ঢাকা, বাংলাদেশ   বুধবার ২৪ এপ্রিল ২০২৪, ১০ বৈশাখ ১৪৩১

আবার আলোচনায় দিবা-রাত্রির টেস্ট

প্রকাশিত: ০৬:৪৪, ২১ এপ্রিল ২০১৬

আবার আলোচনায় দিবা-রাত্রির টেস্ট

স্পোর্টস রিপোর্টার ॥ এ্যাডিলেডে গত নবেম্বরে স্বাগতিক অস্ট্রেলিয়া ও নিউজিল্যান্ডের মধ্যে অনুষ্ঠিত হয় ইতিহাসের প্রথম দিবারাত্রির টেস্ট (ডে-নাইট)। সাড়ে তিনদিনে শেষ হওয়া ম্যাচেও দর্শকের ঢল নেমেছিল। সফল হয়েছিল চাওয়া। মূলত সাদা পোশাকের ক্রিকেটকে জনপ্রিয় করে তুলতেই গোলাপী বলে দিবারাত্রির আয়োজন। কাল নতুন মৌসুমের জন্য সূচী ঘোষণা করেছে ক্রিকেট অস্ট্রেলিয়া (সিএ)। সেখানে দক্ষিণ আফ্রিকা ও পাকিস্তানের সঙ্গে দিবারাত্রির দুটি টেস্ট রাখা হয়েছে। গোলাপী বলে খেলার অভিজ্ঞতা নেই বলে তাতে মোটেই আগ্রহী নয় শক্তিধর দক্ষিণ আফ্রিকা। তবে আগ্রহ দেখিয়েছে পাকিস্তান। ঐতিহ্য অনুযায়ী ব্রিসবেন ম্যাচ দিয়ে গ্রীষ্ম মৌসুমের আয়োজন শুরু করে অসিরা। এবার (২০১৬-২০১৭) তার ব্যতিক্রম হচ্ছে। প্রকাশিত সূচীতে ৩ নবেম্বর দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে পার্থ টেস্ট দিয়ে শুরু তিন ম্যাচের সিরিজ। পরের দুটি টেস্ট হোবার্ট ও প্রস্তাবিত দিবারাত্রির ম্যাচটির ভেন্যু এ্যাডিলেড। যদিও কাল এ রিপোর্ট লেখার সময়েও দক্ষিণ আফ্রিকার পক্ষ থেকে সম্মতির (দিবারাত্রির ম্যাচে) কোন সংবাদ পাওয়া যায়নি। ১৫ ডিসেম্বর ব্রিসবেনে দিবারাত্রির ম্যাচ দিয়ে শুরু পাকিস্তানের বিপক্ষে দ্বৈরথ। মেলবোর্ন ও সিডনিতে পরের দুটি টেস্ট। এই দুটি সিরিজের মাঝে (৪-৯ ডিসেম্বর) ঘরের মাটিতে প্রতিবেশী নিউজিল্যান্ডের সঙ্গে তিনটি ওয়ানডে খেলবে অসিরা। এরপর জানুয়ারি-২০১৭তে পাকিস্তানের বিপক্ষে পাঁচ ম্যাচের ওয়ানডে। সবশেষে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে তিনটি টি২০ (১৭-২২ ফেব্রুয়ারি’ ১৭) দিয়ে ঘরোয়া মৌসুম শেষ করবে ক্রিকেট অস্ট্রেলিয়া। নবেম্বরে দিবারাত্রির প্রথম টেস্টটি ছিল ব্যাপক আলোচিত। গোলাপী বলের ম্যাচটি দারুণ দর্শকপ্রিয়তা পায়। স্বাগতিক অস্ট্রেলিয়ার ৩ উইকেটে জেতা ঐতিহাসিক ওই টেস্টে সাড়ে তিন দিনে ১ লাখ ২৩ হাজার দর্শক মাঠে উপস্থিত হয়েছিল, প্রথমদিনেই ৪৮ হাজার! এমনকি টেলিভিশনও প্রচুর দর্শক টেনেছিল। তবে ওই ম্যাচের ক্রিকেটারদের কেউ কেউ কৃত্রিম আলোয় গোলাপী বলে খেলতে সমস্যার কথা বলেছিলেন। তারই ধারাবাহিকতায় দক্ষিণ আফ্রিকা দলের মুখপাত্র টনি আইরিশ জানান, তাদের খেলোয়াড়রা দিবারাত্রির ম্যাচ খেলতে আগ্রহী নয়। কারণ তাদের এ ধরনের অভিজ্ঞতা নেই। এই অবস্থায় ক্রিকেট অস্ট্রেলিয়ার (সিএ) প্রধান নির্বাহী জেমস সাদারল্যান্ড বলেন, ‘আমরা পাকিস্তানের বোর্ডের (পিসিবি) পক্ষ থেকে দিবারাত্রির টেস্ট খেলার সম্মতি পেয়েছি। আশা করছি দক্ষিণ আফ্রিকাও শেষ পর্যন্ত রাজি হবে।’ তিনি আরও যোগ করেন, ‘আশা করছি ব্রিসবেনে পাকিস্তানের সঙ্গে টেস্টটা দারুণ আবহাওয়ার মধ্যে অনুষ্ঠিত হবে। সাদা পোশাকের ক্রিকেটে দর্শক টানতে এরচেয়ে ভাল উপায় আর হয় না। টেস্ট খেলুড়ে সব দেশকেই এ ধরনের আয়োজনের জন্য এগিয়ে আসতে হবে।’ অস্ট্রেলিয়াই প্রথম দেশ হিসেবে দিবারাত্রির টেস্টের আয়োজন করে ইতিহাস গড়েছে। শোনা যাচ্ছে, বছরের শেষদিকে বাংলাদেশের বিপক্ষে দ্বিতীয় দেশ হিসেবে নাম লেখাতে পারে নিউজিল্যান্ড। নিউজিল্যান্ড ক্রিকেট বোর্ডের (এনজেডসি) প্রধান লিন্ডসে ক্রোকার বলেন, ‘দিবারাত্রির টেস্টের জন্য বাংলাদেশের সঙ্গে সিরিজটাই উপযুক্ত হতে পারে। কারণ নিউজিল্যান্ডে তখন গ্রীষ্ম শুরু হবে।’
×