ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১

জুলাই-মার্চ পর্যন্ত

রফতানি বেড়েছে কাঁচা পাটের

প্রকাশিত: ০৬:১২, ২২ এপ্রিল ২০১৬

রফতানি বেড়েছে কাঁচা পাটের

অর্থনৈতিক রিপোর্টার ॥ ২০১৫-১৬ অর্থবছরের জুলাই-মার্চ মেয়াদে কাঁচা পাট রফতানি বেড়েছে। তবে আগের বছরের একই সময়ের তুলনায় কমেছে পাটজাত পণ্যের রফতানি। এই সময়ে লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে ২৪ দশমিক ৮৮ শতাংশ বেশি বৈদেশিক মুদ্রা আয় হয়েছে কাঁচা পাট রফতানিতে। অন্যদিকে পাটের তৈরি সুতা-সুতলি এবং বস্তা ও ব্যাগের রফতানি লক্ষ্যমাত্রা অর্জিত হয়নি। বাংলাদেশ রফতানি উন্নয়ন ব্যুরোর (ইপিবি) এপ্রিল মাসে প্রকাশিত হালনাগাদ প্রতিবেদনের তথ্য অনুযায়ী, ২০১৪-১৫ অর্থবছরে পাট ও পাটজাত দ্রব্য রফতানিতে আয় হয়েছিল ৮৬ কোটি ৮৫ লাখ ৩০ হাজার মার্কিন ডলার। এর মধ্যে ওই অর্থবছরের ৯ মাসে আয় হয়েছিল ৬৫ কোটি ২৮ লাখ ৪০ হাজার মার্কিন ডলার। চলতি ২০১৫-১৬ অর্থবছরে পাট ও পাটজাত দ্রব্য রফতানি লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে ৯৪ কোটি ৭০ লাখ মার্কিন ডলার। এর মধ্যে ৯ মাসের রফতানি লক্ষ্যমাত্রা ছিল ৬৯ কোটি ৮ লাখ ৩০ হাজার মার্কিন ডলার। এই সময়ের মধ্যে আয় হয়েছে ৬৪ কোটি ১৫ লাখ ৮০ হাজার মার্কিন ডলার, যা লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে ৭ দশমিক ১৩ শতাংশ কম। একইসঙ্গে গত অর্থবছরের ৯ মাসের তুলনায় পাট ও পাটজাত দ্রব্য রফতানি আয় ১ দশমিক ৭২ শতাংশ কমেছে। ২০১৪-১৫ অর্থবছরে কাঁচা পাট রফতানিতে আয় হয়েছিল ১১ কোটি ১৫ লাখ ৭০ হাজার মার্কিন ডলার, পাটের সুতা ও সুতলি রফতানিতে আয় হয়েছিল ৫৫ কোটি ২৩ লাখ ২০ হাজার মার্কিন ডলার এবং পাটের বস্তা ও ব্যাগ রফতানিতে আয় হয়েছিল ১৩ কোটি ৯৪ লাখ ৫০ হাজার মার্কিন ডলার। চলতি ২০১৫-১৬ অর্থবছরে কাঁচা পাট রফতানি লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে ১১ কোটি ২০ লাখ মার্কিন ডলার, পাটের সুতা ও সুতলি রফতানি লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে ৫৯ কোটি মার্কিন ডলার এবং পাটের বস্তা ও ব্যাগ রফতানি লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে ১৭ কোটি মার্কিন ডলার। সম্প্রতি প্রকাশিত হালনাগাদ প্রতিবেদনে জানানো হয়েছে, চলতি অর্থবছরের জুলাই-মার্চ মেয়াদে কাঁচা পাট রফতানি লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছিল ৮ কোটি ৭০ লাখ মার্কিন ডলার। এই সময়ের মধ্যে কাঁচা পাট রফতানিতে আয় হয়েছে ১০ কোটি ২০ লাখ ৩০ হাজার মার্কিন ডলার; যা লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে ২৪ দশমিক ৮৮ শতাংশ বেশি। একইসঙ্গে গত ২০১৪-১৫ অর্থবছরের একই সময়ের তুলনায় ২৩ দশমিক ০৮ শতাংশ বেশি বৈদেশিক মুদ্রা আয় হয়েছে এই খাতে। ইপিবির প্রতিবেদনে জানানো হয়েছে, ২০১৫-১৬ অর্থবছরের ৯ মাসে পাটের সুতা ও সুতলি রফতানিতে আয় হয়েছে ৪০ কোটি ৩ লাখ ৯০ হাজার মার্কিন ডলার। যা লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে ৬ দশমিক ৯৭ শতাংশ কম। একইসঙ্গে গত অর্থবছরের তুলনায় এই খাতে বৈদেশিক মুদ্রা আয় ১ দশমিক ৭ শতাংশ কমেছে। এ সময়ে পাটের বস্তা ও ব্যাগ রফতানিতে আয় হয়েছে ৯ কোটি ২৫ লাখ ৯০ হাজার মার্কিন ডলার; যা লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে ২৫ দশমিক ৩৪ শতাংশ কম। গত অর্থবছরের একই সময়ে এই খাতে আয় হয়েছিল ১১ কোটি ৭০ লাখ ১০ হাজার মার্কিন ডলার। চলতি অর্থবছরের জুলাই-মার্চ মেয়াদে পাটের অন্যান্য দ্রব্য রফতানিতে আয় হয়েছে ৪ কোটি ৬৫ লাখ ৭০ হাজার মার্কিন ডলার; যা লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে ১৪ দশমিক ৮৮ শতাংশ কম। তবে গত অর্থবছরের একই সময়ের তুলনায় এই খাতের আয় ৩ দশমিক ৪২ শতাংশ কমেছে।
×