ঢাকা, বাংলাদেশ   মঙ্গলবার ২৩ এপ্রিল ২০২৪, ১০ বৈশাখ ১৪৩১

তবু হতাশার ড্র ম্যানচেস্টার সিটির নিউক্যাসল ইউনাইটেড ১-১ ম্যানচেস্টার সিটি

ইপিএলে এ্যাগুয়েরোর গোলের সেঞ্চুরি

প্রকাশিত: ০৬:৪৪, ২১ এপ্রিল ২০১৬

ইপিএলে এ্যাগুয়েরোর গোলের সেঞ্চুরি

স্পোর্টস রিপোর্টার ॥ ২০১১ সালে স্প্যানিশ ক্লাব এ্যাটলেটিকো মাদ্রিদ ছেড়ে ইংলিশ ক্লাব ম্যানচেস্টার সিটিতে নাম লেখান সার্জিও এ্যাগুয়েরো। শুরু থেকেই সিটিজেনদের হয়ে দুর্দান্ত ধারাবাহিক পারফর্মেন্স প্রদর্শন করতে থাকেন এই আর্জেন্টাইন স্ট্রাইকার। ২০১১-১২ অভিষেক মৌসুমেই ম্যানসিটিকে সাফল্যে ভাসান এ্যাগুয়েরো। ৪৪ বছর পর দলটি জয় করে ইংলিশ প্রিমিয়ার লীগ শিরোপা। মূলত সেবার থেকেই নতুন করে উত্থান শুরু সিটির। অভিষেক মৌসুমেই ২৩ গোল করে নজর কেড়েছিলেন এ্যাগুয়েরো। এরপর আরও চারটি মৌসুম ধারাবাহিক নৈপুণ্য দেখিয়ে ব্যক্তিগত মাইলফলকও স্পর্শ করে ফেলেছেন আর্জেন্টাইন তারকা। ইংলিশ প্রিমিয়ার লীগের নবম বিদেশী খেলোয়াড় হিসেবে স্পর্শ করেছেন ১০০ গোলের অনন্য মাইলফলক। শুধু তাই নয়, দক্ষিণ আমেরিকা অঞ্চলের ফুটবলারদের মধ্যে এ্যাগুয়েরোই প্রথম শততম গোল করলেন ইপিএলে। মঙ্গলবার রাতে মাইলফলক স্পর্শ করার ম্যাচটি অবশ্য স্মরণীয় হয়নি এ্যাগুয়েরোর। কেননা তার দল নিউক্যাসল ইউনাইটেডের মাঠে ১-১ গোলে ড্র করেছে। ম্যাচের ১৪ মিনিটে আলেক্সান্ডার কোলারভের ফ্রিকিকে হেড করে গোল করেন এ্যাগুয়েরো। এ সময় অবশ্য তিনি পরিষ্কার অফসাইড ছিলেন। এই গোলের মধ্য দিয়ে ইপিএলে ১০০ গোল পূর্ণ হয়েছে ২৭ বছর বয়সী এ্যাগুয়েরোর। ১৪৭তম ম্যাচে শততম গোলটি করেছেন এ্যাগুয়েরো, যা ইপিএলে দ্বিতীয় দ্রুততম। ১২৪টি ম্যাচ খেলে এই মাইলফলকে পৌঁছেছিলেন এ্যালান শিয়েরার। ইপিএলের ইতিহাসে অন্যতম সেরা গোলস্কোরার হিসেবে পরিচিত থিয়েরি অঁরিরও সেঞ্চুরি করতে লেগেছিল ১৬০ ম্যাচ। ম্যাচের ৩১ মিনিটে ভার্নন আনিটার বাঁকানো শটে সমতা ফেরায় অবনমন অঞ্চলে থাকা নিউক্যাসল। এরপর কয়েকটি সহজ সুয়োগ পেলেও কাজে লাগাতে ব্যর্থ হয় ম্যানুয়েল পেলেগ্রিনির সিটি। এই ড্রয়ে ৩৪ ম্যাচে ৬১ পয়েন্ট নিয়ে তৃতীয় স্থানে আছে চ্যাম্পিয়ন্স লীগের সেমিফাইনালের টিকেট পাওয়া ম্যানসিটি। ৭৩ পয়েন্ট নিয়ে শীর্ষে থেকে প্রথমবারের মতো ইপিএলের শিরোপা জেতার পথে আছে লিচেস্টার সিটি। পাঁচ পয়েন্ট পেছনে থেকে শিরোপা দৌড়ে আছে টটেনহ্যাম হটস্পারও। ১৯৯২ সালে প্রিমিয়ার লীগ শুরুর পর মাত্র ২৫ জন খেলোয়াড় ১০০ গোলের মাইলফলক স্পর্শ করতে পেরেছেন। সবচেয়ে কম ম্যাচ খেলে এই মাইলফলক স্পর্শ করার রেকর্ডটি ১৯৯৬ সালে গড়েন ইংল্যান্ডের কিংবদন্তি স্ট্রাইকার এ্যালান শিয়েরার। দ্রুততম সময়ে গোলের শতক পূর্ণ করার তালিকায় শিয়েরারের পরেই আছে এ্যাগুয়েরোর নাম। ১০০ গোলের মাইলফলকে পৌঁছানোর পথে এ্যাগুয়েরো হ্যাটট্রিক করেছেন তিনটি। এক ম্যাচে চারটি ও পাঁচটি করে গোল করার কৃতিত্বও আছে তার ঝুলিতে। জোড়া গোল করেছেন ১৬ বার। আর ম্যাচে একটি গোল করেছেন ৫০ বার। প্রিমিয়ার লীগে এ্যাগুয়েরোর প্রিয় প্রতিপক্ষ নিউক্যাসল ইউনাইটেড ও টটেনহ্যাম হটস্পার। দুই দলের বিরুদ্ধেই ১০টি করে গোল করেছেন আর্জেন্টাইন স্ট্রাইকার। সাতটি গোল করেছেন ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডের বিরুদ্ধে। ছয়টি করে গোল এসেছে এ্যাস্টন ভিলা, চেলসি, কুইন্স পার্ক রেঞ্জার্স ও ওয়েস্টহ্যামের বিরুদ্ধে। ইপিএলে বিদেশী খেলোয়াড়দের মধ্যে সবচেয়ে বেশি গোল করার রেকর্ডটি ফরাসী স্ট্রাইকার থিয়েরি অঁরির। ১৯৯৯ থেকে ২০০৭ সাল পর্যন্ত আর্সেনালের জার্সি গায়ে ২৫৪ ম্যাচ খেলে ১৭৪ গোল করেন তিনি। একদিক দিয়ে অবশ্য এ্যাগুয়েরো পেরিয়ে গেলেন সবাইকে, এমনিকে শিয়েরারকেও। এ্যাগুয়েরো গড়ে প্রতি ১০৮.৪ ?মিনিটে একটি করে গোল করেছেন। যেখানে অঁরির প্রতিটি গোল এসেছে ?গড়ে ১২১.৮ মিনিটে, রুড ভ্যান নিস্টলরয়ের এসেছে ১২৮.২ মিনিটে। ইপিএলে সর্বকালের সর্বোচ্চ গোলদাতার সংক্ষিপ্ত তালিকাতে ঢুকতে এ্যাগুয়েরোকে পাড়ি দিতে হবে লম্বা সময়। এ তালিকায় সবার ওপরে থাকা শিয়েরার করেছেন ২৬০ গোল। ২০০ গোলও আর কারও নেই। ১৯২ গোল করা ওয়েন রুনি জোড়া সেঞ্চুরির দিকেই এগুচ্ছেন। এরপর আছেন যথাক্রমে অ্যান্ডি কোল (১৮৭), ফ্রাঙ্ক ল্যাম্পার্ড (১৭৭), অঁরি (১৭৫)। এখন পর্যন্ত সব মিলিয়ে পেশাদার ক্যারিয়ারে এ্যাগুয়েরোর গোল ২৯০টি। ৩০০ গোলের অনন্য মাইলফলকের দিকেই ক্রমশ এগিয়ে যাচ্ছেন তিনি।
×