ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১

গুরুত্বপূর্ণ লিবীয় শহর দেরনা থেকে আইএস বিতাড়িত

প্রকাশিত: ০৩:৪৬, ২৩ এপ্রিল ২০১৬

গুরুত্বপূর্ণ লিবীয় শহর দেরনা থেকে আইএস বিতাড়িত

লিবিয়ায় গুরুত্বপূর্ণ পূর্বাঞ্চলীয় শহর দেরনা থেকে তথাকথিত ইসলামিক স্টেটের (আইএস) জঙ্গীদের হটিয়ে দেয়া হয়েছে। প্রতিদ্বন্দ্বী একটি ইসলামপন্থী গ্রুপ এ কথা বলেছে। খবর বিবিসি অনলাইনের। দেরনা মুজাহিদীন শূরা কাউন্সিলের (ডিএমএসসি) মুখপাত্র হাফেজ দাবা বিবিসিকে বলেছেন, আইএসের জঙ্গীরা দেরনা ত্যাগ করেছে। তাদের সেখানে কোন উপস্থিতি নেই। আল কায়েদা সম্পৃক্ত ডিএমএসসি হচ্ছে স্থানীয় মিলিশিয়াদের একটি জোট। আইএস,ডিএমসি ও লিবিয়ার পূর্বাঞ্চলীয় সরকার সমর্থিত বাহিনীর মধ্যে ত্রিমুখী লড়াই হয়েছে দেরনায়। লিবিয়ায় ২০১৪ থেকে দুটি প্রতিদ্বন্দ্বী সরকারের অস্তিত্ব দেখা যায়। একটি সরকার রয়েছে ত্রিপোলিতে এবং অন্যটি কাজ করছে পুর্বাঞ্চলীয় শহর তোবরুকে। জাতিসংঘের উদ্যোগে গঠিত একটি নতুন ঐক্য সরকার দেশটিতে শান্তি প্রতিষ্ঠার চেষ্টা চালাচ্ছে। ২০১১য়ে কর্নেল মুয়াম্মার গাদ্দাফির পতনের পর লিবিয়া সহিংসতায় বিধ্বস্ত হয়েছে। আইএসকে সম্পূর্ণভাবে হটিয়ে দেয়ার যে দাবি করেছে ডিএমএসসি তার সত্যতা নিরপেক্ষভাবে যাচাই করা যায়নি। দাবা বলেন যে, দেরনার ফাতাইয়াহ এলাকায় গত ২৪ ঘণ্টার লড়াইয়ে ডিএমএসসিয়ের ৫ যোদ্ধা ও ৬ বেসামরিক ব্যক্তি নিহত হয়েছে। বুধবার থেকে সামাজিক মিডিয়ার ওয়েবসাইটে দেখা যায়, দেরনার বাসিন্দারা এ বন্দর শহরে বিজয় উদ্যাপন করছে। দেরনার এক বাসিন্দা সংবাদ সংস্থাকে বলেছেন, আজ (বৃহস্পতিবার) দেরনায় সবকিছুই শান্ত। জীবনযাত্রা স্বাভাবিক। একমাত্র সমস্যা হচ্ছে ব্যাংকগুলোতে কোন নগদ অর্থ নেই। আইএসের বিরুদ্ধে ডিএমএসসিয়ের লড়াইয়ের কারণে ফাতাইয়াহতে গতকাল উত্তেজনা বিরাজ করে। শহরে বিমানবাহিনী কিছু বোমাবর্ষণও করেছে। আইএস ২০১৫য়ের অক্টোবরে দেরনায় ঘাঁটি প্রতিষ্ঠা করে এবং সে বছর জুনের আগ পর্যন্ত শহরটি তাদের পুরো নিয়ন্ত্রণে রাখে। ১৯৮০ ও ১৯৯০য়ের দশকে কর্নেল গাদ্দাফির বিরুদ্ধে বিদ্রোহে দেরনা জিহাদীদের ঘাঁটি ছিল। বুধবারের ঘটনায় লিবিয়ায় আইএসের সর্বশেষ ঘাঁটির পতনের সূচনা হয়। দেশটিতে সাম্প্রতিক মাসগুলোতে আইএসের বিস্তার ঘটার ব্যাপারে সতর্কবাণী সত্ত্বেও অনেক পর্যবেক্ষক মনে করেছেন এ চরমপন্থী গ্রুপটি লিবিয়ার সশস্ত্র গ্রুপগুলোর মধ্যে এক ক্ষুদ্র ভূমিকা পালন করছে।
×