স্পোর্টস রিপোর্টার ॥ বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশনের (বাফুফে) নির্বাচন উপলক্ষে মনোনয়নপত্র প্রত্যাহারের প্রথমদিন ছিল মঙ্গলবার। আজ বুধবার মনোনয়নপত্র প্রত্যাহারের শেষদিন। মঙ্গলবার শুধু মনোনয়নপত্র প্রত্যাহারের নয়, প্রার্থিতা যাচাই-বাছাইয়েরও দিন ছিল। প্রথমদিন কোন প্রার্থীই তাদের মনোনয়নপত্র প্রত্যাহার করতে বাফুফে ভবনে আসেননি। তবে প্রার্থীরা না আসলেও অনেক ব্যস্ত ছিল নির্বাচন কমিশন। বাফুফের ৩০ এপ্রিলের নির্বাচনে অংশ নিতে ৫৮ প্রার্থী মোট ৬২ মনোনয়নপত্র সংগ্রহ করেছেন। যাচাই-বাছাই শেষে এই ৫৮ জনের মনোয়নপত্রই বৈধ ঘোষণা করেছে নির্বাচন কমিশন।
বাঁচাও ফুটবল প্যানেলের এক সদস্যের মাধ্যমে জানা গেছে, সিনিয়র সহ-সভাপতি পদে শেষ পর্যন্ত নির্বাচন করবেন না শেখ জামাল ধানম-ি ক্লাবের সভাপতি মনজুর কাদের এবং ঢাকা মোহামেডান স্পোর্টিং ক্লাব লিমিটেডের ডিরেক্টর ইনচার্জ লোকমান হোসেন ভূঁইয়া। ফলে এই পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবেন দেওয়ান শফিউল আরেফিন টুটুল। তাছাড়া সহ-সভাপতি পদ থেকে নাম প্রত্যাহার করে নেবেন লোকমান। এই পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবেন খুরশিদ আলম বাবুল, একেএম মমিনুল হক সাঈদ, আশরাফউদ্দিন আহমেদ চুন্নু এবং নজিব আহমেদ।
বাফুফের আসন্ন নির্বাচনে সভাপতি পদে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে নির্বাচনে অংশ নিচ্ছেন টঙ্গী ক্রীড়াচক্রের সভাপতি নুরুল ইসলাম নুরু। বাফুফে ভবনে এসে তিনি নির্বাচনী আচরণবিধি লঙ্ঘনের অভিযোগ এনেছেন। গত ১০ এপ্রিল বাফুফের আসন্ন নির্বাচনের বিধিমালা ঘোষিত হয়েছে। সেখানে ৭.২ ধারায় স্পষ্টত উল্লেখ রয়েছে- ‘কোন সমর্থকগোষ্ঠী অথবা অন্য কোন ব্যানারে কোন এক বা একাধিক প্রার্থীর পক্ষে প্রচার করা যাবে না।’ অথচ এই ধারার সুষ্পষ্ট লঙ্ঘন করে কাজী মোঃ সালাউদ্দিনের পক্ষে ভোট চেয়ে নুরুর কাছে খুদেবার্তা পাঠানো হয়েছে। বার্তায় লেখা ছিল- ‘আসন্ন নির্বাচনে সালাউদ্দিন সুযোগ্য প্রার্থী। আপনার মূল্যবান ভোট কামনা করছি।’ খুদেবার্তা প্রেরকের নাম প্রকাশ না করলেও বাফুফের আসন্ন নির্বাচনে তিনি একজন প্রার্থী এবং একই সঙ্গে ভোটার বলেও জানিয়েছেন নুরু। আর ভবিষ্যতে যাতে এ ধরনের আচরণবিধি লঙ্ঘন না হয় সে জন্য গণমাধ্যমের সহযোগিতা কামনা করেছেন তিনি।
জরুরী সভা করেছে সালাউদ্দিনের নেতৃত্বাধীন সম্মিলিত পরিষদও। সভাটি সালাউদ্দিনের অফিস গুলশানে অনুষ্ঠিত হয়। প্যানেল যেহেতু এখনও চূড়ান্ত হয়নি, সে বিষয়েই আলোচনা হয়েছে বলে সূত্রে জানা গেছে। কারণ ২১ পদের বিপরীতি মোট ২২ মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছে সম্মিলিত পরিষদ। সেখান থেকে আজ একজন তার প্রার্থীরা প্রত্যাহার করে নেবেন। সালাউদ্দিন মনোনীত ১৪ জন এবং জেলা ও বিভাগ থেকে ৮ জনের মনোনয়নপত্র জমা দেয়া হয়েছে। জানা গেছে, আট জনের মধ্যে আজমল আহমেদ তপন সম্মিলিত পরিষদে জায়গা হারাতে যাচ্ছেন।
৬১ মনোনয়নপত্র বিক্রি হয়েছে বাফুফের নির্বাচনকে ঘিরে। এর মধ্যে চারটি ছিল সভাপতি পদে। যার মূল্য চার লাখ টাকা। সিনিয়র সহ-সভাপতিও ছিলেন চার জন। যার মূল্য তিন লাখ টাকা। সহ-সভাপতি পদে ১২ জন।
এই পদের মূল্য ছয় লাখ টাকা। পদের সদস্যের বিপরীতে মনোনয়নপত্র বিক্রি হয়েছে ৪০টি। যার মূল্য দশ লাখ টাকা। অর্থাৎ মোট ২৩ লাখ টাকার মনোনয়নপত্র বিক্রি হয়েছে।