ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১

গলাচিপায় শতাধিক খাল বেদখল

প্রকাশিত: ০৪:২৮, ২৪ এপ্রিল ২০১৬

গলাচিপায় শতাধিক খাল বেদখল

স্টাফ রিপোর্টার, গলাচিপা ॥ পটুয়াখালীর গলাচিপা উপজেলার সরকারী শতাধিক খাল বেদখল হয়ে গেছে। যুগ যুগ ধরে এসব খাল ভোগদখল করছে সংশ্লিষ্ট এলাকাগুলোর একশ্রেণীর প্রভাবশালী। তারা খালে বাঁধ দিয়ে মাছ চাষ করছে। খাল ভরাট করে বাড়িঘর নির্মাণ করছে। আবার অনেকে খাল শুকিয়ে আবাদি জমিতে পরিণত করছে। এসব খালের বেশির ভাগই ২০ একরের বেশি আয়তনের। প্রাকৃতিক জলাশয় হিসেবে পরিচিত খালগুলো এভাবে বেদখল হয়ে যাওয়ায় এলাকাবাসী চরম দুর্ভোগ পোহাচ্ছে। অনেক এলাকায় বন্ধ হয়ে গেছে নৌ যোগাযোগ ব্যবস্থা। বিভিন্ন পর্যায়ে খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, গলাচিপা উপজেলার ১২ ইউনিয়নে বহু সরকারী খাল ছিল। কিন্তু গত দুই থেকে তিন যুগের মধ্যে এলাকার শতাধিক খাল বেদখল হয়ে গেছে। সরেজমিন অনুসন্ধানে গলাচিপা উপজেলা সদর সংলগ্ন কেবলমাত্র দুটি ইউনিয়নে ১৫টি খাল বেদখল হয়ে যাওয়ার খবর মিলেছে। এর মধ্যে পানপট্টি ইউনিয়নে বেদখল হয়েছে চৌদ্দআনি খাল, হুরিয়ার খাল, জয়মানিক খাল, জাইদার খাল, তুলারাম খাল, বাঁশতলা খাল ও মঙ্গল ফকিরের খাল। ডাকুয়া ইউনিয়নে বেদখল হয়েছে পশ্চিম পাড়ডাকুয়া ডিলার খাল, হোগলাবুনিয়া হোতার খাল, আটখালী খাল, আটখালী দাসের খাল, ডাকুয়া যোতা খাল, চত্রা দশআনি খাল, মজুমদার খাল ও কৃষ্ণপুর খাল। অন্যান্য ইউনিয়নের কোন কোনটিতে ১০ থেকে ১৫টি খাল বেদখল হয়ে যাওয়ার খবর পাওয়া গেছে। নলুয়াবাগী এলাকায়ও ১০-১২টি খাল বেদখল। দখলদারদের হিংস্র থাবায় উলানিয়া খালটি এখন রীতিমতো ভাগাড়ে পরিণত হয়েছে। এভাবে সরকারী খালগুলো বেদখল হয়ে যাওয়ায় মানুষের দুর্ভোগ চরম আকার নিয়েছে। খালপাড়ের বাসিন্দারা ব্যবহার করতে পারছে না খালের পানি। চাষাবাদ হচ্ছে ব্যাহত। এ বিষয়ে উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) কাজী মোঃ সায়েমুজ্জামান জানান, খালগুলো দখলমুক্ত করার জন্য যে পরিমাণ অর্থের প্রয়োজন, তা বরাদ্দ পাওয়া যায় না।
×