ঢাকা, বাংলাদেশ   মঙ্গলবার ১৬ এপ্রিল ২০২৪, ৩ বৈশাখ ১৪৩১

সিমের মতো মোবাইল হ্যান্ডসেটেরও নিবন্ধন করা হবে

প্রকাশিত: ০৬:০৬, ২৪ এপ্রিল ২০১৬

সিমের মতো মোবাইল হ্যান্ডসেটেরও নিবন্ধন করা হবে

স্টাফ রিপোর্টার ॥ সিম নিবন্ধনের মতো মোবাইল হ্যান্ডসেটেরও নিবন্ধন করা হবে। জাতীয় নিরাপত্তার স্বার্থেই এ কাজটি করা জরুরী। এ জন্য আগামী এক দেড় মাসের মধ্যে তথ্যভা-ার চালু করা হবে। তবে গ্রাহক পর্যায়ে এখনই হ্যান্ডসেট নিবন্ধন করা হবে না। তথ্যভা-ার থাকবে বিটিআরসিতে। যাতে গ্রাহক হ্যান্ডসেট কিনতে গিয়ে সেটটির আইএমই নম্বর পরীক্ষা করে নিতে পারেন। গ্রাহকরা যেন প্রতারিত না হন নকল মোবাইল সেট কিনে। তা ছাড়া ভয়েস ও ডেটা ব্যবহারে গ্রাহকদের অনেক বেশি পরিমাণ ট্যাক্স দিতে হচ্ছে। এতে ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়ে তোলা কঠিন হবে। আমরা এ বিষয়ে অর্থ মন্ত্রণালয়ে একটি চিঠি দিয়েছি। আশা করি অর্থ মন্ত্রণালয় বিষয়টি বিবেচনা করবে। শনিবার রাজধানীর ওয়েস্টিন হোটেলে টেলিকম রিপোর্টার্স নেটওয়ার্ক বাংলাদেশ (বি) আয়োজিত ‘ডিজিটাল বাংলাদেশ গঠনে মোবাইল হ্যান্ডসেটের ভূ’শীর্ষক সেমিনারে প্রধান অতিথির বক্তব্যে ডাক ও টেলিযোগাযোগ প্রতিমন্ত্রী তারানা হালিম এ কথা বলেন। টিআরএনবি সভাপতি রাশেদ মেহেদীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন বিটিআরসি চেয়ারম্যান প্রকৌশলী ড. শাহজাহান মাহমুদ, বিটিআরসির ডিজি কর্নেল নাসিম পারভেজ, কাস্টমসের গোয়েন্দা প্রধান ড. মঈনুল খান, কাস্টমস কমিশনার লুৎফর রহমান, গ্রামীণফোনের চীফ কর্পোরেট এ্যাফেয়ার্স অফিসার ও এ্যাসোসিয়েশন অব মোবাইল টেলিকম অপাটেরস অব বাংলাদেশের প্রতিনিধি মাহমুদ হোসেন, মোবাইল হ্যান্ডসেট আমদানিকারকদের সংগঠনের সভাপতি নূরে আলম মাহবুব মানিক, সাধারণ সম্পাদক রেজোয়ানুল হক, লার্ন এশিয়ার আবু সাঈদ খান প্রমুখ আলোচনায় অংশ নেন। আলোচনা অনুষ্ঠানে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন টিআরএনবির সাধারণ সম্পাদক শামীম আহমেদ। প্রতিমন্ত্রী বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার হাত দিয়েই বাংলাদেশে মোবাইল ফোন এসেছে। তারই হাত দিয়ে ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়ে উঠছে। দেশে বর্তমানে ১৩ কোটি মানুষ মোবাইল ব্যবহার করছেন। ৬ কোটি ১২ লাখ মানুষ ইন্টারনেট ব্যবহার করছে। এখন আমাদের মূল উদ্দেশ্য হচ্ছে সবার হাতে সুলভ মূল্যে স্মার্টফোন পৌঁছে দেয়া। যাতে তারা সহজে ইন্টারনেট ব্যবহার করতে পারেন। আমি যে প্রতিশ্রুতি দেই তা বাস্তবায়ন করার জন্য চেষ্টা করি। কিন্তু বাস্তবতা অনেক সময় পক্ষে থাকে না। ইন্টারনেট ডেটা ও ভয়েসে আমাদের ট্যাক্স ভ্যাট ও সারচার্জ অনেক বেশি। এগুলো কমাতে অর্থ মন্ত্রণালয়ে চিঠি দিয়েছি। স্মার্টফোন সবার হাতে পৌঁছে দিতে পারলে রাজস্বও বাড়বে। এখনই মোবাইল ফোন রেজিস্ট্রেশন করতে চাইলেও করা সম্ভব হবে না। দেশের মানুষ এটা নেতিবাচকভাবে দেখবে। আমরা বিটিআরসিতে একটি তথ্যভা-ার করব। সেখানে যে কেউ মোবাইল হ্যান্ডসেট কেনার আগে চেক করে নিতে পারবেন। মোবাইল সেক্টরটি এতদিন অরাজক অবস্থার মধ্য দিয়ে চলেছে। এখন এই সেক্টরে একটা শৃঙ্খলা আনা হচ্ছে। ধীরে ধীরে জাতীয় নিরাপত্তার স্বার্থে মোবাইল সেক্টরে যত ধরনের শৃঙ্খলা আনা দরকার তা আমরা করব। বর্তমানে বায়োমেট্রিক পদ্ধতে সিম নিবন্ধন চলছে। আমরা হ্যান্ডসেট নিবন্ধনের দিকে যাব। তবে আপাতত নয়। মাস খানেকের মধ্যে আইএমইআই (ইন্টারন্যাশনাল মোবাইল ইক্যুইপমেন্ট আইডেন্টিটি) সফটওয়্যার ইনস্টল করা হবে। বিটিআরসি এটা তদারকি করবে। সেমিনারে বিটিআরসির চেয়ারম্যান বলেন, দেশে প্রতিবছর ৩ কোটি মোবাইল হ্যান্ডসেট আসছে। আমরা বিটিআরসি থেকে এর অর্ধেকও অনুমোদন দেই না। বাকি সেটগুলো লাগেজ পার্টি দেশে নিয়ে আসছে। এগুলোর বেশিরভাগই নকল।
×