ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১

স্টুটগার্টের কোয়ার্টারে কারবার

প্রকাশিত: ০৬:৩৭, ২২ এপ্রিল ২০১৬

স্টুটগার্টের কোয়ার্টারে কারবার

স্পোর্টস রিপোর্টার ॥ এ বছরেই ক্যারিয়ারের প্রথম গ্র্যান্ডসøাম টুর্নামেন্ট জয়ের স্বাদ পেয়েছেন এ্যাঞ্জেলিক কারবার। এর পরের সময়টাও ভাল কেটেছে জার্মান তারকার। পারফর্মেন্সের সেই ধারাবাহিকতা ধরে রেখেছেন স্টুটগার্ট ওপেনেও। বুধবার দ্বিতীয় পর্বে স্বদেশী আনিকা বেককে পরাজিত করে টুর্নামেন্টের কোয়ার্টার ফাইনালের টিকিটও নিশ্চিত করেছেন তিনি। তবে কারবারের জয়টা খুব সহজে আসেনি। স্টুটগার্ট ওপেনের দ্বিতীয় বাছাই এ্যাঞ্জেলিক কারবার ৪-৬, ৬-৩ এবং ৬-১ সেটে পরাজিত করেছেন আনিকা বেককে। দুই ঘণ্টারও বেশি সময় ঘামঝরানো লড়াইয়ের পর শেষ আটে জায়গা করে নেন তিনি। এ্যাঞ্জেলিক কারবার ছাড়াও শেষ আটের টিকেট কেটেছেন গারবিন মুগুরুজা। স্প্যানিশ টেনিসতারকা এদিন ৬-২ এবং ৬-২ সেটে পরাজিত করেছেন হুন্ডুরাসের টিমিয়া বাবোসকে। স্টুটগার্ট ওপেনের বর্তমান চ্যাম্পিয়ন কারবার। যে কারণে ফেবারিটের তকমাটা গায়ে মাখানো ছিল তার। শুধু তাই নয়, চলতি বছরের প্রথম মেজর টুর্নামেন্ট অস্ট্রেলিয়ান ওপেনের চতুর্থ পর্বেও আনিকা বেকের মুখোমুখি হয়েছিলেন তিনি। সেখানে কারবারের কাছে পাত্তাই পাননি বেক। শুধু তাই নয়, জার্মানির ফেড কাপের দলের সদস্যও তারা। যে কারণে একজন আরেকজনকে খুব ভাল করেই জানেন। আর সে কারণেই কারবার জানিয়েছেন, একজন জার্মানির বিপক্ষে খেলাটা সবসময়ই কঠিন। এ বিষয়ে তিনি বলেন, ‘জার্মান কোন খেলোয়াড়ের বিপক্ষে খেলাটা সবসময়ই কঠিন। আর এখানে প্রথম ম্যাচে তো অবশ্যই কঠিন।’ আনিকা বেক এখানে এবারই প্রথম দ্বিতীয় পর্বে জায়গা করে নেন। তাই লড়াইটা যে কঠিন হবে তার একটা ইঙ্গিত কারবার আগেই পেয়েছিলেন। তবে কারবার চেষ্টা করেছেন নিজের অভিজ্ঞতাকে কাজে লাগিয়ে সুযোগগুলোকে লুফে নিতে। তাও খুব সহজে সম্পন্ন হয়নি। তা নিজের মুখেই স্বীকার করেছেন কারবারÑ ‘আমি চেয়েছিলাম সুযোগগুলোকে কাজে লাগাতে, কিন্তু তাও খুব সহজ ছিল না। তবে আমি চেষ্টা করেছি ম্যাচে থাকার এবং পয়েন্ট বাই পয়েন্ট জিতে এগিয়ে যাওয়ার জন্য।’ এ সময় কারবার জানান, তার আত্মবিশ্বাসও ম্যাচ জিততে বেশ সহায়তা করেছে, ‘প্রথম সেট জিতি কিংবা হারি, এখানে আমার বিশ্বাসটা ছিল। আমি জানতাম এখানে শেষপর্যন্ত লড়াই করতে পারব এবং গুরুত্বপূর্ণ মুহূর্তে যে কী করতে হয় সেটাও জানা ছিল আমার। কিভাবে আত্মবিশ্বাসী হতে হয় সাম্প্রতিক সময়ে নিজেকে প্রমাণ করেছি। আমি মনে করি সেটাই এখানে আমার অতিরিক্ত শক্তি হিসেবে কাজ করেছে। এ টুর্নামেন্টের কোয়ার্টার ফাইনালে জায়গা পেয়ে আমি খুবই আনন্দিত।’ স্টুটগার্টে এবার জার্মানরাই যেন রাজত্ব করবে। তার ইঙ্গিত শুরু থেকেই লক্ষ্যণীয়। প্রথম রাউন্ডের বাধা পেরিয়েছেন আরও দুই জার্মান। কারবারের স্বদেশী আন্দ্রেয়া পেটকোভিচ এবং জুলিয়া জর্জেস খুব সহজেই প্রতিপক্ষের বিপক্ষে জিতে দ্বিতীয় পর্বে জায়গা করে নিয়েছেন। ২০১১ সালে স্টুটগার্টের শিরোপা জিতেছিলেন জুলিয়া জর্জেস। প্রথম পর্বে তিনি ৬-৪ এবং ৬-০ সেটে পরাজিত করেছেন ফ্রান্সের এ্যালিজ কর্নেটকে। প্রতিপক্ষকে হারাতে জর্জেস সময় নেন ১ ঘণ্টা ১৬ মিনিট। পরবর্তী রাউন্ডে তার প্রতিপক্ষ এখন রবার্টা ভিঞ্চি। ২০১৫ ইউএস ওপেনের ফাইনালিস্ট ভিঞ্চি ৭-৬ (৭/৪), ৪-৬ এবং ৬-৪ সেটে পরাজিত করেন রাশিয়ার একাটেরিনা মাকারোভাকে। টেনিস র‌্যাঙ্কিংয়ের সাবেক শীর্ষ দশের তারকা মাকারোভার বিপক্ষে এর আগেও পাঁচবার খেলেছেন ভিঞ্চি। তবে এবারের জয়ে দারুণ তৃপ্ত এই ইতালিয়ান। ম্যাচ শেষে ভিঞ্চি বলেন, ‘ম্যাচটা খুবই কঠিন ছিল। মাকারোভা অসাধারণ এক খেলোয়াড়। বা হাতে সে সবসময়ই কঠিন প্রতিপক্ষ। তার বিপক্ষে এই জয়ে আমি খুবই সন্তুষ্ট।’ আর আন্দ্রেয়া পেটকোভিচ প্রথম রাউন্ডের ম্যাচে ৬-২ এবং ৬-৪ সেটে পরাজিত করেছেন কর্নেটেরই স্বদেশী ক্রিস্টিনা মাদেনোভিচকে। পরের ম্যাচে পেটকোভিচের প্রতিপক্ষ পোল্যান্ডের এ্যাগ্নিয়েস্কা রাদওয়ানস্কা। টুর্নামেন্টের শীর্ষ বাছাই হিসেবে খেলতে নামবেন রাদওয়ানস্কা।
×