স্টাফ রিপোর্টার ॥ আওয়ামী লীগকে নিশ্চিহ্ন করতেই সজীব ওয়াজেদ জয়কে হত্যার ষড়যন্ত্র করা হয়েছিল বলে মন্তব্য করেছেন সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের। বুধবার দুপুরে সচিবালয়ে নিজ কার্যালয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে এ মন্তব্য করেন তিনি।
ওবায়দুল কাদের বলেন, শফিক রেহমানের বিরুদ্ধে সাংবাদিক হিসেবে অভিযোগ আনা হয়নি। সুনির্দিষ্ট অভিযোগের ভিত্তিতে অভিযুক্ত ব্যক্তিকে গ্রেফতার করা হয়েছে বলে জানান তিনি। আওয়ামী লীগের এই প্রেসিডিয়াম সদস্য বলেন, এখন পর্যন্ত যেসব তথ্য পাওয়া গেছে এবং গতকাল তাঁর বাসায় তিনি (শফিক রেহমান) নিজেই ডিবির হাতে যেসব প্রমাণ তুলে দিয়েছেন, এরপর এ নিয়ে কারও সন্দেহের অবকাশ থাকার কথা নয়। আমার মনে হয়, এখন গণজাগরণ মঞ্চের মুখপাত্র ইমরান এইচ সরকার বুঝতে পারবে, তার যে অভিযোগ ছিল, তা তথ্যভিত্তিক ছিল না।’
এর আগে গত শনিবার ইমরান এইচ সরকার তার ফেসবুক পেজে লেখেন, প্রবীণ সাংবাদিক শফিক রেহমানের গ্রেফতার ও রিমান্ডের তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাচ্ছি। শফিক রেহমানের রাজনৈতিক আদর্শের সঙ্গে আমি একমত নই। ভিন্নমতের হলেই তাকে দমন করার যে নোংরা রাজনৈতিক অপকৌশল, এর একটা অবসান চাই।
এর পরদিন সাংবাদিক শফিক রেহমানকে গ্রেফতারের প্রতিবাদ জানিয়ে ফেসবুকে দেয়া বক্তব্য প্রত্যাহার করে গণজাগরণ মঞ্চের মুখপাত্র ইমরান এইচ সরকারকে ক্ষমা চাইতে বলেন প্রধানমন্ত্রীর তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি উপদেষ্টা এবং তাঁর ছেলে সজীব ওয়াজেদ জয়। জবাবে ইমরান ক্ষমা না চাওয়ার কথা বলেন।
ওবায়দুল কাদের বলেন, বঙ্গবন্ধুর পরিবারকে নিশ্চিহ্ন করার জন্য প্রধানমন্ত্রীর ছেলে সজীব ওয়াজেদ জয়কে হত্যার ষড়যন্ত্র হয়েছে। এটা সুগভীর ষড়যন্ত্র। প্রকাশ্য আন্দোলন করে যাঁরা সরকার হটাতে ব্যর্থ হয়েছেন, যাঁরা সফল হতে পারেননি, হয়ত এখন তাঁরাই অন্ধকারের পথ বেছে নিয়েছেন। আন্দোলন করে ব্যর্থ হয়ে ক্ষমতার বাইরে বেশিদিন থাকার অস্থিরতা থেকেই তড়িঘড়ি করে ক্ষমতায় যাওয়ার অভিসন্ধি থাকতে পারে। তবে মন্ত্রী এসব কথা বলতে গিয়ে কোন রাজনৈতিক দলের নাম উল্লেখ করেননি।
ওবায়দুল কাদের বলেন, এফবিআইয়ের অভিযোগ ও আদালতে তাদের (বিএনপি) বিরুদ্ধে দ- হয়েছে। সেখানে জয়কে হত্যার ষড়যন্ত্রের বিষয়টি এসেছে। বাংলাদেশের গোয়েন্দা সংস্থার তদন্তের বিষয়টি উল্লেখ করে তিনি বলেন, এখন কেঁচো খুঁড়তে গিয়ে বিষধর সাপ বেরিয়ে আসছে।
ওবায়দুল কাদের বলেন, প্রধানমন্ত্রীর ছেলে জয় আওয়ামী লীগের ভবিষ্যত নেতৃত্বের দাবিদার হওয়ায় তাকে হত্যার মাধ্যমে আওয়ামী লীগের রাজনীতি হুমকির মুখে ফেলতে চেয়েছিলেন অভিযুক্তরা। মন্ত্রী আরও বলেন, বিএনপিসহ যারা শফিক রেহমানের গ্রেফতারের বিরুদ্ধে বক্তব্য দিচ্ছেন, তারাও এ ষড়যন্ত্রের দায় এড়াতে পারেন না।
আরো পড়ুন
শীর্ষ সংবাদ: