ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১

বরিশালে থামছে না ভেজাল আগ্রাসন

প্রকাশিত: ০৬:১৫, ২২ এপ্রিল ২০১৬

বরিশালে থামছে না ভেজাল আগ্রাসন

খোকন আহম্মেদ হীরা, বরিশাল ॥ বাজার, দোকান, সুপারশপ কোথাও ভেজালমুক্ত খাদ্যপণ্য মিলছে না। মাছ ও দুধেও ফরমালিন। মৌসুমিসহ সারামাসী ফলেও মেশানো হচ্ছে কার্বাইডসহ বিভিন্ন বিষাক্ত কেমিক্যাল। শাকসবজিতে কীটনাশক, বিস্কুট, সেমাই, নুডলসসহ সবরকম মিষ্টিতে টেক্সটাইল লেদারের রং, মুড়িতে ইউরিয়া-হাইড্রোজেনের অবাধ ব্যবহার চলছে। শিশুখাদ্য দুধও ভেজালমুক্ত রাখা যাচ্ছে না। সূত্রমতে, অতিরিক্ত রেডিয়েশনযুক্ত গুঁড়াদুধ আমদানি হচ্ছে দেদার, ছানার পরিত্যক্ত পানির সঙ্গে ভাতের মাড়, এ্যাড়ারুট আর কেমিক্যাল মিশিয়ে প্রস্তুতকৃত সাদা তরল পদার্থকে ‘গাভীর দুধ’ বলে সরবরাহ করা হচ্ছে বাজারে। নোংরা পানি ব্যবহারের মাধ্যমে আইসক্রিম বানানো হচ্ছে ময়লা-আবর্জনার স্যাঁতসেঁতে পরিবেশে। এসব ভেজাল পণ্যদ্রবের হাত থেকে বরিশালবাসীকে নিরাপদ রাখার জন্য জেলা প্রশাসন সচেষ্ট থাকলেও ভেজালের হাত থেকে মুক্তি পাচ্ছে না বরিশালবাসী। মাত্র একদিন পূর্বে জেলা প্রশাসক ড. গাজী সাইফুজ্জামান নিজে ভেজালবিরোধী অভিযানে নেমে দুই ফল ব্যবসায়ীকে জরিমানা করেছেন। প্রায় প্রতিদিনই চলছে ভেজালবিরোধী অভিযান। তার পরও ভেজালের দৌরাত্ম্য বেড়েই চলছে। কতিপয় অসাধু ব্যবসায়ীর কাছে খাদ্যপণ্যে ভেজাল মেশানোটা এখন রীতিমতো অঘোষিত নিয়মে পরিণত হয়েছে। বিশেষজ্ঞদের মতে, ফরমালিন উচ্চমাত্রার বিষাক্ত পদার্থ, এর কারণে দ্রুত কিডনি নষ্ট, ক্যান্সার, লিভার ব্যাধি হওয়ার আশঙ্কা থাকে। শিশুদের হৃদরোগ ও দৃষ্টিশক্তি কমে যেতে পারে। গর্ভজাত মায়ের শিশুও বিকলাঙ্গ হওয়ার আশঙ্কা সৃষ্টি হয়। জেলার বিভিন্ন উপজেলায় যত্রতত্রভাবে গড়ে ওঠা বেকারিগুলোতে নোংরা পরিবেশে খাদ্যসামগ্রী বানিয়ে তা বাজারজাত করা হচ্ছে। বেকারির ব্রেড, বিস্কুট, কেক এবং আইসক্রিম, মিষ্টিসহ অন্যান্য পণ্যে চিনির পরিবর্তে অহরহ ব্যবহার হচ্ছে সোডিয়াম সাইক্লাইমেট, যা জনস্বাস্থ্য ও পরিবেশের জন্য ভয়াবহ হুমকি হয়ে দেখা দিয়েছে।
×