ঢাকা, বাংলাদেশ   বুধবার ২৪ এপ্রিল ২০২৪, ১০ বৈশাখ ১৪৩১

আগামী বাজেট ব্যবসাবান্ধব ও জনবান্ধব হবে ॥ নজিবুর

প্রকাশিত: ০৬:২৩, ২৪ এপ্রিল ২০১৬

আগামী বাজেট ব্যবসাবান্ধব ও জনবান্ধব হবে ॥ নজিবুর

স্টাফ রিপোর্টার, খুলনা অফিস ॥ অভ্যন্তরীণ সম্পদ বিভাগের সিনিয়র সচিব ও জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) চেয়ারম্যান মোঃ নজিবুর রহমান বলেন, মংলা বন্দরের সমস্যাবলীর স্থায়ী সমাধানপূর্বক একে আন্তর্জাতিকমানে উন্নীত করার পরিকল্পনা নিয়ে কাজ করছে সরকার। বর্তমান সমস্যায় উদ্বিগ্ন না হয়ে ভবিষ্যতের সম্ভাবনায় উজ্জীবিত হতে হবে। তিনি বলেন, সরকারের রূপকল্প বাস্তবায়নের লক্ষ্যে ২০১৬-১৭ অর্থবছরকে ব্যবসাবান্ধব ও জনবান্ধব করার উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। তিনি শনিবার বিকেলে খুলনা মহানগরীর সিটি ইন হোটেলের সম্মেলনকক্ষে খুলনা চেম্বার অব কমার্স এ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির সঙ্গে রাজস্ব বোর্ডের ২০১৬-১৭ অর্থবছরে প্রাক-বাজেট আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তৃতায় এ কথা বলেন। খুলনা চেম্বার অব কমার্স এ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রি এ সভার আয়োজন করে। প্রধান অতিথি বলেন, বর্তমান সরকারের রূপকল্প বাস্তবায়নের লক্ষ্যে ২০১৬-১৭ অর্থবছরকে ব্যবসাবান্ধব ও জনবান্ধব করার উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। এ লক্ষ্যেই মূলত এ ধরনের অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছে। আসন্ন বাজেটে খুলনাবাসীর মতামতকে গুরুত্ব দেয়া হবে। রাজস্ব বোর্ড মংলা ও পায়রা সমুদ্রবন্দরকে সম্ভাবনাময় ও সক্রিয় বন্দর হিসেবে দেখতে চায়। দুটি বন্দরকেই একে অপরের পরিপূরক হিসেবে কাজ করতে হবে। তিনি আরও বলেন, ২০৩০ সালের মধ্যে বাংলাদেশকে উন্নত দেশ নেদারল্যান্ডস ও অস্ট্রেলিয়ার সঙ্গে প্রতিযোগিতা করতে হবে। ২০৫০ সালে বাংলাদেশ নেদারল্যান্ডস ও অস্ট্রেলিয়ার উপরে অবস্থান করবে। এজন্য চট্টগ্রাম ও মংলা বন্দরকে অবশ্যই সক্রিয় রাখতে হবে। এক্ষেত্রে এনবিআর উন্নয়ন ভূমিকায় সক্রিয় দায়িত্ব পালন করছে। সভায় জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) সদস্য (শুল্ক নীতি) মোঃ ফরিদ উদ্দিন, সদস্য (ভ্যাট নীতি) ব্যারিস্টার জাহাঙ্গীর হোসেন, সদস্য (আয়কর নীতি) পারভেজ ইকবাল, এনবিআরের গোয়েন্দা সেলের মহাপরিচালক মোঃ বেলাল উদ্দিন, প্রথম সচিব (শুল্ক নীতি ও বাজেট), প্রথম সচিব (কর নীতি ও বিধি), অতিরিক্ত বিভাগীয় কমিশনার (সার্বিক) মোহাম্মদ ফারুক হোসেন, খুলনা কর, কাস্টমস ও মংলা কাস্টমস হাউসের উর্ধতন কর্মকর্তা এবং খুলনার ভারপ্রাপ্ত জেলা প্রশাসক ও সাতক্ষীরার জেলা প্রশাসক উপস্থিত ছিলেন। স্বাগত বক্তৃতা করেন খুলনা চেম্বারের সভাপতি কাজী আমিনুল হক। মুক্ত আলোচনায় অংশগ্রহণকারীরা প্যাকেজ পদ্ধতিতে ভ্যাট আদায়, কর নিরূপণে জটিলতা দূর করা, উৎসে কর শূন্য ভাগে নামিয়ে আনা, চিংড়ি রফতানিতে ৫% কর প্রত্যাহার, মংলা বন্দরের ডিউটি ফি ০% করা এবং ব্যবসায়ীদের ওপর ন্যূনতম ট্যাক্স নীতি (দেউলিয়া হলে) প্রত্যাহার করার দাবি জানান। তারা চিংড়ি খাতে বিদ্যুতের ব্যবহার বেশি হওয়ায় ভ্যাট প্রত্যাহার ও থোক বরাদ্দ, রডের ওপর আরোপিত ৪% ভ্যাট প্রত্যাহার, ভোজ্যতেলের ওপর শুধুমাত্র উৎপাদন পর্যায়ে মূসক নির্ধারণ করার দাবি জানান। খুলনা তথা দক্ষিণাঞ্চলের উন্নয়নের স্বার্থে মংলা বন্দরে বিরাজমান সকল সমস্যার আশু সমাধান করে ব্যবসায়ীদের বন্দর ব্যবহারে উৎসাহ প্রদানের লক্ষ্যে নানা ধরনের উদ্যোগ গ্রহণের জন্য তারা জোর দাবি জানান।
×