ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০

যমেক হাসপাতালে কাপড় ধোলাই বন্ধ ॥ ঠিকাদারকে শোকজ

প্রকাশিত: ০৬:৫৬, ১৯ এপ্রিল ২০১৬

যমেক হাসপাতালে কাপড় ধোলাই বন্ধ ॥ ঠিকাদারকে শোকজ

স্টাফ রিপোর্টার, যশোর অফিস ॥ ঠিকাদারের অসৎ উদ্দেশ্যে চরম দুর্ভোগে পড়েছে যশোর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রোগীরা। রোগীর বেডের চাদর, অপারেশনের কাজে প্রয়োজনীয় কাপড়সহ চিকিৎসা কাজে ব্যবহৃত কাপড় নিয়মিত পরিষ্কার করে না দেয়ায় এ পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়েছে। আবর্জনা ও জীবাণুযুক্ত কাপড়ের উপর চিকিৎসাধীন থেকে জীবনের ঝুঁকিতে রয়েছেন সাধারণ মানুষ। কাপড় পরিষ্কার করার কাজে নিয়োজিত ঠিকাদার টানা তিন মাস ধরে মানুষের জীবন নিয়ে এ নোংরা খেলা খেলছে। ঠিকাদারের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ শোকজ নোটিস জারি করেছে। সূত্র জানিয়েছে, ২০১৪-২০১৫ অর্থবছরে হাসপাতালের অপারেশন কাজে ব্যবহৃত কাপড়সহ রোগীর বেডের চাদর, দরজা-জানালার পর্দা ও চিকিৎসার কাজে প্রয়োজনীয় কাপড় পরিষ্কার করার জন্য যশোর ঘোপ সেন্ট্রাল রোডের গাজী লন্ড্রি ঘরের মালিক হাবিবুর রহমান ঠিকাদারি নিয়েছেন। নিয়ম অনুযায়ী সপ্তাহে দুইবার নিয়মিত কাপড়গুলো পরিষ্কার করবে ওই প্রতিষ্ঠান। সবকিছু ঠিকঠাক চলছিল। মাস তিনেক আগে থেকে বিগড়ে যান ঠিকাদার হাবিবুর রহমান। কোন নোটিস ছাড়াই হাসপাতালের কাপড় পরিষ্কার করা বন্ধ করে দেন। সপ্তাহে তো দূরে থাক মাসে একবারের জন্যও কাপড় পরিষ্কার হচ্ছে না। এর ফলে দিনে দিনে অপারেশন থিয়েটার ও ওয়ার্ডে নোংরা কাপড়ের স্তূপ জমেছে। টাকা দিয়ে পেয়িং বেডে থেকেও চাদর পাচ্ছে না রোগীরা। বাধ্য হয়ে নোংরা ও জীবাণুযুক্ত চাদরের উপরে শুয়ে চিকিৎসা নিতে হচ্ছে। অবহেলায় রোগীর মৃত্যু ॥ বিক্ষোভ নিজস্ব সংবাদদাতা, কালকিনি (মাদারীপুর), ১৮ এপ্রিল ॥ কালকিনি উপজেলার দক্ষিণ সিডিখান গ্রামের বাদল সরদারের মেয়ে ক্রোকিরচর উচ্চ বিদ্যালয়ের নবম শ্রেণীর ছাত্রী বিথি আক্তারের শরীরের টিউমার অপারেশনের সময় ভুল চিকিৎসায় মৃত্যুর অভিযোগে সংশ্লিষ্ট চিকিৎসকের বিচারের দাবিতে বিক্ষোভ মিছিল করেছে গ্রামবাসী। সোমবার দুপুরে পাঁচ শতাধিক গ্রামবাসী বিক্ষোভ করে। বিক্ষোভকারীরা ও নিহত বিথির পরিবার জানায়, শরীরের টিউমার অপারেশনের জন্য বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে বিথিকে নেয়া হলে কর্মরত চিকিৎসক হাসপাতালের সহকারী অধ্যাপক ডাঃ হারুন-অর-রশিদ তার অপারেশন করেন। আর সেখানে অপারেশনের সময় বিথির মর্মান্তিক মৃত্যু হয়। এ ঘটনার পর নিহত বিথির লাশ তড়িঘড়ি করে এ্যাম্বুলেন্সে করে পাঠিয়ে দেয় তারা। এ বিসয়ে অভিযুক্ত চিকিৎসক বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের সহকারী অধ্যাপক ডাঃ হারুন-অর-রশিদের সঙ্গে একাধিকবার যোগাযোগের চেষ্টা করেও তাকে পাওয়া যায়নি।
×