ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১

মারুফ রায়হান

ঢাকার দিনরাত

প্রকাশিত: ০৬:৩৩, ১৯ এপ্রিল ২০১৬

ঢাকার দিনরাত

গত সপ্তাহে রাজধানীবাসী আরও একবার ঈদের ছুটির মতোই আমেজে কাটাল। ঈদের ছুটিই সারা বছরের সর্বোচ্চ ছুটি, মানে তিন দিনের ছুটি। চলতি বছর একটু ঘন ঘনই যেন পাওয়া যাচ্ছে তিন দিনের ছুটি। শুক্র-শনিবার নির্ধারিত দুই সাপ্তাহিক ছুটির পিঠেপিঠি আরেকটা ছুটির দিন মিললেই তা হয়ে যাচ্ছে তিন দিনের অবকাশ। এটাকে রাজধানীবাসীর একাংশ ভালই কাজে লাগাতে শুরু করেছেন। একাংশ যান দেশের বাড়ি, আরেক অংশ দেশের ভেতরে বা বাইরে ভ্রমণে বের হন। ফলে ঢাকা শহর ভারাক্রান্ত ও হাঁসফাঁস পরিস্থিতি থেকে সাময়িকভাবে মুক্তিলাভ করে। রাস্তাঘাটে যানবাহনের সংখ্যাও কমে যায়। ফলে চিরচেনা চিরবিড়ম্বনাময় যানজট থেকে বেঁচে যায় মানুষের জান। বৃহস্পতিবার ছিল পহেলা বৈশাখ, বাংলা নতুন বছরের প্রথম দিন। তার লাগোয়া দুটি দিন শুক্র-শনি নির্ধারিত ছুটির দিন। তিন দিনের ছুটি উপভোগ করেছে মূলত সরকারী সংস্থা এবং ব্যাংকসহ বেশকিছু বেসরকারী প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তা কর্মচারীরা। অবশ্য যাদের শুধু শুক্রবারেই সাপ্তাহিক ছুটি তাদের ভাগ্যে জুটেছে জোড়া ছুটির দিন। সঙ্গত কারণেই নববর্ষের উৎসবও প্রলম্বিত হয়েছে বাড়তি দিনে। নগরীর বহু স্থানেই দোসরা বৈশাখও ছিল নববর্ষ বরণ উৎসবের বোনাস একটি দিন। বিকেল পাঁচটার ভেতর উন্মুক্ত স্থানে উৎসব না করার বাধ্যবাধকতার বিষয়টি তারা পুষিয়ে নিয়েছে শুক্রবার সন্ধ্যায় নানা আয়োজনের মধ্য দিয়ে। শুক্রবারে বিপণি বিতানগুলোতে ছিল বেশ ভিড়। উৎসবের পোশাকেই নরনারীরা ঘুরে বেড়িয়েছেন। বৈশাখী মেলাগুলোয়ও ছিল বিপুল লোক সমাগম। আগে তেমনভাবে দৃষ্টি কাড়েনি, এবার তাই অবাক হয়েই দেখলাম। শহুরে বৈশাখী মেলায় গ্রামের নাগরদোলার দেখা মেলে। বয়স্করা নস্টালজিক হয়ে পড়েন এই নাগরদোলা দেখে। নিশ্চয়ই তাদের মনে পড়ে যায় শৈশবের কথা, গ্রামের কথা। আর আজকের শহুরে আধুনিক বালক-বালিকারা, এমনকি তরুণ-তরুণীরাও এই আজব মজাদার রাইডে চড়েন। চরকির মতো বসবার আসনগুলো উর্ধমুখী হয় নাগরদোলা চলতে শুরু করলে। আরোহীদের ভেতর কিছুটা ভীতি ও উৎকণ্ঠা এসে ভর করে। তবু এ থেকে ষোলোআনা মজা বের করতে ছাড়ে না কেউ। এইবার বৈশাখীমেলায় দেখলাম নাগরদোলা হয়েছে বিশাল নৌকা। তার ভেতরে সারি সারি বসবার আসন। নৌকোয় আলোকসজ্জাও করা হয়েছে। নৌকোর দুটো গলুই একের পর এক শূন্যে উঠে যাচ্ছে। বেশ খাড়া ভঙ্গিটি। নাগর দোলার চাইতেও বেশি উৎকণ্ঠার, নিশ্চয়ই এক্সাইটিংও বটে। তা না হলে পাঁচ মিনিটের জন্য লোকে পঞ্চাশ টাকার টিকেট কাটবেন কেন? বছরের সশব্দ প্রস্থান! সূর্যাস্তের সঙ্গে সঙ্গেই কি বিদায় নেয় পুরনো বছর, আর বারো-তেরো ঘণ্টা বাদে সূর্যোদয়ের সঙ্গে উদিত হয় নতুন আরেকটি বছর? এটা মেনে নিলে রাতটুকুকে আমরা কোন বছরে ফেলব? বিদায়ী, নাকি আসন্ন বছরে? যাহোক, বাংলা বছরের শেষ সন্ধ্যায় মানে চৈত্রসংক্রান্তিতে বছর বিদায় নিল পুরো দেশ কাঁপিয়ে সশব্দে। হ্যাঁ ভূমিকম্পের কথাই বলছি। সে সময় আলিয়ঁস ফ্রঁসেজের চৈত্রসংক্রান্তি ও বর্ষবরণ অনুষ্ঠান উপভোগ করছিলাম। অল্পবয়সী নৃত্যশিল্পীটি পরিবেশন করছিলেন ধ্রুপদী নৃত্য। দুপায়ের ঘুঙুরে তুমুল আওয়াজ উঠছিল। ঠিক সে সময়েই খোলা প্রাঙ্গণ কেঁপে ওঠে। কাঠের মঞ্চ কাঁপতে পারে নৃত্যশিল্পীর পায়ের দ্রুতলয়ের মুদ্রায়। কিন্তু গোটা প্রাঙ্গণ তো কেঁপে ওঠার কথা নয়। বুঝে উঠতে উঠতেই অবশ্য ওই কাঁপন থেমে গেল। সুধীজনেরা বুঝলেন, একটি ভূমিকম্পই হয়ে গেল। তাতে হৃদকম্পও শুরু হলো কারও কারও। তবে নৃত্যশিল্পীটি জানালেন, তিনি তো কিছু টের পাননি! ষোলোয় ঐতিহ্য প্রকাশনায় দায়বদ্ধতা নতুন শতাব্দীই শুধু নয়, ছিল নতুন সহস্রাব্দ। ২০০০ সালকে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ এক সময়স্মারক হিসেবেই আমাদের মেনে নিতে হয়। ওই বছর তারুণ্যের বৈশিষ্ট্য নিয়ে আমাদের প্রকাশনা জগতে আগমন ঘটে নাঈমের। আরিফুর রহমান নাঈম, তার প্রকাশনা প্রতিষ্ঠানের নাম ঐতিহ্য। নামের ভেতরেই এক ধরনের অঙ্গীকার আছে। রয়েছে কিছুটা অহঙ্কারও। অনেকেই ভাবতেন ওই তরুণ ছেলেটি ঐতিহ্য কাকে বলে ভালমতো বোঝে তো! অল্প ক’বছরের মধ্যেই বোঝা গেল নাঈমের কারিশমা। নবীণ-তরুণদের বই প্রকাশ করে ইতোমধ্যেই তার স্থান হয়ে গেছে। ২০০৫ সালে বেরুল রবীন্দ্ররচনার সেট। বইমেলায় পাওয়া গেল সাশ্রয়ী মূল্যে। শুধু রবীন্দ্ররচনাসমগ্রই নয়, শরৎচন্দ্র, বিভূতিভূষণ, জীবনানন্দ, মানিক ও রবীন্দ্র-রচনাবলী প্রকাশিত হয়। নাঈমকে সেদিন যখন জিজ্ঞেস করলাম, গত ১৬ বছরে আপনার প্রকাশনা সংস্থার সবচেয়ে আনন্দদায়ক আর স্মরণীয় ঘটনা কি? উচ্ছ্বাস নিয়েই তিনি বললেন বাংলা সাহিত্যের ওই পাঁচ চিরায়ত লেখকের রচনাবলী প্রকাশের কথাটি। বললেন, ‘বাংলাদেশের প্রকাশনায় এর চেয়ে বড় আর কি কাজ হতে পারে। এ কারণে ২০০৫ সাল আমাদের কাছে সবচেয়ে আনন্দদায়ক ও স্মরণীয় বছর।’ ষোল বছরের পথচলা উপলক্ষে ঐতিহ্য আয়োজন করেছে বিশেষ মূল্যছাড়ের ‘ঐতিহ্য বই উৎসব’। শাহবাগের পাবলিক লাইব্রেরি চত্বরে এই উৎসব চলবে এপ্রিলজুড়ে। উৎসবে পাঠকরা ঐতিহ্য প্রকাশিত সহস্রাধিক বই ৩০%-৬০% পর্যন্ত মূল্যছাড়ে ‘আগে আসলে আগে পাবেন’ ভিত্তিতে ‘মজুদ থাকা সাপেক্ষে’ কিনতে পারবেন। এই উৎসবে পাঠকরা ঐতিহ্য প্রকাশিত মানসম্পন্ন কিছু বই মাত্র ৩০ টাকায় ক্রয়ের সুযোগ পাচ্ছেন। যাত্রা শুরুর পর থেকে প্রকাশনা জগতে ঐতিহ্য সব সময়ই বিষয় বৈচিত্র্যপূর্ণ সুনির্বাচিত বই প্রকাশ করে চলেছে। মুক্তিযুদ্ধের প্রামাণ্য দলিল ‘জয়বাংলা’, ‘বাংলাদেশ’, ‘তাজউদ্দীন আহমদ : নেতা ও পিতা’, ‘মুজিব বাহিনী থেকে গণবাহিনী : ইতিহাসের পুনর্পাঠ’ ও ‘দাম দিয়ে কিনেছি এই বাংলা’সহ বাংলাদেশের রাজনৈতিক ইতিহাসগ্রন্থ প্রকাশ করে পাঠকদের নজর কেড়েছে ঐতিহ্য। ঐতিহ্যের প্রকাশক জানালেন, আগামীতে আসছে ৩০ খণ্ড রবীন্দ্র-রচনাবলী। সম্পাদনা করেছেন রবীন্দ্র-গবেষক সৈয়দ আকরম হোসেন। আগামী ৪ মে ২০১৬ রবীন্দ্র-রচনাবলী আনুষ্ঠানিকভাবে প্রকাশিত হবে। এছাড়াও কালজয়ী সাহিত্যিকদের রচনাবলী ও বিষয়ভিত্তিক অভিধান প্রকাশের পরিকল্পনা আছে। অভিনব অপঘাত! উপেক্ষা ও অসচেতনতা দুর্ঘটনার শেষ নেই রাজধানীতে। অভিনব সব দুর্ঘটনা ঘটে। সব দুর্ঘটনাকে মেনেও নেয়া যায় না দুর্ঘটনা হিসেবে। এক ধরনের উপেক্ষাজনিত অপঘাত বলেই মনে হয়। সিএনজি বা কম্প্রেসড ন্যাচারাল গ্যাস যখন থেকে যানবাহনে ব্যবহার করা শুরু হয়েছে, তখন থেকেই এই ‘অভিনব মৃত্যুদূত’ হাজির হয়েছে লোকালয়ে। গ্যাস ভরার সময়ে গ্যাসের সিলিন্ডার বিস্ফোরণে অপমৃত্যু কত করুণ আর বীভৎস হতে পারে- তা প্রতিটি ‘দুর্ঘটনা’ থেকেই ধারণা করা যায়। দেশের বিপুলসংখ্যক যাত্রী সিএনজিচালিত যানবাহনে চলাফেরা করেন। কিন্তু যানবাহনে ব্যবহার করা গ্যাস সিলিন্ডারের ফিটনেস ও মেয়াদ যথাসময়ে পরীক্ষা না করার ফলে বিপুলসংখ্যক যাত্রীর জীবন এখন হুমকির মুখে রয়েছে। যানবাহনে ব্যবহৃত সিলিন্ডারের মেয়াদ ও ফিটনেস যে নিয়মিত পরীক্ষা ও সে অনুযায়ী ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে না, তা বোঝা যাচ্ছে গত কয়েক দিনে ধারাবাহিকভাবে সংঘটিত গ্যাস সিলিন্ডার বিস্ফোরণের ঘটনায়। গত বৃহস্পতিবার বিকেলে ঢাকার আশুলিয়ার নয়ারহাট এলাকায় সিএনজি স্টেশনে গ্যাস ভরার সময় ব্যক্তিগত গাড়ির সিলিন্ডার বিস্ফোরিত হয়ে গাড়িটির মালিকসহ দু’জন নিহত হয়েছেন। গত ফেব্রুয়ারিতে মানিকগঞ্জের ঘিওর উপজেলার তরা এলাকায় ঢাকা-আরিচা মহাসড়কে একটি যাত্রীবাহী চলন্ত বাসে গ্যাস সিলিন্ডার বিস্ফোরণের ঘটনায় ১০ জন অগ্নিদগ্ধসহ অন্তত ২০ যাত্রী আহত হন। আন্তর্জাতিক নির্দেশনা এবং ২০০২ সালে সরকারের জারি করা প্রজ্ঞাপন অনুযায়ী, প্রতি পাঁচ বছর পর গ্যাস সিলিন্ডারের ফিটনেস পরীক্ষা করার বিধান রয়েছে। সিলিন্ডার পরীক্ষা বাধ্যতামূলক করার জন্য সুনির্দিষ্ট আইন না থাকায় অনেক গাড়ির মালিক তাঁদের গাড়ির সিলিন্ডার পরীক্ষা করাতে খুব একটা আগ্রহ দেখান না। অনেকে আবার নিম্নমানের বা নকল সিলিন্ডারের ব্যাপারে একেবারেই সচেতন নন। তালাচাবির সংসার সংসার করতে গেলে তালাচাবির দরকার পড়ে। সম্পদ সামলে রাখার জন্য যেমন প্রয়োজন, তেমনি দরকার গৃহ সুরক্ষিত রাখার জন্যও। প্রতিটি বাড়িতেই এভাবে কতগুলো তালাচাবির যে প্রয়োজন হয় ভাবতে বসলে অবাকই লাগে। আবার তালাচাবি নিয়েই পেশার সংসার সাজান- এমন পেশাজীবীও আছেন এই ঢাকা শহরে বহু। আসলে সুনির্দিষ্টভাবে বললে বলতে হয় ‘চাবির সংসার’। আবাসিক এলাকার অলিতে গলিতে হাঁকডাক শোনা যায়- ‘ওই চাবি বানাবেন, চাবি।’ পিঠে ব্যাগ, হাতে বাজনদারের মতো চাবির গোছা বাজাতে বাজাতে এক তীব্র সুর তুলে চাবি মেরামতকারীরা নগরীর অলিতে গলিতে ঘুরে বেড়ান। আবার এক শ্রেণীর মেরামতকারী থাকেন বাজারের পাশে, কিংবা বড় সড়কের পাশের ফুটপাথে। তিন বাই চার ফুট মাপের একটা বাক্স থাকে তাদের প্রায় কোমর সমান উঁচু। ওপরে সাজানো থাকে আধুনিক ফ্ল্যাটের দরোজার ঘোরানো লক সিস্টেমের গোলাকৃতি তালা। প্রতিটি ফ্ল্যাটের ভাড়াটিয়াদের হাতে বাড়িঅলা এক সেট চাবি তুলে দেন। কিন্তু বাড়ির একাধিক সদস্যের জন্যই প্রয়োজন পড়ে স্বতন্ত্র চাবি। কারণ কর্মজীবী বা শিক্ষার্থীদের বাড়ির বাইরে যাওয়া ও ঘরে ফেরার সময় প্রায়শ এক হয় না। তাছাড়া অনেকে চাবি হারিয়ে ফেলেন, পকেটমার বা ছিনতাইকারীর পাল্লায় পড়েও খুইয়ে ফেলেন চাবি। তখন এই চাবিঅলারাই মুশকিল আসান করে দেন। উত্তরার জামাল মিয়া সেই মুশকিল আসানঅলাদের একজন। তার বাবাও একই পেশায় ছিলেন। পুরনো ঢাকা থেকে চাবি কিনে আনেন জামাল, যে কোন চাবির ডুপ্লিকেট বানাতে পারেন মাত্র দশ মিনিটে। ঘোরানো লকের চাবির বেলা দামটা একটু চড়াÑ দুশ’ টাকা। জিজ্ঞেস করেছিলাম, চুরিপেশায় যারা জড়িত তাদেরই তো অন্যের ঘরে ঢোকার জন্য চাবি লাগে। তারা আপনার কাছ থেকে কখনো চাবি বানিয়ে নিয়ে গেছেন কিনা। জানালেন, এসব আমরা অনুমানেই বুঝি। আন্দাজমতো দুই চারটা চাবি বানানোর আবদার নিয়ে এমন দুয়েকজন তার কাছে এসেছেন বটে। টাকাও বেশি সেধেছেন। কিন্তু এই কাজ তারা কখনোই করবেন না। কারণ ছোট্ট একটা চাবির গুরুত্ব অনেক। এটা দিয়ে সুযোগমতো কোন বাড়িতে ঢুকে ঘরের তাবত মূল্যবান জিনিস সরিয়ে ফেলা যায়। আসলেই তো, চাবি মেরামতকারী কিংবা নকল চাবি বানানোঅলারা অসৎ হলে গৃহকর্তা সর্বস্বান্ত হতে পারে। শিল্পীর জন্মদিনে ঢাকা গুণীজনদের স্মরণ করে, নানাভাবে কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করে থাকে। অধুনা এই প্রবণতা দেখা যাচ্ছে বেশ। শিল্পী ও শিল্পকলার শিক্ষক হাশেম খান পঁচাত্তরে পা দিলেন। এ উপলক্ষে জাতীয় জাদুঘরের প্রধান মিলনায়তনে অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। বিকেল ৪টায় শুরু হবে অনুষ্ঠান- কার্ডে এমনটাই লেখা ছিল। কুড়ি মিনিট দেরি হয়েছিল মোটে সেখানে পৌঁছতে। মনে হলো এরই মধ্যে দারুণ জমে উঠেছে অনুষ্ঠান। মিলনায়তনের অর্ধেক পূর্ণ হয়ে গেছে। অনেকগুলো আসনেই সুধীজনের বদলে বিরাট পুষ্পস্তবক। সেদিন এত ফুল মিছিল করে এসেছিল যে, শিল্পীর হাতে তা তুলে দেয়ার জন্য আলোচনায় নিয়মিত বিরতি দিয়ে সে সুযোগ করে দিতে হয়েছিল। মানুষের ভালবাসার চাইতে আর কী বড়? কবি-চিত্রশিল্পী-নাট্যজন-শিক্ষক-বুদ্ধিজীবী-সংস্কৃতিসেবী, বলা যায় সমাজের সর্বস্তরের সৃষ্টিশীল মননশীল বহু ব্যক্তির সমাবেশ ঘটেছিল ওই অনুষ্ঠানে। জন্মদিনে হাশেম খানের লেখক পরিচয়টিও বহুল প্রশংসিত হলো। বক্তারা ঘুরেফিরে একটি কথারই পুনরাবৃত্তি করছিলেন, আর সেটি হলো- হাশেম খান যেন শতবর্ষ পেরিয়েও কর্মক্ষম থাকেন। ১৭ এপ্রিল ২০১৬ [email protected]
×