ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০

শিরোপার লক্ষ্যে তাজিকিস্তান যাচ্ছে মারজিয়ারা

প্রকাশিত: ০৬:৪৫, ২১ এপ্রিল ২০১৬

শিরোপার লক্ষ্যে তাজিকিস্তান যাচ্ছে মারজিয়ারা

স্পোর্টস রিপোর্টার ॥ ‘আমাদের প্রস্তুতি ভাল হয়েছে। দুই বেলা করে অনুশীলন করেছি। আশাকরি গতবারের মতো এবারও ফাইনাল খেলব এবং চ্যাম্পিয়ন হব।’ কথাগুলো মারজিয়ার। বাংলাদেশ অনুর্ধ-১৪ মহিলা জাতীয় ফুটবল দলের অধিনায়ক।’ আগামী ২৬ এপ্রিল থেকে ১ মে পর্যন্ত তাজিকিস্তানের দুশানভেতে অনুষ্ঠিত হবে ‘এএফসি অনুর্ধ-১৪ গার্লস রিজিওন্যাল চ্যাম্পিয়নশিপ’-এর আসর। এতে ‘বি’ গ্রুপে অংশ নেবে বাংলাদেশ। বাংলাদেশের গ্রুপে আছে নেপাল ও ভারত (শেষ মুহূর্তে নাম প্রত্যাহার করে নিয়েছে মালদ্বীপ ও শ্রীলঙ্কা)। এই টুর্নামেন্টে খেলতে বাংলাদেশ দল বিমানে চাপবে আগামী শুক্রবার সকালে। বাংলাদেশের গ্রুপ ম্যাচগুলো হলো : ২৬ এপ্রিল ভারত এবং ২৮ এপ্রিল নেপালের বিরুদ্ধে। এ উপলক্ষে বুধবার বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশনের (বাফুফে) কনফারেন্স রুমে এক সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়। এতে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ অ-১৪ মহিলা জাতীয় ফুটবল দলের কোচ গোলাম রব্বানী ছোটন, অধিনায়ক মারজিয়া, বাফুফের সাধারণ সম্পাদক আবু নাইম সোহাগ এবং বাফুফের মহিলা ফুটবল কমিটির ডেপুটি চেয়ারপার্সন মাহফুজা আক্তার কিরণ। ছোটন বলেন, ‘কদিন আগে অনুষ্ঠিত জেএফএ কাপ, জাতীয় চ্যাম্পিয়নশিপ এবং বঙ্গমাতা ফুটবল টুর্নামেন্ট থেকে কিছু ফুটবলারকে আমরা ছয় কোচ মিলে বাছাই করেছি। বঙ্গমাতা টুর্নামেন্ট থেকে ৫ এবং বাকি ৬২ জন দুই টুর্নামেন্টের। পরে এদের থেকে ক্রমান্বয়ে ৩১, ২০ ও সবশেষে ১৮ জনকে নিয়ে গড়া হয় চূড়ান্ত দল। বিকেএসপিতে আমাদের অনুশীলন শুরু হয় গত ১০ মার্চ থেকে।’ তাজিকিস্তান যাবার আগে এ পর্যন্ত মোট তিনটি প্রস্তুতি ম্যাচ খেলেছে ছোটনের শিষ্যারা। এরমধ্যে জাতীয় দলের বিরুদ্ধেই দুটি। দুটিতেই জিতেছে ছোটনের দল যথাক্রমে ৪-১ এবং ৫-০ গোলে। সর্বশেষ টাঙ্গাইলে গিয়ে একটি ম্যাচ খেলেছে। এ ম্যাচের প্রতিপক্ষ দলেও ছিল সিনিয়র দলের ফুটবলারদের আধিক্য। তারপরও জিততে সমস্যা হয়নি মারজিয়াদের (১-০)। কিরণ বলেন, ‘আমাদের মেয়েরা মাত্র একমাস সময় পেয়েছে প্রস্তুতি নেয়ার। তারপরও স্বল্প সময়ে তাদের প্রস্ততি ভাল। এই দলে গত বছরের আট খেলোয়াড় আছে। অভিজ্ঞতা ও নতুনের মিশেলে আশাকরি তারা ভালই খেলবে।’ উল্লেখ্য, ‘বি’ গ্রুপে আছে স্বাগতিক তাজিকিস্তান, কিরগিজস্তান, ভুটান ও ইরান। স্বাগতিক দল প্রসঙ্গে ছোটন বলেন, ‘২০১৩ সালে আমরা ওদের সঙ্গে খেলে ২-২ গোলে ড্র করেছিলাম। এছাড়া গতবার ইরানকে হারিয়েছি। তবে এবার আমাদের প্রধান সমস্যা হবে প্রচ- ঠা-া। ওখানকার তাপমাত্রার সঙ্গে মানিয়ে নেয়াই হবে আমাদের প্রথম লক্ষ্য।’ অনুর্ধ-১৪ দলের আটজনই হচ্ছে ময়মনসিংহের কলসিন্দুর স্কুলের ছাত্রী। এছাড়া তিনজন হচ্ছে সিনিয়র জাতীয় দলে খেলার অভিজ্ঞতাসম্পন্ন। এরা হলো : শামসুন নাহার, মারিয়া মান্দা এবং মারজিয়া। গোলাম রব্বানী ছোটন। তাকে অনায়াসেই অভিহিত করা যায় বাংলাদেশ মহিলা ফুটবলের ‘ইতিহাস সৃষ্টিকারী কোচ’ হিসেবে। ২০১৫ সালে এএফসি অনুর্ধ-১৪ গার্লস রিজিওন্যাল চ্যাম্পিয়নশিপের ফাইনালে (নেপালের কাঠমা-ুতে অনুষ্ঠিত) স্বাগতিক নেপালকে ১-০ গোলে হারিয়ে অপরাজিত চ্যাম্পিয়ন হয় বাংলাদেশ। বিভিন্ন কারণে এই শিরোপা জয় বাংলাদেশ বালিকা ফুটবল দলের জন্য ভীষণ গুরুত্বপূর্ণ এবং স্মরণীয়। মেয়েদের ফুটবলের যে কোন পর্যায়ের টুর্নামেন্টে বাংলাদেশ দলের এটাই প্রথম শিরোপা। এর আগে ২০১৩ সালে বাংলাদেশ অনুর্ধ-১৪ মহিলা দল শ্রীলঙ্কায় অনুষ্ঠিত এই আসরে অংশ নিয়ে তৃতীয় হয়েছিল (ফেয়ার প্লে ট্রফিও লাভ করেছিল)। এখন দেখার বিষয়, এবার ছোটনের শিষ্যারা আগের সাফল্যের পুনরাবৃত্তি করতে পারে কি না।
×