স্টাফ রিপোর্টার, বাগেরহাট ॥ নৌ-শ্রমিকদের কর্মবিরতির চতুর্থ দিন রবিবারেও মংলা বন্দরে আমদানি-রাফতানি এবং নৌ-পথে পণ্য পরিবহন বন্ধ রয়েছে। নৌ-শ্রমিকদের কর্মবিরতির করণে জাহাজ থেকে পণ্য খালাস না হওয়ায় আমদানিকারককে জাহাজ ভাড়া বাবদ প্রতিদিন ৫ হাজার ডলার করে অতিরিক্ত গুনতে হচ্ছে। ফলে বড় ধরনের আর্থিক ক্ষতির মুখে পড়ছেন আমদানিকারকরা।
১৫ দফা দাবিতে বুধবার মধ্যরাত থেকে বাংলাদেশ নৌযান পরিবহন শ্রমিক ফেডারেশন সারাদেশে অনির্দিষ্টকালের কর্মবিরতি শুরু করে। তবে ২২ এপ্রিল রাত থেকে যাত্রীবাহী লঞ্চ চলাচল শুরু হলেও দাবি আদায়ে সকল পণ্য পরিবহনের অন্যান্য নৌযানের কর্মবিরতি অব্যাহত রাখে।
এদিকে নৌ-শ্রমিকদের কর্মবিরতির কারণে বন্দরে অবস্থানরত জাহাজ (মাদার ভ্যাসেল) থেকে পণ্য খালাস ও নদী পথে দেশের বিভিন্ন গন্তব্যে পণ্য পরিবহন বন্ধ থাকায় বড় ধরনের আর্থিক ক্ষতির মুখে পড়েছে আমদানিকারক ও ব্যবসায়ীরা।
বাংলাদেশ নৌযান শ্রমিক ফেডারেশন মংলা শাখার কার্যকরী সভাপতি আনোয়ার হোসেন চৌধুরী বলেন, কেবল যাত্রীবাহী নৌযান চলাচল করলেও লাইটারেজ, কার্গো, বার্জ, অয়েল ট্যাঙ্কার, কোস্টারসহ সব ধরনের পণ্যবাহী নৌযানের শ্রমিকরা কর্মবিরতি পালন করছে। ফলে রবিবারও মংলা বন্দরসহ সারাদেশে পণ্যবাহী নৌযান চলাচল বন্ধ রয়েছে।
আরো পড়ুন
শীর্ষ সংবাদ: