ঢাকা, বাংলাদেশ   বুধবার ২৪ এপ্রিল ২০২৪, ১১ বৈশাখ ১৪৩১

পদ্মা সেতুর নির্মাণ কাজ ’১৮ সালের মধ্যে শেষ হবে ॥ ও. কাদের

প্রকাশিত: ০৬:৩২, ২৫ এপ্রিল ২০১৬

পদ্মা সেতুর নির্মাণ কাজ ’১৮ সালের মধ্যে শেষ হবে ॥ ও. কাদের

সংসদ রিপোর্টার ॥ ২০১৮ সালের মধ্যে বহুল আলোচিত পদ্মা সেতুর নির্মাণ কাজ শেষ হবে। এর আগে এ সেতু নির্মাণ নিয়ে প্রধানমন্ত্রী কথা কম বলে কাজ বেশি করার নির্দেশ দিয়েছেন বলে জানিয়েছেন সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের। রবিবার দশম জাতীয় সংসদের দশম অধিবেশনে এক সম্পূরক প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী এ কথা বলেন। ওই সময় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা উপস্থিত ছিলেন। বিকেল ৫টায় স্পীকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে অধিবেশন শুরু হয়। মন্ত্রী বলেন, মাননীয় প্রধানমন্ত্রী আমাদের পদ্মা সেতু নিয়ে কম কথা বলার কথা স্মরণ করিয়ে দিয়েছেন। আমাদের শুধু দ্ইু মাস পর পর একটা আপডেট দিতে বলেছেন। কাজেই এই বিষয়টা নিয়ে আমরা কম কথা বলতে চাই শুধু বেশি বেশি করে কাজ করতে চাই। সে লক্ষ্য নিয়েই পদ্মা সেতুর নির্মাণ কাজ এগিয়ে চলছে। সেতু মন্ত্রী বলেন, ২০১৮ সালের মধ্যে প্রধানমন্ত্রীর প্রতিশ্রুতি অনুযায়ী পদ্মা সেতুর নির্মাণ কাজ শেষ হবে। আমরা সেই এজেন্ডা থেকে একদিনেও পিছিয়ে নেই। এ পর্যন্ত পদ্মা সেতুর ৩৩ শতাংশ কাজের অগ্রগতি হয়েছে। আর ৯টি পাইলিংয়ের কাজ শেষ হয়েছে। ‘আজ এই পর্যন্ত থাক’ বলে সম্পূরক প্রশ্নের ইতি টানেন সেতুমন্ত্রী। সংসদীয় আসনে একটি রাস্তার কাজ নিয়ে আওয়ামী লীগের সংসদ সদস্য নবী নেওয়াজের অপর এক সম্পূরক প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী বলেন, ‘তুচ্ছ-তাচ্ছিল্যভাবে কোন কাজ আমরা করি না। যা করি আন্তরিকভাবে করি। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার প্রতিশ্রুতি মানে আমাদের প্রতিশ্রুতি। আমরা প্রতিশ্রুতি থেকে কাজ করি, সদিচ্ছা থেকে কাজ করি। অনেক সময় নানা ধরনের সীমাবদ্ধতা থাকে। সে জন্য হয়ত সকল কাজ সমানভাবে এগিয়ে যায় না। আপনার রাস্তার ব্যাপারে আপনি অনেকবার বলেছেন এবং রাস্তাটিকে ভালভাবে মেরামত করার জন্য প্রয়োজনীয় প্রস্তুতি নিয়েছি। আপনি মন্ত্রণালয়ে আসবেন। আপনাকে জানিয়ে দেয়া হবে।’ রেলের ৪ হাজার ৩৯১ একর ভূমি দখলে সরকারী-বেসরকারী বিভিন্ন সংস্থা জড়িত ॥ বাংলাদেশ রেলওয়ের ৪ হাজার ৩৯১ একর ভূমি অবৈধ দখলে রয়েছে বলে জানিয়েছেন রেলপথমন্ত্রী মোঃ মুজিবুল হক। এসব ভূমি দখলে সরকারী-বেসরকারী বিভিন্ন সংস্থাও জড়িত রয়েছে বলে জানান তিনি। প্রশ্নোত্তর পর্বে জাতীয় পার্টির সংসদ সদস্য সালমা ইসলামের প্রশ্নের জবাবে এ তথ্য জানান মন্ত্রী। মন্ত্রীর দেয়া তথ্যানুযায়ী, বর্তমানে বাংলাদেশ রেলওয়ের পূর্বাঞ্চলে প্রায় ১ হাজার ৪ দশমিক ১২ একর এবং পশ্চিমাঞ্চলে প্রায় ৩ হাজার ৩৮৭ দশমিক ২৭ একর, মোট ৪ হাজার ৩৯১ দশমিক ২৭ একর ভূমি অবৈধ দখলে রয়েছে। এর মধ্যে সরকারী/ আধাসরকারী/ স্বায়ত্তশাসিত প্রতিষ্ঠানের অবৈধ দখলভুক্ত রেলভূমির পরিমাণ ৯২২ দশমিক ৩৪ একর। বেসরকারী প্রতিষ্ঠান/ব্যক্তির অবৈধ দখলভুক্ত রেলভূমির পরিমাণ ৩ হাজার ৩৭৮ দশমিক ২২ একর এবং ধর্মীয়/শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের অবৈধ দখলভুক্ত রেলভূমির পরিমাণ ৯০ দশমিক ৮৩ একর। মন্ত্রী জানান, উচ্ছেদের মাধ্যমে রেলভূমি দখলমুক্ত করা হয়। রেলওয়ের বিভাগীয় ভূ-সম্পত্তি কর্মকর্তা স্থানীয় প্রশাসন, আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী এবং রেলওয়ের অন্যান্য বিভাগের সার্বিক সহযোগিতা নিয়ে উচ্ছেদ কার্যক্রম পরিচালনা করে থাকে। ২০১৫ সালের অক্টোবর থেকে চলতি বছরের মার্চ পর্যন্ত রেলওয়ের উভয় অঞ্চলে মোট ১৩২ দশমিক ১৯ একর রেলভূমি উচ্ছেদের মাধ্যমে দখলমুক্ত করা হয়েছে।
×