অনলাইন ডেস্ক॥ বাংলাদেশে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে গত বারো বছরে চারজন শিক্ষককে হত্যা করা হয়।
দেশের অন্য কোন বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষক হত্যাকাণ্ডের এতগুলি ঘটনা ঘটেনি।
এর মধ্যে গতকাল ইংরেজি বিভাগের অধ্যাপক এ এম রেজাউল করিম সিদ্দিকীকে গলা কেটে হত্যার ঘটনা সম্পর্কে পুলিশ বলছে এর সাথে ব্লগার হত্যাকাণ্ডের ধরনের সাথে মিল পাওয়া যাচ্ছে।
রাজশাহী শহরের বাসিন্দা ও স্থানীয় উন্নয়ন কর্মী এম রফিকুল ইসলাম বলছেন, নিহত শিক্ষকেরা সবাই মুক্তবুদ্ধি চর্চা ও সাংস্কৃতিক আন্দোলনের সঙ্গে যুক্ত ছিলেন।
এছাড়া কোন হত্যাকাণ্ডের বিচার না হওয়ায় এ ধরণের হত্যার ঘটনা ঘটে চলেছে বলে মনে করেন মি. ইসলাম।
শনিবার নিহত অধ্যাপক সিদ্দিকী কোনোরকম শিক্ষক রাজনীতির সঙ্গে জড়িত ছিলেন না। মি. সিদ্দিকী তাঁর গ্রামের বাড়ি বাগমারায় একটি গানবাজনার স্কুল করেছিলেন, এর আগে তিনি বিশ্ববিদ্যালয়ে তার বিভাগে খেলাধুলা ও সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ডগুলো আয়োজনের দায়িত্বে ছিলেন।
এর আগে ২০১৪ সালের নভেম্বরে বিশ্ববিদ্যালয় সংলগ্ন এলাকায় খুন হন সমাজবিজ্ঞানের অধ্যাপক শফিউল ইসলাম, যিনি মুক্তমনা ও প্রগতিশীল আদর্শের অনুসারী হিসেবে ক্যাম্পাসে পরিচিত ছিলেন।
২০০৬ সালে ভূতত্ত্ব ও খনিবিদ্যা বিভাগের অধ্যাপক এস তাহের আহমেদ, এবং ২০০৪ সালে অর্থনীতির অধ্যাপক ড. ইউনুসকে হত্যা করা হয়।
মি. ইসলাম বলছেন, যদিও এনিয়ে আরো গবেষণার প্রয়োজন, কিন্তু আপাত দৃষ্টিতে মনে হচ্ছে, যারা মুক্তবুদ্ধির চর্চার বিরোধিতা করেন, তাদেরই টার্গেটে পরিণত হয়েছেন বিভিন্ন ভাবে সাংস্কৃতিক আন্দোলন ও মুক্তবুদ্ধির চর্চার সঙ্গে সম্পৃক্ত শিক্ষকেরা।
সূত্র : বিবিসি বাংলা