ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১

রমজানে পণ্যের কৃত্রিম সঙ্কট সৃষ্টি করলে ব্যবস্থা

প্রকাশিত: ০৩:৫১, ২৫ এপ্রিল ২০১৬

রমজানে পণ্যের কৃত্রিম সঙ্কট সৃষ্টি করলে ব্যবস্থা

অর্থনৈতিক রিপোর্টার ॥ আগামী রমজান মাসে ভোগ্যপণ্যের কৃত্রিম সঙ্কট সৃষ্টি করা হলে আমদানিকারকদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেয়া হবে বলে জানিয়েছেন বাণিজ্যমন্ত্রী তোফায়েল আহমেদ। তিনি আরও বলেছেন, বর্তমানে বাজারে পণ্যের পর্যাপ্ত মজুদ রয়েছে। পাশাপাশি পণ্যের পর্যাপ্ত সরবরাহ রয়েছে। আশা করি রমজানে নিত্যপণ্যের দাম স্বাভাবিক থাকবে। রবিবার বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ে ভোগ্যপণ্যের সরবরাহ ও মজুদ পরিস্থিতি নিয়ে আমদানিকারকদের সঙ্গে অনুষ্ঠিত বৈঠকে বাণিজ্যমন্ত্রী তোফায়েল আহমেদ এসব কথা বলেন। বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, দেশে নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের পর্যাপ্ত মজুদ ও সরবরাহ রয়েছে। চাহিদার চেয়ে কয়েকগুণ বেশি পণ্য দেশে মজুদ রয়েছে। তাই আসন্ন পবিত্র রমজান মাসে কোন পণ্যের সঙ্কট হওয়ার সম্ভাবনা নেই। যদি অসদুদ্দেশ্যে কোন মহল পণ্যের কৃত্রিম সঙ্কট সৃষ্টি বা মূল্য বৃদ্ধির চেষ্টা করে, তাদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। তিনি বলেন, বিগত দিনে ব্যবসায়ীরা আন্তরিকতার সঙ্গে দায়িত্বশীল ভূমিকা রেখেছেন। এবারও ব্যবসায়ীরা ঘোষণা দিয়েছেন, রমজান মাসে কোন পণ্যের সঙ্কট বা অস্বাভাবিক মূল্য বৃদ্ধি ঘটবে না। সকল পণ্য সাধারণ মানুষের ক্রয়ক্ষমতার মধ্যে থাকবে। পণ্যের সরবরাহ চেন স্বাভাবিক রাখতে সরকার চাহিদা মোতাবেক সব ধরনের সহযোগিতা প্রদান করবে। আমদানিকারক ও সরবরাহকারীরা দায়িত্বশীল ভূমিকা রাখবে। প্রয়োজনে টিসিবি পর্যাপ্ত পণ্য বাজারে সরবরাহ করবে, সে মোতাবেক প্রস্তুতি গ্রহণ করা হয়েছে। সরকারের বিভিন্ন সংস্থা বাজার মনিটরিং অব্যাহত রেখেছে। তোফায়েল আহমেদ বলেন, বর্তমানে দেশে চাল, আটা, চিনি, ভোজ্যতেল, ডাল, লবণ, পেঁয়াজ, রসুন, আদা, হলুদ ও খেজুরের পর্যাপ্ত মজুদ রয়েছে। চাহিদার তুলনায় কয়েকগুণ বেশি পণ্য মজুদ রয়েছে। নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্য সাধারণ মানুষের ক্রয়ক্ষমতার মধ্যে রাখতে সরকার সব ধরনের পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে। ইতোপূর্বে সরকার ব্যবসায়ীদের আন্তরিক সহযোগিতায় সফলভাবে পরিস্থিতি মোকাবেলা করেছে। এবারও বাজার পরিস্থিতি স্বাভাবিক থাকবে। বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব হেদায়েতুল্লাহ আল মামুনের সভাপতিত্বে ওই সভায় বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব (আমদানি) নাজনিন বেগম, অতিরিক্ত সচিব (প্রশাসন) মোঃ সালাহ উদ্দিন আকবর, টিসিবির চেয়ারম্যান ব্রি. জে. সালেহ এবং বাংলাদেশ ব্যাংক, জাতীয় রাজস্ব বোর্ড এনবিআর, চিনি ও খাদ্য শিল্প কর্পোরেশন, খাদ্য মন্ত্রণালয় এবং এনএসআইয়ের প্রতিনিধিগণ উপস্থিত ছিলেন। এছাড়া ব্যবসায়ী উদ্যোক্তাদের মধ্যে এস আলম গ্রুপের সিনিয়র মহাব্যবস্থাপক কাজী সালাহ উদ্দিন আহাম্মদ, ঢাকা মেট্রোপলিটন মাংস ব্যবসায়ী সমিতির কার্যকরী সভাপতি কাজী আনোয়ার হোসেন, এসএস গ্রুপের ব্যবস্থাপক মোঃ সাসেল হোসাইন, বাংলাদেশ লবণ মিলস মালিক সমিতির সহ-সভাপতি মোসতাক হায়দার চৌধুরী, টিকে গ্রুপের জেনারেল ম্যানেজার মোঃ শফিউল আহমদ তছলিম, মেঘনা গ্রুপের উপদেষ্টা এমএইচ মুন্সী সভায় উপস্থিত ছিলেন।
×