ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০

১০ রানে পরাজিত মুম্বাই

টানা তিন জয় দিল্লীর

প্রকাশিত: ০৬:৩৬, ২৪ এপ্রিল ২০১৬

টানা তিন জয় দিল্লীর

স্পোর্টস রিপোর্টার ॥ চ্যাম্পিয়ন মুম্বাই ইন্ডিয়ান্সের খারাপ সময় কাটছেই না। গত ম্যাচে রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স ব্যাঙ্গালুরুর বিরুদ্ধে দারুণ নৈপুণ্য দেখিয়ে নিজেদের ফিরে পাওয়ার ইঙ্গিত দিয়েছিল তারা। কিন্তু শনিবার দিল্লীর ফিরোজ শাহ কোটলা স্টেডিয়ামে আরেকটি পরাজয় দেখেছে তারা। তাদের ১০ রানে হারিয়ে স্বাগতিক দিল্লী ডেয়ারডেভিলস টানা তৃতীয় জয় তুলে নিয়েছে। আগে ব্যাট করে দিল্লী ৪ উইকেটে ১৬৪ রান তোলে। জবাবে অধিনায়ক রোহিত শর্মার ৬৫ রানের পরও ৭ উইকেটে ১৫৪ রান তুলতে সক্ষম হয় মুম্বাই। এ জয়ের ফলে ৪ ম্যাচে ৬ পয়েন্ট নিয়ে তালিকায় দ্বিতীয় স্থানে উঠে এসেছে দিল্লী। শীর্ষে থাকা কলকাতা নাইট রাইডার্সের (কেকেআর) পয়েন্টও ৬। আর ৬ ম্যাচ খেলে চতুর্থ পরাজয় দেখা মুম্বাই আছে ৬ নম্বরে। টস জিতে স্বাগতিক দিল্লীকে আগে ব্যাটিংয়ে পাঠায় মুম্বাই। দ্বিতীয় ওভারেই ওপেনার কুইন্টন ডি ককের (৯) উইকেট হারায় দিল্লী। দলীয় ৫৪ রানের মধ্যেই তিন টপঅর্ডারকে হারায় তারা। কিন্তু চতুর্থ উইকেটে ৭১ রানের জুটি গড়ে বিপর্যয় সামলান সঞ্জু স্যামসন ও জেপি ডুমিনি। দারুণ খেলা স্যামসন চলতি আসরে নিজের প্রথম অর্ধশতক হাঁকান। তিনি ৪৮ বলে ৪ চার ও ২ ছক্কায় ৬০ রানে ফিরে যান। তবে ততক্ষণে একটি ভাল সংগ্রহ পাওয়ার ভিত পেয়ে যায় দিল্লী। ক্রুনাল পান্ডিয়া উইকেট না পেলেও বেশ ভাল বোলিং করে রানের গতি (৪ ওভারে ২৫) আটকে রেখেছিলেন। কিন্তু ডুমিনি দুর্দান্ত ব্যাটিং করেন। তিনি অবশ্য এক রানের জন্য অর্ধশতক করতে পারেননি। ৩১ বলে ৩ চার ও ২ ছক্কায় ৪৯ রানে অপরাজিত থাকেন ডুমিনি। নিউজিল্যান্ডের পেসার মিচেল ম্যাক্লেনাঘান ৩১ রানে নেন দুই উইকেট। ৪ উইকেটে ১৬৪ রানের চ্যালেঞ্জিং সংগ্রহ পায় দিল্লী। লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে শুরুতেই রানআউটের খপ্পরে প্রথম উইকেট হারায় মুম্বাই। সাজঘরে ফেরেন পার্থিব প্যাটেল (১)। তবে দ্বিতীয় উইকেটে রোহিত-আম্বাতি রাইডুর দারুণ জুটি গড়ে ওঠে। ৫৩ রান যোগ করেন তারা ৪১ বলেই। স্পিনার অমিত মিশ্র এসে ব্রেক থ্রু দেন রাইডুকে (২৩ বলে ২৫) সরাসরি বোল্ড করে। তৃতীয় উইকেটে মাত্র ২৫ বলে আরও ৪১ রানের জুটি গড়েন রোহিত-ক্রুনাল। ক্রুনাল মাত্র ১৭ বলে ৪ চার ও ২ ছক্কায় ৩৬ রান করে রানআউট হন। মিশ্রর শিকার হয়ে দ্রুতই ফিরে যান জস বাটলারও (২)। তবে তখনও কক্ষপথেই ছিল মুম্বাই। কিন্তু কাইরন পোলার্ড উইকেটে এসে রোহিতকে সঙ্গ দিয়ে জয়ের পথেই এগুচ্ছিলেন। কিন্তু রানের গতি বাড়াতে পারেননি তারা। পোলার্ডও ফিরে যান ১৯তম ওভারের শেষ বলে। শেষ ওভারে ৬ বলে প্রয়োজন পড়ে ২১ রানের। কিন্তু রোহিত ছক্কা হাঁকালেও তিনি রানআউটের শিকার হয়ে সাজঘরে ফিরলে জয়ের স্বপ্ন শেষ হয়ে যায় মুম্বাইয়ের। রোহিত ৪৮ বলে ৭ চার ও ১ ছক্কায় ৬৫ রান করে সাজঘরে ফেরেন। ৭ উইকেটে ১৫৪ রানে নির্ধারিত ২০ ওভার শেষ করে মুম্বাই। মাত্র ২৪ রান দিয়ে ২ উইকেট নেন মিশ্র। স্কোর ॥ দিল্লী ডেয়ারডেভিলস ইনিংস- ১৬৪/৪; ২০ ওভার (স্যামসন ৬০, ডুমিনি ৪৯*, আয়ার ১৯, নেগি ১০*; ম্যাক্লেনাঘান ২/৩১, হারদিক ১/৭, হরভজন ১/২৪)। মুম্বাই ইন্ডিয়ান্স ইনিংস- ১৫৪/৭; ২০ ওভার (রোহিত ৬৫, ক্রুনাল ৩৬, রাইডু ২৫, পোলার্ড ১৯; মিশ্র ২/২৪, মরিস ১/২৭, জহির ১/৩০)। ফল ॥ দিল্লী ডেয়ারডেভিলস ১০ রানে জয়ী। ম্যাচসেরা ॥ সঞ্জু স্যামসন (দিল্লী ডেয়ারডেভিলস)।
×