ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১

বিশ্বসাহিত্যের টুকরো খবর

প্রকাশিত: ০৭:৪৪, ২২ এপ্রিল ২০১৬

বিশ্বসাহিত্যের টুকরো খবর

ইউজিন দেলাক্রোয়া ও মডার্ন রোমান্টিক আর্ট ইউজিন দেলাক্রোয়া। আধুনিক আর্টের জনক বলা হয় তাকে। পুরো নাম ফার্ডিনান্দ ভিক্টর ইউজিন দেলাক্রোয়া। ১৭৯৮ সালে সাহিত্য সাংস্কৃতির পূন্য ভূমি ফ্রান্সে জন্ম নেন। আধুনিক রোমান্টিক আর্টের জন্মদাতা এই শিল্পীর একটি একক চিত্র প্রদর্শনী হয়ে গেল ন্যাশনাল গ্যালারি অফ লন্ডনে। ১৯৬৪ সালের পর বৃহৎ পরিসরে এটিই তার সবচেয়ে বড় একক চিত্র প্রদর্শনী। উনবিংশ শতাব্দির শুরু থেকে ফরাসি বিপ্লব পর্যন্ত ফান্স খুব কঠিন সময় পার করে। ঠিক এরকম সময়েই ছবি একেঁছেন তিনি। এরকম কঠিন সময়েই তিনি একেঁছেন প্রেমের ছবি। অতি কল্পনা বিলাশী এই শিল্পী রোমান্টিক ছবি আঁকলেও ফরাসি বিপ্লবের সময় তিনি অবদান রেখেছেন। ‘লায়ন হান্ট,ম্যাসাকার অফ চিওস, লিবার্টি লিডিং দ্যা পিপল’ শিরোনামে তার বিপ্লবের সেই দিনগুলিতে আঁকা ছবি। দেলাক্রোয়া পরবর্তী শিল্পীরা অনেকেই দেলাক্রোয়ার থেকে সরাসরি প্রভাবিত ছিলেন যেমন রেনর, ম্যানেট, পিস্যেরো, গুজিন, সেজনেসহ আরো অনেকে। এসব বিখ্যাত চিত্র শিল্পীরা একবাক্যে স্বীকার করে গেছেন আধুনিক রোমান্টিক চিত্রকলায় দেলাক্রোয়ার অবদান সর্বাধিক। তার একটি বিখ্যাত চিত্রকর্ম ‘দ্যা ডেথ অফ সারডানাপলস’ যা আজও বিমোহিত করে। ছবিটি সংরক্ষিত আছে আমেরিকার পেন্সিলভেনিয়ার ফিলাডেলফিয়া মিউজিয়াম অফ আর্টে। দেলাক্রোয়াকে আধুনিক আর্টের রক স্টারও বলা হয়। দেলাক্রোয়ার জীবন আচরনও পরবর্তীতে প্রভাব ফেলেছিল তার অনূজদের। এমনকি গভীরভাবে খেয়াল করলে দেখা যাবে বর্তমান সময়ের চিত্রশিল্পীদের মাঝেও তা চলে আসছে। দেলাক্রোয়া বিয়ে করেন নি। স্বাধীনচেতা এই শিল্পী ছোটবেলা থেকেই খুব বেপরোয়া ও বে-খেয়ালি। পৃথিবীতে বিভিন্ন সময় সংগীত ও চিত্রকলায় বিভিন্ন রকম আন্দোলন হয়েছে। দেলাক্রোয়া নিজেই এমন একটি আন্দোলনের রূপকার ছিলেন। যে আন্দোলন পরবর্তিতে ‘রোমান্টিসিজম মুভমেন্ট’ নামে পরিচিতি পাই। দেলাক্রোয়া ব্যক্তিগতভাবে ইতালিয়ান চিত্রশিল্পী পিটার পল রুবেন্সের থেকে প্রভাবিত ছিলেন। প্রথম উপন্যাসেই পুলিৎজার ভিয়েত থাং নগুয়েন। তার প্রথম উপন্যাস ‘দ্যা সিমপ্যাথাইজার‘ লিখেই পেয়ে গেলেন পুলিৎজার পুরষ্কার ২০১৬। নোবেল পুরষ্কারের পর সবচেয়ে বড় সম্মাননা পুলিৎজার পুরষ্কার। সাংবাদিকতা, সাহিত্য এবং সংগীতে বিশেষ অবদানের জন্য এ পুরষ্কার দেয়া হয়। ১৯৫৫ থেকে ১৯৭৫ সাল পর্যন্ত দীর্ঘ ১৯ বছর এর ভিয়েতনাম আমেরিকার যুদ্দের পেক্ষাপট নিয়ে লিখা হয়েছে ‘দ্যা সিমপ্যাথাইজার’। দক্ষিন ভিয়েতনামের এক রাজনৈতিক যুদ্ধ বন্দির স্বীকারোক্তি এ উপন্যাসের মূল বিষয়। এছাড়া ঐ সময় ভিয়েতনামবাসীর ওপর যে নির্মম নির্যাতন করা হয়েছিল সে সম্পর্কেও ভালো ধারনা তুলে ধরা হয়েছে। সম্ভবত এটিই সবচেয়ে যুক্তিযুক্ত বিবরণ যার কারনে তাকে পুলিৎজার দেয়া হল। ‘দ্যা সিমপ্যাথাইজার‘ আমেরিকার আটলান্টার গ্রুব প্রেস থেকে ২০১৫ সালে প্রকাশিত হয়। পুলিৎজার পুরষ্কারে মনোনিত হওয়ার আগে তিনি আরো দুটি পুরষ্কার পেয়েছে। এছাড়াও এ বইটি নিয়ে নিউ ইয়র্ক টাইমস দুইবার বুক রিভিউ করে। এটি ছিল বেস্ট সেলিং নোভেল। ভিয়েত থাং নগুয়েন পেশায় প্রফেসর। তিনি দক্ষিন ক্যালিফোর্নিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ে ইংরেজি পড়ান। ১৯৭১ সালে ভিয়েতনামে তার জন্ম। ১৯৭৫ সালে সপরিবারে তারা আমেরিকা চলে আসেন।
×