচালক ও মিডিয়া কমিটির চেয়ারম্যান জালাল ইউনুস রবিবার তাই জানালেন, ‘এ্যাওয়ার্ড নাইট অনেক দিন ধরে হচ্ছে না। ঘরোয়া ও আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে যারা ভাল খেলেছেন তাদের এ বছর পুরস্কৃত করা হবে। সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে।’ ক্রিকেটারদের কৃতিত্ব স্বীকৃতি দেয় বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান, ক্রীড়া সংবাদিকদের সংগঠন। আইসিসির বর্ষসেরাদের কাতারেও ঠাঁই হয় বাংলাদেশ ক্রিকেটারদের। কিন্তু সেই ২০০৬ সালের পর থেকে খোদ দেশের ক্রিকেটের নিয়ন্ত্রক সংস্থা বিসিবিই ক্রিকেটারদের কৃতিত্বের স্বীকৃতি দেয় না। সর্বশেষ ২০০৫ ও ২০০৬ সালে টানা দুইবছর জমকালো আয়োজনের মধ্য দিয়ে ক্রিকেটারদের স্বীকৃতি দেয় বিসিবি। এরপর আর সেই রাতের দেখাই মিলেনি। ১০ বছর পর আবার বিসিবির ঘুম ভেঙ্গেছে। চেলসির জয়ের দিনে লিভারপুলের হোঁচট স্পোর্টস রিপোর্টার ॥ ইংলিশ প্রিমিয়ার লীগে বড় জয় পেয়েছে চেলসি। শনিবার তারা ৪-১ গোলে হারায় ব্রমউইচকে। তবে ঘরের মাঠ এ্যানফিল্ডে হোঁচট খেয়েছে লিভারপুল। নিউক্যাসেল ইউনাইটেডের সঙ্গে ২-২ গোলের ব্যবধানে ড্র নিয়ে মাঠ ছেড়েছে অলরেডরা। ব্রমউইচের বিপক্ষে চেলসির হয়ে জোড়া গোল করেছেন ইডেন হ্যাজার্ড। বাকি গোল দুটি করেন উইলিয়ান ও পেদ্রো। ব্রমউইচের পক্ষে একটি গোল শোধ দেন এলপিক। অপরদিকে লিভারপুলের পক্ষে গোলের দেখা পেয়েছেন এ্যাডাম ললানা ও ড্যানিয়েল স্টারিজ। জবাবে নিউক্যাসেলের হয়ে গোল দুটি শোধ দেন সিসে ও কোলব্যাক। এর আগে এদিন বড় জয়ে শুরু করে ম্যানচেস্টার সিটি। ঘরের মাঠ ইত্তিহাদ স্টেডিয়ামে তারা ৪-০ গোলে উড়িয়ে দিয়েছে স্টোক সিটিকে। এই জয়ে আর্সেনালকে পেছনে ফেলে পয়েন্ট তালিকায় তৃতীয় স্থানে উঠে এসেছে ম্যানসিটি। ৩৫ ম্যাচে ৬৪ পয়েন্ট তাদের। ঘরের মাঠে ৩৫ মিনিটেই লিড নেয় ম্যানচেস্টার সিটি। গোলটি করেন ফার্নান্দো। ৪৩ মিনিটে ব্যবধান দ্বিগুণ করেন ম্যানসিটির আর্জেন্টাইন স্ট্রাইকার সার্জিও এ্যাগুয়েরো। পেনাল্টি থেকে দক্ষতার সঙ্গে লক্ষ্যভেদ করেন তিনি। প্রথমার্ধে দুই গোলে এগিয়ে থেকেই বিরতিতে যায় ম্যানসিটি। দ্বিতীয়ার্ধে ম্যানসিটির হয়ে চমক দেখান তরুণ খেলোয়াড় কেলেচি হিয়ানাচো। তিনিই করেন বাকি দুটি গোল। ৬৪ মিনিটে প্রথম গোল করার দশ মিনিট পর তার দ্বিতীয় গোলটি করেন তিনি। শেষ পর্যন্ত ৪-০ গোলের অনায়াস জয় নিয়েই মাঠ ছাড়ে ম্যানচেস্টার সিটি। উৎসবের অপেক্ষা বেয়ার্নের স্পোর্টস রিপোর্টার ॥ হার্থা বার্লিনকে ২-০ গোলে হারিয়ে জার্মান বুন্দেসলিগায় শিরোপার সুবাস পাচ্ছে বেয়ার্ন মিউনিখ। শনিবার রাতে চিলির মিডফিল্ডার আর্টুরো ভিদাল ও ব্রাজিলিয়ান মিডফিল্ডার ডগলাস কোস্টার গোলে টানা ষষ্ঠ জয় তুলে নেয় পেপ গার্ডিওলার দল। আগামী শনিবার মিউনিখের এ্যালিয়েঞ্জ এ্যারানায় নিজেদের পরবর্তী ম্যাচে বরুসিয়া মনশেনগ্লাডব্যাচকে হারলেই টানা চতুর্থ শিরোপা জয়ের রেকর্ড গড়বে বেয়ার্ন। বর্তমানে ৩১ ম্যাচে ৮১ পয়েন্ট নিয়ে শীর্ষে বেয়ার্ন। সমান ম্যাচে দ্বিতীয় স্থানে থাকা বরুসিয়া ডর্টমুন্ডের পয়েন্ট ৭৪। ৩৪ পর্বের লীগে পরের ম্যাচ জিতলেই শিরোপা অক্ষুণœ থাকবে বাভারিয়ানদের। হার্থার মাঠে প্রথমার্ধে কোন গোল পায়নি অতিথি বেয়ার্ন। রিবতির পর ৪৮ মিনিটে মারিও গোয়েটজের পাসে বল পেয়ে বক্সের বাইরে থেকে চিলির মিডফিল্ডার ভিদালের নেয়া শট হার্থার এক খেলোয়াড়ের শরীরে লেগে দিক পাল্টে জালে জড়ায়। ৭৯ মিনিটে মরক্কোর ডিফেন্ডার বেনাটিয়ার পাস থেকে ব্যবধান দ্বিগুণ করেন ডগলাস কোস্টা। আরেক ম্যাচে স্টুটগার্টকে ৩-০ গোলে হারায় বরুসিয়া ডর্টমুন্ড। স্টুটগার্টের মাঠে ২১ মিনিটে বরুসিয়াকে এগিয়ে দেয়া গোলটি করেন জাপানের শিনজি কাগওয়া। বাঁ প্রান্ত থেকে আর্মেনিয়ার মিডফিল্ডার হেনরিখ মিখিটিরিয়ানের পাসে বল জালে জড়ান জাপানের এই ফরোয়ার্ড। প্রথমার্ধের শেষ মুহূর্তে ব্যবধান দ্বিগুণ করেন যুক্তরাষ্ট্রের মিডফিল্ডার ক্রিশ্চিয়ানা পুলিসিচ। ডর্টমুন্ডের তিন নম্বর গোল করেন মিখিটিরিয়ান।
×