ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১

রাজধানীর সিপাহীবাগে উন্নয়ন কাজে শিক্ষার্থীদের ভোগান্তি

প্রকাশিত: ০৪:৪১, ২৩ এপ্রিল ২০১৬

রাজধানীর সিপাহীবাগে উন্নয়ন কাজে শিক্ষার্থীদের ভোগান্তি

স্টাফ রিপোর্টার ॥ প্রায় এক মাস ধরে রাজধানীর সিপাহীবাগ প্রধান সড়কের উন্নয়ন কাজ পরিচালনা করছে ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশন। এর ফলে বিপাকে পড়েছে খিলগাঁও এলাকার প্রায় বিশটি স্কুলের শিক্ষার্থীরা। শিক্ষার্থীরা বলছেন, বিকল্প ব্যবস্থা না থাকায় অনেকেই ফুটপাথ দিয়ে দীর্ঘ পথ হেঁটেই রওনা দিচ্ছেন গন্তব্যে। নগর পরিকল্পনাবিদরা বলছেন, জবাবদিহিতা না থাকার কারণেই যে কোন উন্নয়ন কাজে বাড়ছে জন দুর্ভোগ। এদিকে দু-একদিনের মধ্যে সড়কটি মেরামত করার আশ্বাস ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের। মাঝ রাস্তায় রিক্সা থেকে নামছেন দুই শিক্ষার্থী। তারপর হেঁটেই গন্তব্যের উদ্দেশে রওনা দিচ্ছেন তারা। খিলগাঁও সরকারী উচ্চ বিদ্যালয়ের ১০ম শ্রেণীর ছাত্র আশরাফ ও মেশকাতই নয়, সিপাহীবাগ প্রধান সড়কটির বেহাল অবস্থা থাকায় খিলগাঁও মডেল কলেজ, ন্যাশনাল আইডিয়াল স্কুল, বাংলাদেশ কমার্স কলেজসহ প্রায় বিশটি স্কুলের অধিকাংশ শিক্ষার্থী প্রতিদিনই মুখোমুখি হচ্ছে নানা সমস্যার। শুধু শিক্ষার্থীরা নয়, এর ফলে দুর্ভোগে পড়েছেন এলাকাবাসী ও ব্যবসায়ীরাও। নগর পরিকল্পনাবিদ ইকবাল হাবিব বলছেন, নগরবাসীর দুর্ভোগ কমাতে দরকার সরকারী প্রতিষ্ঠানগুলোর সমন্বিত উদ্যোগ। ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশন মেয়র সাঈদ খোকন বলছেন, জলাবদ্ধতা সমস্যার স্থায়ী সমাধানের জন্যই একটু বেশি সময় নিয়ে করা হচ্ছে বিভিন্ন সড়কের উন্নয়ন কাজ। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, দীর্ঘদিন ধরে রাজধানীর বিভিন্ন রাস্তা খুঁড়ে রেখে উন্নয়ন কাজ পরিচালনার কারণে দিন দিন বাড়ছে যানজট। চট্টগ্রামে ৭০ শতাংশ ত্রুটিপূর্ণ ভবন জনকণ্ঠ রিপোর্ট ॥ বন্দরনগরী চট্টগ্রামে ২ লাখ বহুতল ভবনের ৭০ শতাংশই কোন না কোনভাবে ত্রুটিপূর্ণ বলে নিশ্চিত হয়েছে সিডিএ। পাঁচ মাসের অনুসন্ধানে ত্রুটিপূর্ণ ভবনগুলো চিহ্নিত হওয়ায় এখন তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে যাচ্ছে সিডিএ। তবে এসব ভবন নির্মাণের জন্য সিডিএর অবহেলাকেই দায়ী করছেন নগর পরিকল্পনাবিদরা। ৬০ বর্গমাইলের এ নগরীতে ছোট-বড় বহুতল ভবন রয়েছে অন্তত দু’লাখ। নিয়ম অনুযায়ী যে কোন ভবন নির্মাণের ক্ষেত্রে চট্টগ্রাম উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ বা সিডিএর কাছ থেকে নকশা অনুমোদন নেয়া হয়। কিন্তু প্রায়ই ভবন নির্মাণকালীন সময় কিংবা নির্মাণের পর নানা ধরনের অভিযোগ উঠতে থাকে। সম্প্রতি এ ধরনের অভিযোগের পরিমাণ বাড়তে থাকায় সিডিএর পক্ষ থেকে শুরু হয় বিশেষ জরিপের কাজ। চট্টগ্রাম উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ চেয়ারম্যান আবদুছ ছালাম বলেন, ‘বিনা অনুমোদনে কোন নকশা হয়েছে কি না, ভবনগুলো ফুটপাথ ও খাল দখল করেছে কি না, বেজমেন্টের কাজ ঠিকভাবে হয়েছে কি না এগুলো আমরা পুঙ্খানুপুঙ্খভাবে সার্ভে কাজ শুরু করেছি।’ গত বছরের ডিসেম্বর থেকে শুরু হওয়া এ জরিপের প্রথম পর্যায়ে নগরীর প্রধান ১৯টি সড়কের পার্শ্ববর্তী ভবনগুলো পরীক্ষা করা হচ্ছে। ইতোমধ্যে সাতটি সড়কের পার্শ্ববর্তী ১৫ থেকে ২০ হাজার ভবনের পরীক্ষার কাজ শেষ হয়েছে। আর তাতেই পাওয়া গেছে আঁতকে ওঠার মতো নানা তথ্য। নগর পরিকল্পনাবিদরা বলছেন, সিডিএ শুধু ভবনের নক্সা অনুমোদন দিয়েই তাদের দায়িত্ব শেষ করে। তাদের তদারকি না থাকায় ঝুঁকিপূর্ণ ভবন নির্মাণের সুযোগ নিচ্ছে সাধারণ মানুষ। নগর পরিকল্পনাবিদ স্থপতি আশিক ইমরান বলেন, ‘চট্টগ্রামে উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের যে নজরদারিটা রাখার কথা ছিল বিশেষ করে ভবন নির্মাণকালীন সময়ে, তারা সেটা করতে ব্যর্থ হয়েছে। যার কারণে ভবন মালিকরা বেপরোয়াভাবে আইন ভঙ্গ করছেন।’ সিডিএ কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, জরিপের কাজ শেষ হলেই ত্রুটিপূর্ণ ভবনগুলোর বিরুদ্ধে শুরু হবে ভ্রাম্যমাণ আদালতের বিশেষ অভিযান। বর্জ্য বিষিয়ে তুলছে কক্সবাজারের পরিবেশ জনকণ্ঠ রিপোর্ট ॥ আইন অনুসারে বাধ্যতামূলক হলেও পর্যটন নগরী কক্সবাজারে গড়ে ওঠা চার শতাধিক হোটেল, মোটেল ও রিসোর্টের বেশিরভাগেরই নেই স্যুয়ারেজ ট্রিটমেন্ট প্লান্ট বা এসটিপি। ফলে হাজার হাজার টন বর্জ্য নির্গত হয়ে বিষিয়ে তুলছে পরিবেশ। তাই এবার মাঠে নেমেছে পরিবেশ অধিদফতর। এসটিপি না থাকায় সব প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে যাচ্ছে সংস্থাটি। কোন নিয়ন্ত্রণ নেই, তাই কক্সবাজারে একের পর এক গড়ে উঠেছে হোটেল, মোটেল ও রিসোর্ট। যার বেশিরভাগই সৈকতের কাছাকাছি। বছরে শহরটিতে পর্যটক সমাগম হয় প্রায় ১০ লাখ। যার অন্তত ৬ লাখই ভিড় জমান পর্যটন মৌসুমে। সে সময় চার শতাধিক হোটেল মোটেল ও রিসোর্টে সৃষ্টি হয় হাজার হাজার মেট্রিক টন তরল বর্জ্য। কোন পরিশোধন ছাড়াই খাল-নালা হয়ে এসব বর্জ্য পড়ছে সাগরে। নষ্ট হচ্ছে পরিবেশ। বিস্ময়কর হলেও সত্য, স্যুয়ারেজ ট্রিটমেন্ট প্লান্ট আছে মাত্র ছয়টি হোটেলে। তাই সবাইকে নিয়মের মধ্যে আনতে মাঠে নেমেছে পরিবেশ অধিদফতর। হোটেল মালিক সমিতির সহ-সভাপতি সাখাওয়াত হোসাইন জানালেন, বরাদ্দ পাওয়া প্লটের পুরোটাতেই স্থাপনা রয়েছে। তাই কেন্দ্রীয়ভাবে এসটিপি করা দরকার। অবশ্য পরিবেশ অধিদফতরের সহকারী পরিচালক সরদার শরীফুল ইসলাম জানালেন, পৌরসভা ও জেলা প্রশাসনের উদ্যোগে কেন্দ্রীয়ভাবে এসটিপি করা হবে। এখন থেকে এসটিপি বাস্তবায়ন ছাড়া নতুন কোন হোটেল নির্মাণ করতে দেয়া হবে না বলে জানিয়েছে পরিবেশ অধিদফতর। সিলেটে ঝুঁকিপূর্ণ ভবন ভেঙ্গে ফেলার কাজ শুরু সিলেটে চিহ্নিত ৩০টি ঝুঁকিপূর্ণ ভবনের মধ্যে বৃহস্পতিবার একটি ভবন ভেঙ্গে ফেলার কাজ শুরু করেছে সিটি কর্পোরেশন। বৃহস্পতিবার সকালে শহরের তাঁতিপাড়ায় তিন তলা ভবন ভাঙ্গার কাজ শুরু করে সিটি কর্পোরেশনের শ্রমিকরা। এর আগে গতকাল বাড়ির বাসিন্দাদের তাদের প্রয়োজনীয় জিনিসপত্রসহ সরিয়ে নেয়া হয়। পরে বাড়ির বিদ্যুত ও গ্যাস সংযোগ বিচ্ছিন্ন করা হয়। গত ৪ জানুয়ারি ও ১৩ এপ্রিল ভূমিকম্পের পর প্রকৌশলীদের নিয়ে সিলেট নগরীর ঝুঁকিপূর্ণ ভবন চিহ্নিত করার কাজ শুরু করে সিটি কর্পোরেশন। পরে সরকারী-বেসরকারী ভবন এবং মার্কেটসহ ৩০টি স্থাপনা ঝুঁকিপূর্ণ ঘোষণা করা হয়। মালিক পক্ষকে স্থাপনা ভেঙ্গে ফেলার নোটিসও দেয়া হয়। এরই ধারাবাহিকতায় ভবন ভাঙ্গার কাজ শুরু করে সিটি কর্পোরেশন। Ñজনকণ্ঠ রিপোর্ট
×