ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০

আবাহনীর কাছে ৭ উইকেটে বিধ্বস্ত কলাবাগান কেসি

তামিমের কাছে হার দিয়ে শুরু মাশরাফির

প্রকাশিত: ০৬:২২, ২৩ এপ্রিল ২০১৬

তামিমের কাছে  হার দিয়ে শুরু  মাশরাফির

স্পোর্টস রিপোর্টার ॥ এখন তারা প্রতিপক্ষ। টানা তিনটা মাস একইসঙ্গে কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে খেলেছেন দলকে সাফল্য এনে দিতে। এবার পরস্পরকে হারানোর জন্য নেমেছেন। জাতীয় দলের অধিনায়ক মাশরাফি বিন মর্তুজাকে অবশ্য এ পর্যায়ে পরাজিত করেছেন ওপেনার তামিম ইকবাল। শুক্রবার শুরু হওয়া ঢাকা প্রিমিয়ার ডিভিশন ক্রিকেট লীগে (ডিপিএল) মাশরাফির কলাবাগান ক্রীড়াচক্রকে ৭ উইকেটে বিধ্বস্ত করেছে তামিমের আবাহনী লিমিটেড। ফতুল্লার খান সাহেব ওসমান আলী স্টেডিয়ামে আরেকজনের দিকে দৃষ্টি ছিল সবার। তিনি ত্রুটিযুক্ত এ্যাকশনের জন্য আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে সাময়িক নিষিদ্ধ তরুণ পেসার তাসকিন আহমেদ। তবে সবাইকে ছাপিয়ে এ ম্যাচে জয়ের নায়ক জাতীয় দলে উপেক্ষিত লেগস্পিনার জুবায়ের হোসেন লিখন। তার নেয়া ৩৪ রানে ৬ উইকেটেই কলাবাগান কেসি ১৪০ রানে গুটিয়ে যায় ৩৩.১ ওভারে। ৩ উইকেট হারিয়ে ২৮.৩ ওভারেই ১৪২ রান তুলে জয় দিয়ে শুভ সূচনা করে আবাহনী। মাশরাফি টস জিতে আগে ব্যাটিংয়ের সিদ্ধান্ত নেন। কিন্তু প্রথম ওভারেই ত্রাস হয়ে ওঠেন তাসকিন। গত ১৬ মার্চ পাকিস্তানের বিরুদ্ধে কলকাতায় জাতীয় দলের হয়ে ম্যাচ খেলার পর এই প্রথম মাঠে নামলেন এ তরুণ পেসার। আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে নিষিদ্ধ হলেও এ্যাকশন শুদ্ধ করার পাশাপাশি ঘরোয়া ক্রিকেটে খেলার সুযোগ আছে তাসকিনের। তিনি ইনিংসের দ্বিতীয় বলেই ফিরিয়ে দেন তরুণ ওপেনার সাদমান ইসলামকে (০)। তাসকিনের মতো শুরু থেকেই মিতব্যয়ী বোলিং করতে না পারলেও আরেক পেসার আবুল হাসান ফিরিয়ে দেন ওপেনার জসিমউদ্দীনকে (১৬)। ৩৭ রানে দুই উইকেট হারালেও জিম্বাবুইয়ের অভিজ্ঞ ব্যাটসম্যান হ্যামিল্টন মাসাকাদজা ও তাসামুল হক বিপর্যয় কাটিয়ে উঠছিলেন। কিন্তু এরপরই জুবায়ের ও সাকলাইন সজীবের দ্বিমুখী ঘূর্ণিতে বেসামাল হয়ে যায় কলাবাগান কেসি। মাসাকাদজা ৫৪ বলে ৫ চারে সর্বোচ্চ ৪১ ও তাসামুল ৩৭ রান করে ফিরে যাওয়ার পর আর কেউ দাঁড়াতে পারেননি। শেষ পর্যন্ত ৩৩.১ ওভারে মাত্র ১৪০ রানেই থেমে যায় তাদের ইনিংস। জুবায়ের ৬টি আর সাকলাইন ২টি উইকেট নিয়ে ধস নামান। তাসকিন ৭ ওভারে ২৩ রান দিয়ে পেয়েছেন ওই একটিই উইকেট। জবাব দিতে নেমে চতুর্থ ওভারেই রানআউটের দুর্ভাগ্যে অধিনায়ক তামিমকে (৭) হারায় আবাহনী। দলীয় ৩৩ রানের সময় ফিরে যান লিটন কুমার দাসও (১২)। কিন্তু তৃতীয় উইকেটে ৫২ রানের জুটি গড়ে দলকে জয়ের পথে এগিয়ে নেন অভিষেক মিত্র (৩২) ও ভারতীয় ব্যাটসম্যান উদয় কাউল। এরপর কাউলের সঙ্গে অবিচ্ছিন্ন থেকে দলকে বিজয়ী করেই মাঠ ছাড়েন নাজমুল হোসেন শান্ত। কাউল ৫৬ বলে ৪ চারে ৪৪ ও শান্ত ৩৮ বলে ৪ চার ও ১ ছক্কায় ৩৫ রান করে অপরাজিত থাকেন। স্কোর ॥ কলাবাগান কেসি ইনিংস- ১৪০/১০; ৩৩.১ ওভার (মাসাকাদজা ৪১, তাসামুল ৩৭, জসিমউদ্দীন ১৬, রাজ্জাক ১২, মেহরাব ১০; জুবায়ের ৬/৩৪, সাকলাইন ২/২৫)। আবাহনী ইনিংস- ১৪২/৩; ২৮.৩ ওভার (কাউল ৪৪*, শান্ত ৩৫*, অভিষেক ৩২*, লিটন ১২, তামিম ৭; দেওয়ান ১/৭, নিহাদুজ্জামান ১/৩২)। ফল ॥ আবাহনী ৭ উইকেটে জয়ী। ম্যাচসেরা ॥ জুবায়ের হোসেন লিখন (আবাহনী)।
×