ঢাকা, বাংলাদেশ   মঙ্গলবার ১৬ এপ্রিল ২০২৪, ৩ বৈশাখ ১৪৩১

পুস্তক প্রকাশক ও বিক্রেতা সমিতির স্মারকলিপি

প্রকাশিত: ০৬:১৪, ১৯ এপ্রিল ২০১৬

পুস্তক প্রকাশক ও বিক্রেতা সমিতির স্মারকলিপি

স্টাফ রিপোর্টার ॥ প্রস্তাবিত শিক্ষা আইন সংশোধনের দাবিতে সারাদেশে বইয়ের দোকান বন্ধ রেখে জেলা প্রশাসকদের স্মারকলিপি দিয়েছেন বই প্রকাশক ও বিক্রেতারা। বাংলাদেশ পুস্তক প্রকাশক ও বিক্রেতা সমিতির ডাকে দ্বিতীয়বারের মতো সোমবার দিনব্যাপী বন্ধ রাখা হয় সারাদেশে সব বইয়ের দোকান। এদিকে, কেন্দ্রীয় কর্মসূচীর অংশ হিসেবে ব্যবসায়ী নেতারা বাংলাবাজারে জমায়েত হয়ে ঢাকা জেলা প্রশাসকের কাছে স্মারকলিপি দিয়েছেন। ব্যবসায়ীরা ঘোষণা দিয়েছেন, দাবি পূরণ না হলে আরও কঠোর কর্মসূচী দেয়া হবে। দেশব্যাপী এইচএসসি ও সমমানের পরীক্ষা চলাকালীন এ ধরনের কর্মসূচীকে বর্জন করতে আহ্বান জানিয়েছেন অনেকেই। তবে বই ব্যবসায়ীরা দাবি করছেন, ‘শিক্ষা আইন ২০১৬’ শিরোনামের এই আইনের সাতটি উপধারা বাংলাদেশের প্রকাশনা শিল্পের অস্তিত্বের জন্য মারাত্মক হুমকি। সমিতির সহ-সভাপতি স ম গোলাম কবীর বলছিলেন, এর আগে ১০ তারিখে সারাদেশের বইয়ের দোকান বন্ধ করে সরকারকে স্মারকলিপি দিয়েছি আমরা। একই ভাবে সোমবারও পূর্ব ঘোষণা অনুযায়ী সারাদেশে বইয়ের দোকান বন্ধ ছিল। এছাড়া জেলা প্রশাসকদের বরাবর স্মারকলিপি দেয়া হয়েছে। তার দাবি, খসড়া আইনের ২(৩১) উপ-ধারায় নোট ও গাইড বইয়ের সংজ্ঞা, প্রথম অধ্যায়ের ৭(৬) ও তৃতীয় অধ্যায়ের ২১(৫) ধারায় এনসিটিবির অনুমোদনের ধারা, ৭(১১), ৭(১২), ৭(৯) ও ২১(৬) ধারা জনস্বার্থবিরোধী। এসব ধারা বাস্তবায়িত হলে প্রকাশনা শিল্পের সঙ্গে সম্পৃক্ত ২৫ লাখ পরিবার ক্ষতিগ্রস্ত হবে। এই শিল্পের সঙ্গে কেবল প্রকাশকরাই জড়িত নন, এর সঙ্গে মুদ্রাকর, বাঁধাইকারী, ছাপাখানার শ্রমিক ও বই ব্যবসায়ীরা জড়িত। জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ডের অনুমোদন ছাড়াই বর্তমানের মতো স্বাধীনভাবে ‘সহায়ক বই’ প্রকাশের সুযোগ বহাল রাখাসহ আইনের কয়েকটি উপধারা সংশোধনের দাবি জানান তিনি।
×