ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১

‘আর্থিক কেলেঙ্কারিতে ৩০ হাজার কোটি টাকা চুরি হয়েছে ৭ বছরে’

প্রকাশিত: ০৮:৫২, ২২ এপ্রিল ২০১৬

‘আর্থিক কেলেঙ্কারিতে ৩০ হাজার কোটি টাকা চুরি হয়েছে ৭ বছরে’

অর্থনৈতিক রিপোর্টার ॥ গত ১৫ বছরে দেশের ব্যাংকিং খাতে ৯টি বড় ধরনের আর্থিক কেলেঙ্কারি হয়েছে। আর গত ৭ বছরে সংঘটিত ৬টি বড় আর্থিক কেলেঙ্কারিতে ৩০ হাজার কোটি টাকারও বেশি চুরি বা লোপাট কিংবা আত্মসাত করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার জাতীয় প্রেসক্লাবে ‘ব্যাংকিং খাতে সুশাসন প্রতিষ্ঠায় করণীয়’ শীর্ষক গোলটেবিল বৈঠকে এ তথ্য তুলে ধরা হয়। সুজন’র (সুশাসনের জন্য নাগরিক) সভাপতি হাফিজউদ্দিন আহমেদের সভাপতিত্বে এতে উপস্থিত ছিলেন সাবেক তত্ত্বাবধায়ক সরকারের উপদেষ্টা মির্জা আজিজুল হক, বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক গবর্নর সালেহ উদ্দিন আহমেদ, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক আবু আহমেদ প্রমুখ। সাবেক গবর্নর সালেহ উদ্দিন আহমেদ বলেন, পুঁজিবাজার, বিসমিল্লাহ গ্রুপ, ডেসটিনি, হলমার্ক, ওরিয়েন্টাল ব্যাংক, বেসিক ব্যাংক, সোনালী ব্যাংক এবং সর্বশেষ রিজার্ভের টাকা চুরির মধ্য দিয়ে খোদ বাংলাদেশ ব্যাংক আর্থিক কেলেঙ্কারির সঙ্গে জড়িয়ে গেল। এত এত আর্থিক প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে কেলেঙ্কারি শব্দটিই যখন বিশেষণ হিসেবে যুক্ত হয়ে যাচ্ছে, তখন আর্থিক খাতের ভবিষ্যৎ আসলে কী, তা নিয়েই মূলত সেমিনারে আলোচনা করা হয়। অর্থনীতিবিদ আবু আহমেদ বলেন, এক ডাকাতকে বলা হলো তুমি ব্যাংকে ডাকাতি কেন করলে? ডাকাত তখন বলে, আরে ব্যাংকেই তো টাকা আছে। যেখানে টাকা আছে, সেখান থেকেই আমাদের ফিন্যান্সিয়াল সন্ত্রাসী বলেন যাই বলেন, এটা টাকা-পয়সা নেবে। এটা হয়ে গেছে। কারণ, আমাদের যাদের এটা রোধ করার কথা, তারা এত দুর্বল অথবা সামটাইমস, যারা রোধ করবে তারা কোলাবোরেটরস। ইন সাম কেসেস। এ বিষয়ে সাবেক তত্ত্বাবধায়ক সরকারের উপদেষ্টা এবি মির্জ্জা আজিজুল ইসলাম বলেন, যতই সংস্কার করে নতুন নতুন নিয়ম চালু করা হোক, সবকিছুই ভেস্তে যাবে যদি এগুলো পরিচালনা করার মানুষগুলো সৎ ও সাহসী না হোন। বৈঠকে আরও বক্তব্য রাখেন সুজন সম্পাদক বদিউল আলম মজুমদার, গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের প্রতিষ্ঠাতা পরিচালক ড. জাফরুল্লাহ চৌধুরী প্রমুখ। আর্থিক খাতে একের পর এক কেলেঙ্কারির ঘটনা ঘটার জন্য বিচারহীনতারও যথেষ্ট ভূমিকা রয়েছে বলে মনে করেন সেমিনারে অংশ নেয়া বিশিষ্টজনরা।
×