ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ১৮ এপ্রিল ২০২৪, ৫ বৈশাখ ১৪৩১

জেদ জিতলেন জুবায়ের

প্রকাশিত: ০৭:১৮, ২৩ এপ্রিল ২০১৬

জেদ জিতলেন জুবায়ের

স্পোর্টস রিপোর্টার ॥ যেখানেই খেলেছেন, নিজেকে শুধু প্রমাণই করতে হয়েছে। সেটি ঘরোয়া লীগে যে দলের হয়েই হোক কিংবা আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে। ঘরোয়া ক্রিকেটেও যেমন সাইড বেঞ্চে বসে থাকতে হয়েছে। তেমনি আন্তর্জাতিক ক্রিকেটেও। জাতীয় দলের হয়ে দিনের পর দিন বসেই সময় কাটিয়ে দিতে হয়েছে। তাই লেগ স্পিনার জুবায়ের হোসেন লিখনের ভেতর একটা জেদ কাজ করেছে। যেভাবেই হোক, ‘এক্সট্রা অর্ডিনারি’ কিছু করতে হবে। সেই জেদ শুক্রবার জিতলেন জুবায়ের। আবাহনীর হয়ে কলাবাগান ক্রীড়াচক্রের বিপক্ষে একাই ৬ উইকেট তুলে নেন। ৯.১ ওভার বল করে ৩৪ রান দিয়ে ৬ উইকেট নেন জুবায়ের। দলও তার দুর্দান্ত বোলিং নৈপুণ্যে ৭ উইকেটে জিতে। জুবায়েরকে তাই প্রশ্নও ছোড়া হয়, জেদ ছিল? জুবায়েরও বলে দেন, ‘অবশ্যই।’ প্রস্তুতি ম্যাচেই ৫ উইকেট তুলে নেন জুবায়ের। সেই ম্যাচের নৈপুণ্য নিয়ে শুরুতেই বলেন, ‘প্রস্তুতি ম্যাচে ৫ উইকেট পেয়েছিলাম, শুরু থেকেই আত্মবিশ্বাসটা ছিল। আত্মবিশ্বাসী ছিলাম যদি ম্যাচ খেলি তাহলে ভাল কিছু করব। আজকে (শুক্রবার) খেলেছি, ভাল বোলিং হয়েছে। ইনশাল্লাহ চেষ্টা থাকবে সামনের ম্যাচগুলোতেও কন্ট্রিবিউশন করার।’ জেদের কথা উঠতেই জুবায়ের বলেন, ‘অবশ্যই। আমার সবসময় চেষ্টা থাকে ভাল বোলিং করার। যখন থেকে খেলা শুরু করেছি তখন থেকেই নিজেকে প্রমাণ করেই আসছি। জানতামও নিজেকে সব জায়গায় প্রমাণ করা লাগবে। আজকে (শুক্রবার) খুব ভাল হয়েছে। চেষ্টা থাকবে সামনে যোগগুলো আসলে কাজে লাগানোর। সত্যি কথা বলতে আমি ঘরোয়া ক্রিকেটে সুযোগ খুব কম পেয়েছি। আজকে (শুক্রবার) সুযোগ পেয়ে কাজে লাগাতে পেরেছি। ভবিষ্যতে সুযোগ পেলে এভাবেই কাজে লাগাবো।’ আপনাকে নিয়ে ক্রিকেট দুইভাবে ভাগ ছিল? সবকিছু মিলিয়ে অনেক কিছু হয়েছে। আপনার কাছে কি মনে হয়েছে আপনি পরিস্থিতির শিকার? জুবায়ের প্রশ্নগুলোর উত্তর দেন এভাবে, ‘এটা আমি জানি আর আমার দলের যারা আছে সবাই জানি। শুধু হাতুরাসিংহে না জাতীয় দলের যত সিনিয়র খেলোয়াড় আছে সবার থেকে আমি অনেক ভাল সাপোর্ট পাই। সবাই আমাকে ইতিবাচক কথা বলে। আমার চেষ্টা থাকে নিজেকে প্রমাণ করার। অনেক সময় সফল হই, আবার অনেক সময় ব্যর্থ হই। তবে সত্য কথা বলতে গেলে সুযোগটা আমার জন্য খুব কমই আসে।’ অনেক ফুলটস বলও হয়েছে; এটা কি ভেরিয়েশন আনতে গিয়ে? জুবায়ের বলেন, ‘লেগ স্পিনারদের কিছু লুজ বল করতে হয়। অনেক সময় তারা লুজ বলে উইকেট পায়। এটা বেশিরভাগ লেগ স্পিনারের ক্ষেত্রে হয়। আমি আসলে চেষ্টা করেছিলাম শট পিস কম দিতে। এটা আজকে (শুক্রবার) হয়নি। ম্যাচ খেলতে খেলতে ডে বাই ডে উন্নতি হবে।’ হ্যামিল্টন মাসাকাদজা, মেহরাব হোসেন জুনিয়র, শরিফুল্লাহ, তানভির হালদার, নিহাদুজ্জামান, আব্দুর রাজ্জাকের উইকেট শিকার করেছেন জুবায়ের। সেরা উইকেট কোনটা? জুবায়ের জানান, ‘মাসাদাকজা দারুণ শুরু করেছিল। ওর সঙ্গে এর আগে খেলেছিলাম। তখন আমি খেয়াল করেছিলাম ও গুগলিতে একটু দুর্বল। আমি ওকে তিনটা বলই গুগলি মেরেছি এবং সফল হয়েছি। সবকিছুই পরিকল্পনা অনুযায়ী করে সফল হয়েছি।’ প্রিমিয়ার লীগেও দলে নিয়মিত নন জুবায়ের। গত আসরে সাইড বেঞ্চেই বেশি বসে থাকতে হয়েছে। নিজেকে এখন দলে কোথায় দেখতে চান? এমন প্রশ্ন উঠতেই জুবায়ের বলেন, ‘আমার চেষ্টা প্রথমে দলে নিয়মিত হওয়া। প্রিমিয়ার লীগের ম্যাচগুলো খেলা আমার জন্য খুব গুরুত্বপূর্ণ। চেষ্টা ছিল রেগুলার হওয়া। শুরুটা ভাল হয়েছে। সামনের ম্যাচ আশাকরি খেলতে পারব। সামনের ম্যাচে এর ধারাবাহিকতা বজায় রাখতে চাই। ভাল শুরু হলে নিজের আত্মবিশ্বাস বেড়ে যায়। আমার চেষ্টা থাকবে সেরা পাঁচ বোলাররের মধ্যে থাকা।’
×