গরমে এখন সবারই ত্রাহি অবস্থা। এ সময় সুস্থ থাকার জন্য শরীরের প্রতি বিশেষ যতœ নেয়া দরকার। প্রচ- গরমে শরীর অল্পতেই ক্লান্ত বা পানি শূন্য হয়ে পড়ে। কোন কাজ বেশিক্ষণ করতে ইচ্ছে করে না বা কাজে মন বসে না। বার বার পানি পিপাসা পায়। এ সময় প্রচুর পরিমাণে বিশুদ্ধ পানি পান করতে হবে। এ সময় বাজারে প্রচুর তরমুজ, বাঙ্গি এবং অন্যান্য মৌসুমী ফল উঠেছে, তরমুজ কিংবা বাঙ্গির জুস ছাড়াও অন্যান্য ফলের জুসও খেতে পারেন। এ ছাড়াও বাজার থেকে শসা কিনে ভাল করে বিশুদ্ধ পানি দিয়ে ধুয়ে খেতে পারেন। রাস্তার পাশেরটা না খাওয়াই ভালো। স্যালাইনের মধ্যে ওরস্যালাইন খেতে ইচ্ছে না করলে টেস্টি স্যালাইন দিনে ১/২ বার খেতে পারেন। এ সময় কড়া রোদ এড়িয়ে চলা উচিত বিশেষ করে যারা উচ্চ রক্তচাপ বা ডায়াবেটিস রোগী তাদের এটা এড়িয়ে চলা দরকার। যাদের উচ্চ রক্তচাপ আছে তাঁরা প্রচ- গরমে ১/২ তেঁতুলের পানি গুলিয়ে শরবত খেতে পারেন। এতে উচ্চ রক্তচাপ কমবে এবং শরীরটা বেশ সতেজ লাগবে। যে কোন কাজে যাওয়ার সময় মাথায় ছাতা এবং সানগ্লাস ব্যবহার করতে হবে। প্রচ- গরমে পেটের বিভিন্ন রোগে অনেকেই ভোগেন এর মধ্যে শিশু ও বৃদ্ধরা বেশি ভুগে থাকেন, যেমন: ডায়রিয়া, টাইফয়েড, জন্ডিস ইত্যাদি। এর প্রধান কারণ অভিভাবকরা তাদের শিশুদের নিম্নমানের আইসক্রিম, ফলের জুস খাওয়ানো। এর থেকে পরিত্রাণ পেতে হলে অবশ্যই পানি ফুটিয়ে খেতে হবে, নিম্নমানের খাবার পরিহার করতে হবে এবং পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন রাখতে হবে। এ সময় অনেকের পক্ষেই হয়ত রান্না করে খাওয়া সম্ভব হয় না সেজন্য অনেকেই বাধ্য হয়ে হোটেলকে বেছে নেন, সেজন্য হোটেলের প্লেট-গ্লাস পরিষ্কার ও খাবারটা টাটকা আছে কি না সেদিকে বিশেষ লক্ষ্য রাখতে হবে। যেমন এ সময় রাস্তায় প্রচুর আখের রস খেতে দেখা যায় অনেকের খেতে ভালও লাগে কিন্তু একবার কি ভেবে দেখেছেন যে বরফ দিয়ে আখের রস খাওয়ানো হচ্ছে সেটা কতটুকু স্বাস্থ্যসম্মত। আখের রস খেতে ইচ্ছে করলে বরফ ছাড়া শুধু রসটুকু খাবেন সেটা অন্তত জীবানুমুক্ত থাকবে। তাই প্রচ- গরমে প্রত্যেকেই একটু সতর্ক হলে অন্তত রোগ জীবাণু থেকে অনেকটা মুক্ত থাকতে পারি।
হাসনাইন মুরশেদ (সুমন)