ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১

আন্তর্জাতিক ষড়যন্ত্র মোকাবেলা করেই এগিয়ে চলছে দেশ

প্রকাশিত: ০৬:২২, ২৪ এপ্রিল ২০১৬

আন্তর্জাতিক ষড়যন্ত্র মোকাবেলা করেই এগিয়ে চলছে দেশ

অর্থনৈতিক রিপোর্টার ॥ আজ ২৪ এপ্রিল রানা প্লাজা ট্র্যাজেডির তৃতীয় বর্ষপূর্তি। শুধু গার্মেন্টস শিল্পেই নয়, এটি ছিল বড় ধরনের এক মানবিক বিপর্যয়। এ বিপর্যয়ের পর বাংলাদেশের তৈরি পোশাক শিল্প খাতের ভবিষ্যত পড়েছিল শঙ্কার মধ্যে। সরকারী-বেসরকারী পর্যায়ে নানা উদ্যোগে সেই বিপর্যয় সামলে নেয়া গেছে, ঘুরে দাঁড়িয়েছে বাংলাদেশের তৈরি পোশাক শিল্প। এবারের রানা প্লাজা ট্র্যাজেডির বর্ষপূর্তিতে প্রগতিশীল সাংবাদিক ফোরাম ‘রানা প্লাজা ট্র্যাজেডি : ঘুরে দাঁড়ানোর গল্প’ শীর্ষক সেমিনারের আয়োজন করে। সেমিনারে উপস্থাপিত মূল প্রবন্ধে পীযূষ বন্দ্যোপাধ্যায় রানা প্লাজা ধসের পর দেশের গার্মেন্ট শিল্পের উন্নয়নে সরকারের নেয়া পদক্ষেপগুলো তুলে ধরেন। এতে আলোচক হিসেবে উপস্থিত ছিলেন জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য ড. মীজানুর রহমান, বিজিএমইএর সহসভাপতি মাহমুদ হাসান খান বাবু, বিজিএমইএর সাবেক সভাপতি মোঃ আতিকুর রহমান, নিরাপত্তা বিশ্লেষক মেজর জেনারেল এ কে মোহাম্মদ আলী শিকদার (অব), জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলা বিভাগের অধ্যাপক ও জনসংযোগ পরিচালক মিল্টন বিশ্বাস, বঙ্গবন্ধু পরিষদের কেন্দ্রীয় প্রচার সম্পাদক মতিউর রহমান লালটু প্রমুখ। প্রবীণ সাংবাদিক ও কথাসাহিত্যিক রাহাত খানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সেমিনারে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন এনাম মেডিক্যাল কলেজের প্রতিষ্ঠাতা ডাঃ মোঃ এনামুর রহমান এমপি। আলোচনায় বক্তারা বলেছেন, সরকার ও বিজিএমইএর আন্তরিক চেষ্টায় দ্রুতই বাংলাদেশের তৈরি পোশাক শিল্প ঘুরে দাঁড়িয়েছে। রফতানিমুখী এ শিল্প ধ্বংস করতে তৎপর আন্তর্জাতিক ষড়যন্ত্র মোকাবেলা করেই এগিয়ে চলছে বাংলাদেশ। সেমিনারে বলা হয়, এ খাতে সাফল্যে টিআইবি-ও বলছে, সরকার ও বিভিন্ন পক্ষের বহুমুখী উদ্যোগে পোশাক খাতের বিভিন্ন পর্যায়ে, বিশেষ করে সুশাসন প্রতিষ্ঠা, আইনী ও ভৌত অবকাঠামো উন্নয়নের ক্ষেত্রে উল্লেখযোগ্য অগ্রগতি হয়েছে। সেমিনারের প্রধান অতিথি সাভারের এনাম মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের প্রতিষ্ঠাতা ডাঃ এনামুর রহমান এমপি বলেন, বাংলাদেশের মানুষ যে কোন দুর্যোগ মোকাবেলায় সক্ষম। তবে বারবার যেন দুর্যোগ মোকাবেলা করতে না হয় সেজন্য পদক্ষেপ নিতে হবে। বিজিএমইএর সাবেক সভাপতি আতিকুল ইসলাম বলেন, তৈরি পোশাক রফতানির জন্য অন্য কোন দেশকে কোন শর্ত পূরণ করতে হয় না। কিন্তু বাংলাদেশের জিএসপি সুবিধা বাতিল হয়; এছাড়াও নিত্যনতুন শর্তপূরণ করেই প্রতিযোগিতামূলক বাজারে বাংলাদেশের গার্মেন্ট শিল্পকে টিকে থাকতে হচ্ছে।
×