ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১

১০ শতাংশ কর্পোরেট কর চায় বিজিএমইএ

প্রকাশিত: ০৪:২৫, ২০ এপ্রিল ২০১৬

১০ শতাংশ কর্পোরেট কর চায় বিজিএমইএ

অর্থনৈতিক রিপোর্টার ॥ আসন্ন বাজেটে আগামী ৫ বছরের জন্য তৈরি পোশাক শিল্পের কর্পোরেট কর ১০ শতাংশ করার দাবি জানিয়েছে বাংলাদেশের পোশাক প্রস্তুতকারী ও রফতানিকারকদের সংগঠন বিজিএমইএ। মঙ্গলবার জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর) সম্মেলন কক্ষে রফতানি খাত সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে এনবিআরের প্রাক-বাজেট আলোচনা সভায় বিজিএমইএ সভাপতি সিদ্দিকুর রহমান এ দাবি জানান। এনবিআর চেয়ারম্যান মোঃ নজিবুর রহমানের সভাপতিত্বে ওই সভায় উপস্থিত ছিলেন এফবিসিসিআই সভাপতি আব্দুল মাতলুব আহমদ। বিজিএমইএ সভাপতি বলেন, তৈরি পোশাক শিল্পে আগে হ্রাসকৃত ১০ শতাংশ হারে কর দিতে হতো। যা ২০১৪ সালের ৩০ জুন পর্যন্ত অব্যাহত ছিল। পরে তা বাড়িয়ে ৩৫ শতাংশ করা হয়। বিশ্ববাজারে এ খাতকে প্রতিযোগিতায় টিকিয়ে রাখতে ও বিনিয়োগ বাড়াতে এ কর আবারও ১০ শতাংশে নামিয়ে আনার দাবি জানান তিনি। এছাড়া রফতানিমুখী পোশাক খাতের উৎসে কর কর্তনের হার ০ দশমিক ৬০ শতাংশ থেকে কমিয়ে আগের মতো ০ দশমিক ৩০ শতাংশ করার দাবি জানানো হয়। রফতানিকে আরও প্রতিযোগী করে তোলার জন্য স্থানীয় বাজার থেকে সংগৃহীত সব পণ্যে ও সেবায় ভ্যাটমুক্ত রাখার আহ্বান জানায় বিজিএমইএ। কর জালিয়াতির গবেষণায় ব্যয় ৬ লাখ ডলার! সরকারকে কর দিতে কম-বেশি সবারই আপত্তি রয়েছে। কর পরিশোধের মধ্যে অনেকেই আনন্দদায়ক কিছু খুঁজে পান না। এর ওপর আবার রয়েছে বিভিন্ন প্রশাসনিক ঝামেলা। অনেকেই কর ফাঁকি দিতে নানা কৌশলের আশ্রয় নেন। কী কারণে মানুষ কর ফাঁকি দেয়, সে ব্যাপারে যুক্তরাষ্ট্রে একটি গবেষণা চলছে। আর এ কাজে কেন্দ্রীয় তহবিল থেকে ব্যয় করা হচ্ছে ৬ লাখ ডলার। খবর ফোর্বস। কর ফাঁকি দিতে মানুষ কতই না উদ্ভাবনী অজুহাতের আশ্রয় নেয়। অনেকে মনে করে, অর্থ কিভাবে খরচ করতে হয়, সরকার তা জানে না। সাম্প্রতিক এক গবেষণায় দেখা গেছে, ঘন ঘন কর নিরীক্ষা ভবিষ্যতে কর ফাঁকির প্রবণতা বাড়িয়ে দেয়। এসব নানামুখী কারণ খুঁজে বের করতেই মূলত গবেষণাটি চালানো হচ্ছে। মার্কিন প্রশাসনের কেন্দ্রীয় সংস্থা ন্যাশনাল সায়েন্স ফাউন্ডেশন ২০১৫ সালে এর অনুমোদন দেয়। -অর্থনৈতিক রিপোর্টার জাপানে ভূমিকম্পে টয়োটা হোন্ডা সনির উৎপাদন বন্ধ জাপানের পশ্চিমাঞ্চলীয় কুমামোতোতে দুই দফা শক্তিশালী ভূমিকম্পের পর দেশটিতে বেশ কয়েকটি কোম্পানি তাদের উৎপাদন সাময়িক বন্ধ করেছে। এগুলোর মধ্য রয়েছে গাড়ি নির্মাতা কোম্পানি টয়োটা, হোন্ডা ও প্রযুক্তি খাতের কোম্পানি সনি। কোম্পানিগুলোর পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, ভূমিকম্পে তাদের কারখানা ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ায় আপাতত উৎপাদন বন্ধ করা হয়েছে। সর্বশেষ খবরে ভূমিকম্পে অন্তত ৪১ জন নিহত ও হাজারের বেশি আহত হয়েছে বলে জানা গেছে। এছাড়া ধসে পড়েছে ওই অঞ্চলের যোগাযোগ কাঠামো। কুমামোতো হচ্ছে জাপানের একটি প্রধান উৎপাদন অঞ্চল। ভূমিকম্পের কারণে উৎপাদন সাময়িক বন্ধ হওয়ায় দেশটির রফতানিতে নেতিবাচক প্রভাব পড়বে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। টয়োটা জানিয়েছে, পুরো জাপানে তারা উৎপাদন বন্ধ রাখবে। আগামী ১ সপ্তাহ তা চলবে। -অর্থনৈতিক রিপোর্টার
×