ঢাকা, বাংলাদেশ   বুধবার ২৪ এপ্রিল ২০২৪, ১১ বৈশাখ ১৪৩১

চট্টগ্রাম থেকে মধ্যপ্রাচ্যে জনশক্তি রফতানিতে ধস

প্রকাশিত: ০৪:২৪, ২০ এপ্রিল ২০১৬

চট্টগ্রাম থেকে মধ্যপ্রাচ্যে জনশক্তি রফতানিতে ধস

অর্থনৈতিক রিপোর্টার ॥ মধ্যপ্রাচ্যের দেশগুলোতে ভিসা দেয়ার পরিমাণ সীমিত করার পাশাপাশি নানা জটিলতার কারণে চট্টগ্রাম থেকে জনশক্তি রফতানিতে ধস নেমেছে। গত ৫ বছরে এ অঞ্চলে জনশক্তি রফতানি অর্ধেকে নেমে এসেছে। ২০১১ সালে এখান থেকে ৭৩ হাজার কর্মী কাজ করতে বিদেশ গেলেও গত বছর সে সংখ্যা দাঁড়িয়েছে মাত্র ৩১ হাজারে। জনশক্তি রফতানি ও প্রশিক্ষণ ব্যুরো তথ্য অনুযায়ী, ২০১১ সালে শুধু চট্টগ্রাম থেকেই কাজের ভিসা নিয়ে মধ্যপ্রাচ্যের বিভিন্ন দেশে পাঠানো কর্মীর সংখ্যা ছিল ৭৩ হাজার। এরপর পর্যায়ক্রমে এ সংখ্যা কমছে। ২০১২ সালে ৭০ হাজার, ২০১৩ সালে ৩৪ হাজার, ২০১৪ সালে ২৭ হাজার এবং ২০১৫ সালে ৩১ হাজার শ্রমিক কাজের ভিসা নিয়ে মধ্যপ্রাচ্যের বিভিন্ন দেশে গেছে। আরব আমিরাত বাংলাদেশীদের জন্য ভিসা দেয়া বন্ধ রেখেছে আর অন্যান্য দেশ ভিসা দেয়ার পরিমাণ কমিয়ে দিয়েছে। ২০১১ সালে আরব আমিরাতে চট্টগ্রাম থেকে ৩৩ হাজার কর্মী পাঠানো হলেও গত বছর তা ছিলো মাত্র ৬৪০ জন। একইভাবে ওমানে ২০১১ সালে ৩২ হাজার শ্রমিক পাঠানো গেলেও গত বছর তা ১৫ হাজারে নেমে এসেছে। কূটনৈতিক সম্পর্ক জোরদার না হলে জনশক্তি রফতানির পরিমাণ আরও কমবে বলে আশঙ্কা চট্টগ্রাম অঞ্চলের আটাব সভাপতি মোহাম্মদ আবু জাফর। এক্ষেত্রে রেমিট্যান্সের পরিমাণ বাড়াতে জনশক্তি রফতানি বাড়ানোর কোন বিকল্প নেই বলে মনে করেন চট্টগ্রাম চেম্বার অব কমার্স সভাপতি মাহবুবুল আলম। তবে ২০১১ সালে চট্টগ্রাম থেকে ১২২ জন নারী শ্রমিক মধ্যপ্রাচ্যের দেশগুলোতে কাজের সন্ধানে গেলেও গত বছর তা বেড়ে ১ হাজার ৪১১ জনে এসে দাঁড়িয়েছে। বোরো ধানের ন্যায্য মূল্য নিয়ে শঙ্কায় কৃষক অর্থনৈতিক রিপোর্টার ॥ মজুরি, হালচাষ, সার, কীটনাশক ও সেচের মূল্য বৃদ্ধিতে বোরো আবাদে এবার বাড়তি অর্থ গুনতে হচ্ছে কৃষকদের। গত বছরের চেয়ে বিঘাপ্রতি ২ থেকে ৩ হাজার টাকা উৎপাদন খরচ বেশি। গত বছর ন্যায্য দাম না পাওয়ায় দাম নিয়ে এবারও দুশ্চিন্তায় কৃষক। অবশ্য ন্যায্যমূল্য না পাওয়ার জন্য সরকারের নীতিমালাকে দায়ী করছেন মিলার ও চাল ব্যবসায়ীরা। আর কৃষি বিভাগের দাবি, এবার কৃষি উপকরণের কোন ঘাটতি নেই। বোরো মৌসুমে ধানের চারা রোপণের পর এখন দিনাজপুরে মাঠ জুড়ে সবুজের সমারোহ। নিড়ানির পর পোকামাকড় নির্মূলের জন্য জমিতে কীটনাশক স্প্রে করছে কৃষক। অনুকূল আবহাওয়া থাকায় এবার ভাল ফলন আশা করছে কৃষক। কিন্তু গত বছরের তুলনায় এ বছর ধান চাষ করতে কৃষকদের বিঘাপ্রতি ২ হাজার থেকে ৩ হাজার টাকা বেশি খরচ গুনতে হচ্ছে। সেচ, হালচাষ ও কৃষি শ্রমিকদের মজুরি বৃদ্ধিতে ধানে খুব একটা লাভ হবে না জানালেন কৃষকেরা। ধান উদ্বৃত্ত হওয়া সত্ত্বেও বিদেশ থেকে চাল আমদানি করায় মিলার ও কৃষকদের লোকসানের মুখে পড়তে হয়েছে। এ জন্য সরকারী নীতিমালা দায়ী বলে মনে করেন ব্যবসায়ী নেতা ও চালকল মালিকরা। এ প্রসঙ্গে চালকল মালিক সমিতি ও দিনাজপুর চেম্বার অব কর্মাস এন্ড ইন্ডাস্ট্রিজের সভাপতি মুসাদ্দেক হোসেন বলেন, ‘এভাবে চলতে থাকলে মিল মালিকরা যেমন একসময় পুঁজি হারিয়ে তাদের ব্যবসা বন্ধ করে দেবেন, ঠিক তেমনি কৃষকরা যদি তাদের ন্যায্য দাম না পায় তাহলে ভবিষ্যতে ধানের উৎপাদন বন্ধ হয়ে যেতে পারে।’
×