ঢাকা, বাংলাদেশ   মঙ্গলবার ২৩ এপ্রিল ২০২৪, ১০ বৈশাখ ১৪৩১

হাওড়ে যোগাযোগ ব্যবস্থার উন্নয়ন হলে অর্থনীতির চাকাও সচল হবে ॥ রাষ্ট্রপতি

প্রকাশিত: ০৭:২১, ২২ এপ্রিল ২০১৬

হাওড়ে যোগাযোগ ব্যবস্থার উন্নয়ন হলে অর্থনীতির চাকাও সচল হবে ॥ রাষ্ট্রপতি

নিজস্ব সংবাদদাতা, কিশোরগঞ্জ, ২১ এপ্রিল ॥ রাষ্ট্রপতি মোঃ আবদুল হামিদ বলেছেন, মালদ্বীপে যেমন হাজার খানেক দ্বীপ রয়েছে তেমনি কিশোরগঞ্জের হাওড়ের প্রায় ১২শ’ গ্রামকেও মালদ্বীপের মতোই মনে হয়। তবে ইটনা-মিঠামইন-অষ্টগ্রাম উপজেলায় যাতায়াতের জন্য সড়ক নির্মাণ কাজ শেষ হলে পাল্টে যাবে হাওড়ের চেহারা। কেননা হাওড়ের ভেতর দিয়ে সারাবছর চলাচলের উপযোগী এ রাস্তাটি নির্মিত হলে কেবল যোগাযোগ ব্যবস্থার উন্নয়ন হবে না, পাশাপাশি হাওড়ের অর্থনীতির চাকাও সচল হবে। তাই নির্মাণ কাজ যাতে ভালভাবে সম্পন্ন হয়, সে জন্য এলাকার লোকজনকে সহযোগিতা করতে হবে। আর এই রাস্তা নির্মাণের সঙ্গে যারা জড়িত তাদের সঠিকভাবে দায়িত্ব পালন করতে হবে। তিনি বৃহস্পতিবার বেলা দুইটায় প্রায় ৬শ’ কোটি টাকা ব্যয়ে ইটনা টু অষ্টগ্রাম রাস্তার নির্মাণ কাজের অংশ হিসেবে ঢাকী ইউনিয়নের বাঘাইয়া নদীতে সেতু নির্মাণ কাজের উদ্বোধন উপলক্ষে আয়োজিত এক সমাবেশে এসব কথা বলেন। রাষ্ট্রপতির সফরকালে যোগাযোগ ও সেতু মন্ত্রী ওবায়দুল কাদের, পরিকল্পনা মন্ত্রী আ হ ম মোস্তফা কামাল, শ্রম ও কর্মসংস্থান প্রতিমন্ত্রী মুজিবুল হক চুন্নু, কিশোরগঞ্জ-৪ আসনের সংসদ সদস্য রাষ্ট্রপতিপুত্র রেজওয়ান আহাম্মদ তৌফিক, কিশোরগঞ্জ-২ আসনের সংসদ সদস্য সোহরাব উদ্দিন, জেলা পরিষদ প্রশাসক মোঃ জিল্লুর রহমান, জেলা প্রশাসক আজিমুদ্দিন বিশ্বাস, পুলিশ সুপার আনোয়ার হোসেন খান, মিঠামইন উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি অধ্যক্ষ আব্দুল হক নূরুসহ সামরিক ও বেসামরিক প্রশাসনের উর্ধতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন। ভাটির শার্দুলখ্যাত রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদ আরও বলেন, হাওড়ের মানুষ যোগাযোগ ব্যবস্থার দিক দিয়ে এতোদিন চরমভাবে অবহেলিত ছিল। একটা সময় ছিল, হাওড়ের মানুষ মামলার হাজিরা দিতে একদিনের জন্য জেলা আদালতে গেলে তাদের তিনদিন থাকতে হতো। এখন আর সেই দিন নেই। ইটনা-মিঠামইন-অষ্টগ্রাম সড়ক নির্মাণ কাজ শেষ হলে বর্ষাকালেও তিন উপজেলার মধ্যে সড়ক যোগাযোগ ব্যবস্থা থাকবে। এ কারণে ইটনা থেকে মিঠামইন হয়ে অষ্টগ্রাম উপজেলায় সরাসরি সারাবছর চলাচলের জন্য এই রাস্তা নির্মিত হচ্ছে। ভবিষ্যতে অষ্টগ্রাম থেকে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নাসিরনগরের সঙ্গে সড়ক যোগাযোগের ব্যবস্থা করা হলে হাওড়ের লোকজন সড়কপথে যে কোন স্থানে যাতায়াত করতে পারবেন। নিরাপত্তাকর্মীদের বাধার কারণে দূরে দাঁড়িয়ে থাকা লোকজনের উদ্দেশে তিনি বলেন, আপনারা আমার নিজের লোক। কষ্ট করে আমাকে দেখতে এসেছেন। আমি আপনাদেরই লোক। আপনারা আমার জন্য দোয়া করবেন। এরপর রাষ্ট্রপতি সুইচ টিপে তিন উপজেলার সেতু নির্মাণ কাজের উদ্বোধন করেন। এর আগে রাষ্ট্রপতি মিঠামইন ক্লাব মাঠে বিভিন্ন শ্রেণী-পেশার লোকদের সঙ্গে সংক্ষিপ্ত মতবিনিময় সভায় মিলিত হন। পরে বিকেল ৪টা ১০ মিনিটে রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদ ঢাকা বঙ্গভবনের উদ্দেশে হেলিকপ্টারযোগে মিঠামইন ত্যাগ করেন।
×