ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১

বাগেরহাটে প্রেমে প্রতারণায় ঝুমা বাড়ি ছাড়া

প্রকাশিত: ০৪:৪৬, ২৩ এপ্রিল ২০১৬

বাগেরহাটে প্রেমে প্রতারণায় ঝুমা বাড়ি ছাড়া

স্টাফ রিপোর্টার, বাগেরহাট ॥ প্রেম করে বিপাকে পড়েছে ঝুমা। ভালবাসার মানুষটি তার সঙ্গে প্রতারণা করেছে। শিল্পীর গানের মতো ‘প্রেম কাউকে হাসায় আবার কাউকে কাঁদায়’। ঝুমার জীবনে কান্না এসে ভর করেছে। প্রেমিকের পরিবারের হুমকি উপেক্ষা করে ভালবাসার অধিকার আদায় করতে তাকে এখন ঘুরতে হচ্ছে দ্বারে দ্বারে। আর এমনই প্রেমের প্রতারণা ঘটেছে চিতলমারী উপজেলার সন্তোষপুর গ্রামের গৌরঙ্গ হালদারের কন্যা ঝুমার জীবনে। ঝুমার পরিবার ও প্রতিবেশীদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, গত ৫-৬ মাস আগে একই উপজেলার বাঁশবাড়িয়া গ্রামের দেবেন ম-লের পুত্র তারাশংকরের সঙ্গে মোবাইল ফোনের মাধ্যমে ছাত্রী ঝুমার প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। এর পর থেকে তাদের মধ্যে চলে মন দেয়া-নেয়া। অল্প দিনের মধ্যে গভীর সম্পর্কে জড়িয়ে পড়ে তারা। এ অবস্থায় তারাশংকরের পরিবার বিষয়টি জানতে পেরে এ কাজে বাদসাধে। কোন ভাবে বিষয়টি তারা মেনে নিতে রাজি নয়। এমন পরিস্থিতে গত চার দিন আগে ঝুমা তারাশংকরের সঙ্গে দেখা করতে বাড়ি থেকে বের হয়। এদিন সে আর বাড়িতে ফিরে না আসায় পরিবারের লোকজন খোঁজ নেন। পরে জানা যায়, ঝুমা ও তারাশংকর থানায় আছে। তাদের চলাফেরা সন্দেহজনক বলে এলাকাবাসী তাদের থানায় সোপর্দ করে। ঝুমার পরিবার থেকে তারাশংকরের পরিবারের কাছে বিয়ের প্রস্তাব পাঠানো হয়। কিন্তু তার পরিবার এ বিয়ে কোন ভাবেই মেনে নিতে রাজি নয়। এ পরিস্থিতে থানা থেকে বেরিয়ে ঝুমাকে রেখে তারাশংকর বর্তমানে গা-ঢাকা দিয়েছে। এ ব্যাপারে ঝুমার সঙ্গে কথা হলে সে হতাশা প্রকাশ করে জানায়, তার আর বাড়িতে ফিরে যাবার মতো কোন সুযোগ নেই। প্রেমের নামে তার সঙ্গে প্রতারণা করা হয়েছে। তারাশংকর বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে তাকে বাড়ি থেকে ডেকে এনে এখন গা-ঢাকা দিয়েছে। এ ছাড়া তাকে বিভিন্ন ভাবে হুমকি দেয়া হচ্ছে। এ অবস্থায় তারাশংকরের পরিবার তাকে বিয়ের মাধ্যমে মেনে না নিলে তার আত্মহত্যা করা ছাড়া আর কোন পথ খোলা নেই। বর্তমানে বিয়ের দাবিতে বিভিন্ন লোকের দ্বারে দ্বারে ঘুরছে সে । এ ব্যাপারে তারাশংকরের পরিবারের সঙ্গে কথা হলে তারা জানান, বিষয়টি সমাধানের জন্য চেষ্টা করা হচ্ছে। বিষয়টি নিয়ে উপজেলা কমিশনার (ভূমি) ও ভারপ্রাপ্ত ইউএনও মোঃ আনোয়ার পারভেজের সঙ্গে কথা হলে তিনি জানান, ছেলেটির এখনও বিয়ের বয়স না হওয়ায় ওই প্রেমিক যুগলকে স্থানীয় এক ইউপি সদ্যস্যের জিম্মায় দেয়া হয়েছে।
×