অনলাইন ডেস্ক ॥ সৌদি আরবের সরকারি স্কুল গুলোয় মেয়েদের খেলাধুলায় অংশ নিতে দেয়া হয়না।
তবে সম্প্রতি দেশটির কর্তৃপক্ষ একটি কমিটি তৈরি করেছে, যারা মেয়েদের স্কুল গুলোয় খেলাধুলার ব্যবস্থা চালু করার বিষয়টি খতিয়ে দেখবে।
তবে সেজন্য অপেক্ষা না করে দেশটির একজন নারী তার পিতার বাড়িতেই একটি স্কুল খুলেছেন, যেখানে মেয়েরা কিক বক্সিং শিখছে।
সৌদি আরবের জেদ্দার একটি বাড়ির একটি কক্ষে ওই স্কুলের অংশগ্রহণকারীরা সবাই মেয়ে।
কারণ যুক্তরাষ্ট্রে মার্শাল আট শেখার পর, এখানেই সৌদি নারীদের কিক বক্সিং শেখানোর একটি স্কুল খুলেছেন হালা আল হোমরানি।
তবে দিনে দিনে সেখানে অংশগ্রহণকারীর সংখ্যা বাড়ছে।
তবে সৌদি আরবে আলাদা বাড়ি নিয়ে শরীর চর্চা কেন্দ্র খোলাটা সহজ কাজ নয়। তাই হালা আর কর্তৃপক্ষের অনুমতির জন্য অপেক্ষা করেননি।
যারা এই সেন্টারে ভর্তি হয়েছেন, এটি তাদের কাছে চমৎকার একটি সুযোগ, যদিও সৌদি আরবে খুব কম নারীই এরকম সুযোগ পাচ্ছেন।
দেশটিতে খেলাধুলায় নারীদের সামনে যে দুইটি বাধা, তার একটি আইন, আরেকটি টাকা।
আর সরকারি স্কুলগুলোতে মেয়েদের তো খেলাধুলা একেবারেই নিষিদ্ধ।
২০১৩ সালে দেশটির শুরা কাউন্সিল এই নিষেধাজ্ঞা তুলে নেয়ার সুপারিশ করেছে। কিন্তু এখনো এ বিষয়ে চূড়ান্ত কোন সিদ্ধান্ত হয়নি।
বেসরকারি উদ্যোগে প্রশিক্ষিত দুই জন সৌদি নারী ২০১২ সালের লন্ডন অলিম্পিকে অংশ নিয়েছেন।
অনেকের আশা, ব্রাজিল অলিম্পিকে সৌদি আরবের আরো বেশি মেয়ের অংশগ্রহণ দেখা যাবে।
কিন্তু পরিবর্তনের আশায় বসে থাকা সৌদি আরবের লাখ লাখ মেয়ের সামনে এখনো সেই সুযোগই তৈরি হয়নি।
সূত্র : বিবিসি বাংলা
আরো পড়ুন
শীর্ষ সংবাদ: