ঢাকা, বাংলাদেশ   বুধবার ২৪ এপ্রিল ২০২৪, ১১ বৈশাখ ১৪৩১

সাপ্তাহিক বাজার পর্যালোচনা

পুঁজিবাজারে লেনদেন বেড়েছে ১০.৬৩ ভাগ

প্রকাশিত: ০৩:৫৭, ২৪ এপ্রিল ২০১৬

পুঁজিবাজারে লেনদেন বেড়েছে ১০.৬৩ ভাগ

অর্থনৈতিক রিপোর্টার ॥ গত সপ্তাহে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) লেনদেন বাড়লেও কমেছে সব ধরনের মূল্যসূচক। আলোচিত সপ্তাহে ডিএসইতে লেনদেন বেড়েছে ১০ দশমিক ৬৩ শতাংশ। বেশিরভাগ কোম্পানির দর কমার কারণে সূচকের পতনেও বেশ কিছু ভৌতভিত্তি সম্পন্ন কোম্পানি লেনদেনে এগিয়ে ছিল। তবে এর মাঝেও মুন্নু স্টাফলারস, জেমিনি সী ফুড, ইস্টার্ন লুব্রিক্যান্টম, লিব্রা ইনফিউশনের মতো বেশ কিছু কোম্পানির বিক্রেতাশূন্য অবস্থায় লেনদেন করেছে। মূলত স্বল্প মূলধনী কোম্পানিগুলোকে ঘিরে এক শ্রেণীর বিনিয়োগকারীদের অতি মুনাফার লোভের কারণেই বাজারে এক ধরনের অস্বাভাবিক আচরণ করছে বলে সংশ্লিষ্টরা মনে করছেন। তাদের মতে, স্বল্প মূলধনী কোম্পানিগুলোকে ঘিরে এ ধরনের কারসাজি নতুন কোন ঘটনা নয়, তবে এ প্রবণতা বাজারের স্থিতিশীলতাকে কিছুটা হালকা করে দেয়। বাজার পর্যালোচনায় দেখা গেছে, আগের সপ্তাহের চেয়ে ডিএসইতে লেনদেন বেড়েছে ১৮৫ কোটি ৭৪ লাখ টাকার। আলোচিত সপ্তাহে ডিএসইতে লেনদেন হয়েছে ১ হাজার ৯৩৩ কোটি ২ লাখ টাকার। আর আগের সপ্তাহে লেনদেন হয়েছিল ১ হাজার ৭৪৭ কোটি ২৮ টাকার শেয়ার। সমাপ্ত সপ্তাহে ‘এ’ ক্যাটাগরির কোম্পানির শেয়ার লেনদেন হয়েছে ৯১ দশমিক ৯১ শতাংশ। ‘বি’ ক্যাটাগরির কোম্পানির লেনদেন হয়েছে ১ দশমিক ২৭ শতাংশ। ‘এন’ ক্যাটাগরির কোম্পানির শেয়ার লেনদেন হয়েছে ৫ দশমিক ৮৮ শতাংশ। ‘জেড’ ক্যাটাগরির লেনদেন হয়েছে দশমিক ৯৪ শতাংশ। এদিকে ডিএসইর সার্বিক সূচক বা ডিএসইএক্স সূচক কমেছে ১ দশমিক ৫৫ শতাংশ বা ৬৮ দশমিক ৩০ পয়েন্ট। সপ্তাহের ব্যবধানে ডিএস৩০ সূচক কমেছে ১ দশমিক ০২ শতাংশ বা ১৭ দশমিক ২০ পয়েন্ট। অপরদিকে শরীয়াহ বা ডিএসইএস সূচক কমেছে দশমিক ৭৬ শতাংশ বা ৮ দশমিক ০৬ পয়েন্টে। সপ্তাহজুড়ে ডিএসইতে তালিকাভুক্ত মোট ৩৩২টি কোম্পানি ও মিউচুয়াল ফান্ডের শেয়ার লেনদেন হয়েছে। এর মধ্যে দর বেড়েছে ৮৪টি কোম্পানির। আর দর কমেছে ২২৭টির এবং অপরিবর্তিত রয়েছে ১৭টির। আর লেনদেন হয়নি ৪টি কোম্পানির শেয়ার। আইডিএলসি ইনভেস্টমেন্টের বাজার পর্যালোচনায় দেখা গেছে, গত সপ্তাহে বেশিরভাগ কোম্পানির দর কমলেও বড় মূলধনী কিছু কোম্পানির দর বেড়েছে। এরপরও সার্বিক সূচকটি ১ দশমিক ৫০ শতাংশ কমেছে। একইসঙ্গে ব্লু চিপস সূচকটি কমেছে ১ শতাংশ করে। তবে সপ্তাহটিতে ব্লু চিপসের কিছু শেয়ারের দর বেড়েছে কিছুটা। গত সপ্তাহের শেষ কার্যদিবসে লেনদেন শুরু করা বাংলাদেশ ন্যাশনাল ইন্স্যুরেন্সের দর বেড়েছে ৮৩ শতাংশ। এছাড়া বার্জার পেইন্টস ও গ্রামীণফোনের প্রথম প্রান্তিকের আর্থিক প্রতিবেদনে আগের তুলনায় মুনাফা বাড়ার কারণে সার্বিক সূচকে কিছুটা ইতিবাচক প্রভাব রেখেছে। সপ্তাহটিতে ইসলামী ব্যাংকের দর কমেছে ৭ দশমিক ৯০ শতাংশ। এছাড়া বার্জার পেইন্টসের ওপর ভর করে বিবিধ খাতটির মোট দর বেড়েছে ১০ শতাংশ। এছাড়া গ্রামীণফোনের ওপর ভর করে টেলিযোগাযোগ খাতের দর বেড়েছে ৬ শতাংশ। একইসঙ্গে ২৩ দশমিক ১০ শতাংশ লেনদেন করে জ্বালানি এবং বিদ্যুত খাতটি শীর্ষ স্থান দখল করেছে। ডিএসইর সাপ্তাহিক লেনদেনের সেরা কোম্পানিগুলো হলো : মবিল যমুনা বাংলাদেশ, এসিআই, কেয়া কসমেটিকস, যমুনা ওয়েল, ডরিন পাওয়ার সিস্টেম, ইউনাইটেড পাওয়ার, আমান ফিড, লঙ্কা বাংলা ফাইন্যান্স ও বেক্সিমকো ফার্মা। দরবৃদ্ধির সেরা কোম্পানিগুলো হলো : মুন্নু স্টাফলারস, ফারইস্ট নিটিং, ইস্টার্ন লুবিক্যান্ট, বার্জার পেন্টস, জেমিনি সী ফুড, যবিল যমুনা বিডি, স্টাইল ক্রাফট ও আইডিএলসি। দরবৃদ্ধির সেরা কোম্পানিগুলো হলো : স্টান্ডার্ড ব্যাংক, ড্রাগন সোয়েটার, জাহিন স্পিনিং, কাসেম ড্রাইসেল, ঢাকা ডাইং, শাইন পুকুর, ফনিক্স ইন্স্যুরেন্স, ইউনাইটেড ইন্স্যুরেন্স, রিজেন্ট টেক্সটাইল ও ফু-ওয়াং সিরামিক। অপর বাজার চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে (সিএসই) লেনদেন হয়েছে ১১৯ কোটি ৫৩ লাখ টাকার শেয়ার। প্রধান সূচক কমেছে ১ দশমিক ৩৯ শতাংশ। সপ্তাহজুড়ে সিএসইতে তালিকাভুক্ত মোট ২৭৮টি কোম্পানি ও মিউচুয়াল ফান্ডের শেয়ার লেনদেন হয়েছে। এর মধ্যে দর বেড়েছে ৭৩টি কোম্পানির। আর দর কমেছে ১৯৪টির এবং অপরিবর্তিত রয়েছে ১১টির।
×