ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০

সাঁথিয়ায় মূর্তিমান আতঙ্কের নাম আলমাছ বাহিনী

প্রকাশিত: ০৪:০০, ২৫ এপ্রিল ২০১৬

সাঁথিয়ায় মূর্তিমান আতঙ্কের নাম আলমাছ বাহিনী

নিজস্ব সংবাদদাতা, পাবনা, ২৪ এপ্রিল ॥ মূর্তিমান আতঙ্কের নাম আলমাছ বাহিনী। সাঁথিয়ার কাশিনাথপুর অঞ্চলের ৭০ হাজার মানুষ আলমাছ বাহিনীর হাতে জিম্মি হয়ে পড়েছে। এই বাহিনীর সদস্যদের বিরুদ্ধে ডাকাতি, লুট, চুরি, ভাংচুর, ধর্ষণ, অপহরণসহ বিভিন্ন অপরাধে দায়ের ২৯টি মামলা আদালতে বিচারাধীন রয়েছে। কয়েকটি মামলায় আদালতের গ্রেফতারি পরোয়ানা সাঁথিয়া থানায় চাপা পড়ে আছে। পুলিশ বলছে, আসামিদের খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না। অথচ এলাকাবাসীদের অভিযোগ, আসামিরা সাঁথিয়া থানা পুলিশের সঙ্গে গভীর সখ্য গড়ে তোলায় পুলিশ তাদের গ্রেফতার করছে না। অভিযোগে জানা যায়, সাঁথিয়া উপজেলার কাশিনাথপুর ইউনিয়নের ছাতক, নালীপর্বত, কাবারিরকোলা, সোনাকুড়া সাঁটিয়াকোলা, বরাট, করিয়াল, হুইখালী, মেহেকল্যানপুর, মানপুর, রামভাদ্রবার্টি, উৎরাইল, আতরশোভা, গোপালপুর, চন্ডিপুর, চরকাবারিকোলা, মেহেদিনগর, কলাগাছি, পাইকরহাটি, হাসানপুর, শ্রীধরকোলা, কাশিনাথপুর বাজার, এদ্রাকপুরসহ ৩০টি গ্রামের ৭০ হাজার মানুষ আলমাছ বাহিনী হাতে জিম্মি হয়ে দূর্বিসহ জীবন কাটাচ্ছে। পাবনার সাঁথিয়া উপজেলার কাশিনাথপুর ইউনিয়নের ছাতকবরাট গ্রামে আলমাছের বাড়ি। এলাকায় তার একটি সন্ত্রাসী বাহিনী রয়েছে। এই বাহিনীর সদস্য ইসলাম, শাহিন, শিহাব, আশরাফ, সৈকত, সোহাগ, সুরুজ, রিগান, ইয়াকুব, জালাল, বাবু, জসিম গংদের অত্যাচার নির্যাতনে এলাকাবাসী অতিষ্ঠ। এই বাহিনীর সদস্যরা এলাকায় ত্রাসের রাজত্ব কায়েম করেছে। তাদের ডাকাতি, লুট, চুরি, ভাংচুর, খুন, ধর্ষণ, অপহরণসহ বিভিন্ন অপরাধ কর্মকা-ে স্থানীয়দের রাতের ঘুম হারাম হয়ে গেছে। আলমাছ ও তার বাহিনীর সদস্যদের বিরুদ্ধে ২৯টি জিআর মামলা বিচারাধীন রয়েছে। তারপরও তারা রয়ে গেছে ধরাছোঁয়ার বাইরে।
×