ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১

মাহমুদুর রহমানও ফেঁসে যাচ্ছেন জয় হত্যা চেষ্টা মামলায়

প্রকাশিত: ০৫:৫২, ১৯ এপ্রিল ২০১৬

মাহমুদুর রহমানও ফেঁসে যাচ্ছেন জয় হত্যা চেষ্টা মামলায়

বিশেষ প্রতিনিধি ॥ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার তথ্যপ্রযুক্তিবিষয়ক উপদেষ্টা ও তার পুত্র সজীব ওয়াজেদ জয়কে অপহরণ ও হত্যাচেষ্টার মামলায় কারাবন্দী আমার দেশের ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক মাহমুদুর রহমানকে সোমবার গ্রেফতার দেখিয়ে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ১০ দিনের রিমান্ডের আবেদন জানিয়েছে গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি)। জয় অপহরণ ও হত্যাচেষ্টা মামলায় গ্রেফতার দেখিয়ে আদালতে হাজির করা হয় মাহমুদুর রহমানকে এবং শুনানি শেষে আদালত রিমান্ড শুনানির জন্য দিন ধার্য করেছেন আগামী ২৫ এপ্রিল। বিএনপি ঘনিষ্ঠ সাংবাদিক মাহমুদুর রহমান ছাড়াও যুক্তরাষ্ট্র প্রবাসী বাংলাদেশের নাগরিক চট্টগ্রামের মিল্টন ভূঁইয়াও জড়িত থাকার প্রমাণ পেয়েছে তদন্তকারী সংস্থা ডিবি। এই মামলায় গত শনিবার দৈনিক যায়যায়দিনের সাবেক সম্পাদক শফিক রেহমানকে গ্রেফতার করে ৫ দিনের রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। সাংবাদিক শফিক রেহমানকে জিজ্ঞাসাবাদে ও তদন্তে মাহমুদুর রহমান ও মিল্টন ভুঁইয়ার নাম বের হয়ে এসেছে। ডিবি ও আদালত সূত্রে এ খবর জানা গেছে। ডিবি সূত্র জানান, যুক্তরাষ্ট্র প্রবাসী বাংলাদেশের নাগরিক মিল্টন ভুঁইয়াকে গ্রেফতার ও দেশে ফিরিয়ে আনতে আন্তর্জাতিক পুলিশ সংস্থা ইন্টারপোল ও যুক্তরাষ্ট্রের গোয়েন্দা সংস্থা এফবিআইকে তথ্য দিয়ে সহায়তা চাওয়া হবে। সাংবাদিক শফিক রেহমানকে জিজ্ঞাসাবাদে অপর সাংবাদিক মাহমুদুর রহমান ও মিল্টন ভুঁইয়ার জড়িত থাকার বিষয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে। তার কাছ থেকে এ বিষয়ে গুরুত্বপূর্ণ তথ্য পাওয়া গেছে। সাংবাদিক শফিক রেহমান জয়কে অপহরণ ও হত্যার চেষ্টার পরিকল্পনার জন্য যুক্তরাষ্ট্রে গিয়ে যেসব বৈঠক করেছেন তাতে যুক্তরাষ্ট্র প্রবাসী বাংলাদেশী নাগরিক মিল্টন ভুঁইয়াও উপস্থিত ছিলেন। এ ছাড়াও যুক্তরাষ্ট্রে বসবাসকারী বিএনপির অনেক নেতার সঙ্গে যোগাযোগ করেছিলেন সাংবাদিক শফিক রেহমান। জয় অপহরণ ও হত্যাচেষ্টা পরিকল্পনায় এজেন্ট নিয়োগ করতে মিল্টন ও মাহমুদুর রহমানের মধ্যে অনেকবার যোগাযোগ হওয়ার তথ্যপ্রমাণ পেয়েছেন তদন্তকারীরা। এর মধ্যে সজীব ওয়াজেদ জয়ের গতিবিধি, তার অবস্থানের ছক, কোথায় কখন, কিভাবে হত্যা করা হবে, এ হত্যায় কে থাকবে এসব বিষয়ও রয়েছে। সাংবাদিক শফিক রেহমান তখন যুক্তরাষ্ট্রে অবস্থান করে নিজে জয় অপহরণ ও হত্যাচেষ্টার পরিকল্পনা বাস্তবায়নের জন্য খোঁজখবর নিয়েছেন এবং ষড়যন্ত্রকারীদের সঙ্গে একাধিক বৈঠক করেছেন। সাংবাদিক শফিক রেহমান যুক্তরাষ্ট্রে অবস্থানকালে তখন অনুষ্ঠিত বৈঠকে উপস্থিতদের এই পরিকল্পনা বাস্তবায়নে অর্থের যোগানদাতা, মদদদাতারা প্রস্তুত আছেন বলে অভয় দেন। এই বিষয়ে ব্যাপক জিজ্ঞাসাবাদের মুখে অনেক গুরুত্বপূর্ণ তথ্য দিয়েছেন সাংবাদিক শফিক রেহমান। মাহমুদুর রহমানের জন্য রিমান্ডের আবেদন ॥ কারাবন্দী মাহমুদুর রহমানকে সোমবার গ্রেফতার দেখিয়ে তাকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আদালতে ১০ দিনের রিমান্ড আবেদন করেছে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি)। প্রধানমন্ত্রীর তথ্যপ্রযুক্তি উপদেষ্টা সজীব ওয়াজেদ জয়কে অপহরণ ও হত্যাচেষ্টার মামলায় গ্রেফতার দেখিয়ে ১০ দিনের রিমান্ডের জন্য আবেদন জানান তদন্তকারী কর্মকর্তা পরিদর্শক ফজলুর রহমান মাহমুদুর রহমান। এ সময় উপস্থিত ছিলেন গোয়েন্দা পুলিশের সহকারী কমিশনার হাসান আরাফাত। কারাবন্দী মাহমুদুরকে ঢাকার মুখ্য মহানগর হাকিমের আদালতে হাজির করা হয়। রিমান্ডের আবেদনের শুনানি করেন মহানগর হাকিম মোঃ নূর নবী। এ বিষয়ে শুনানির জন্য আগামী ২৫ এপ্রিল দিন ধার্য করেছেন আদালত। যুক্তরাষ্ট্রের আদালতে ইতোমধ্যেই প্রমাণিত হয়েছে যে, জয়কে অপহরণ ও হত্যাচেষ্টার পরিকল্পনায় যুক্তরাষ্ট্রের গোয়েন্দা সংস্থা এফবিআইকে ঘুষ দিয়েছিল বিএনপির অঙ্গ সংগঠন জাসাসের রিজভী আহমেদ সিজার। যুক্তরাষ্ট্রের আদালতে অভিযোগের বিচার অনুষ্ঠিত হওয়ার পর জয় অপহরণ ও হত্যাচেষ্টার ঘটনায় তথ্য আদান-প্রদানের বিষয়ে ঘুষ দেয়ার বিষয়টি প্রমাণিত হওয়ার পর তাদেরও সাজা হয় যুক্তরাষ্ট্রের আদালতে। যেভাবে বাংলাদেশের সাংবাদিকের নাম আসে ॥ যুক্তরাষ্ট্রের আদালতের রায়ে বলা হয়েছে, গত বছর রিজভী আহমেদ সিজার বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রীর ছেলের ক্ষতি করার লক্ষ্যে তার ব্যক্তিগত তথ্য পেতে আসামি এফবিআইয়ের এক এজেন্টকে ঘুষ দিয়েছিলেন। ঘুষ দিয়ে তথ্য পাওয়ার পর তা সিজার বাংলাদেশী ‘একজন সাংবাদিককে’ তা সরবরাহ করেছিলেন এবং বিনিময়ে ‘প্রায় ৩০ হাজার ডলার’ পেয়েছিলেন বলেও রায়ে উল্লেখ করা হয়। যুক্তরাষ্ট্রের আদালতে ওই রায়ের পর জয়কে অপহরণের চক্রান্তের অভিযোগ তুলে ঢাকার পল্টন থানায় একটি জিডি ও মামলা করে পুলিশ। এই মামলায় রিজভী আহমেদ সিজারের বাবা প্রবাসী বিএনপি নেতা মোহাম্মদ উল্লাহ মামুনসহ বিএনপির শীর্ষ নেতৃবৃন্দকেও আসামি করা হয়। সেই মামলাতেই শনিবার গ্রেফতার হন সাংবাদিক শফিক রেহমান। বিএনপি ঘনিষ্ঠ সাংবাদিক শফিক রেহমানকে ৫ দিনের রিমান্ডে এনে জিজ্ঞাসাবাদের মুখে দ্বিতীয় দিনে সোমবার আরেক বিএনপি ঘনিষ্ঠ সাংবাদিক কারাবন্দী মাহমুদুর রহমানের নাম বের হয়ে আসায় তাকেও জিজ্ঞাসাবাদের জন্য রিমান্ডের আবেদন জানানো হয় বলে জানান তদন্তকারী সংস্থা ডিবি কর্মকর্তারা। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল রবিববার এক অনুষ্ঠানে সাংবাদিকদের বলেন, জয়ের প্রাণনাশে যুক্তরাষ্ট্রের চক্রান্তকারীদের সঙ্গে শফিক রেহমানসহ দুই-তিনজনের যোগাযোগ ছিল এবং শফিক রেহমানকে যে সুনির্দিষ্ট মামলায় গ্রেফতার করা হয়েছে তাও জানান। পুলিশের কাউন্টার টেররিজম ইউনিটের প্রধান অতিরিক্ত কমিশনার মনিরুল ইসলামও রবিবার জানিয়েছেন, মাহমুদুর রহমানকেও যে এ মামলায় গ্রেফতার দেখিয়ে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য রিমান্ডের আবেদন জানানো হবে। শফিক রেহমানের যুক্তরাষ্ট্রে বৈঠক ॥ ডিবি সূত্র জানান, বিএনপির চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়ার সাবেক উপদেষ্টা মাহমুদুর দৈনিক আমার দেশ পত্রিকার মালিকানা কিনে সম্পাদক বনে যান। ২০১৩ সালে ধর্মীয় উস্কানি ও রাষ্ট্রদ্র্রোহের মামলায় গ্রেফতার হওয়ার পর থেকে তিনি কারাগারে রয়েছেন। তার বিরুদ্ধে বেশ কয়েকটি মামলা রয়েছে। শফিক রেহমানকে গ্রেফতারের পর রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদের প্রথম দিন তারা পর্যাপ্ত তথ্য পেয়েছে তদন্তকারীরা। যুক্তরাষ্ট্রে জয়কে অপহরণ চেষ্টা সঙ্গে মাহমুদুর রহমান জড়িত বলে শফিক রেহমানকে জিজ্ঞাসাবাদে এমন তথ্য পাওয়া গেছে বলে তদন্তকারীদের দাবি। এসব দাবির সত্যতা যাচাই-বাছাই করার জন্য কারাবন্দী মাহমুদুর রহমানকে এ মামলায় গ্রেফতার দেখিয়ে রিমান্ডের আবেদন করা হয়েছে। জয় হত্যা পরিকল্পনার বিষয়ে পাওয়া তথ্য-উপাত্ত, কাগজপত্র ও সর্বশেষ শফিক রেহমানের জিজ্ঞাসাবাদে দেয়া তথ্যের সঙ্গে অনেক মিল পাওয়া গেছে। ২০১১ সাল থেকে জয়কে হত্যার পরিকল্পনা শুরু হয়। ২০১৩ সালে যুক্তরাষ্ট্রে দ-িত বিএনপি নেতার ছেলে রিজভী আহমেদ সিজার ও মাহমুদুর রহমানের মধ্যে প্রধানমন্ত্রী পুত্র জয়ের ব্যক্তিগত তথ্য আদান-প্রদান হয়। ওই সময় গ্রেফতার সিজার তার বন্ধু মিল্টন ভূঁইয়ার মাধ্যমে গুরুত্বপূর্ণ তথ্য ঢাকায় মাহমুদুরকে পাঠিয়েছিলেন। মাহমুদুর রহমানকে গুরুত্বপূর্ণ তথ্য পাঠানোর পরই ২০১৩ সালে যুক্তরাষ্ট্রে গিয়ে শফিক রেহমান যুক্তরাষ্ট্রে অবস্থানরত ওই চক্রের সঙ্গে একাধিক বৈঠক করেন। সিজার আঙ্কেল ডাকতেন শফিক রেহমানকে ॥ সাংবাদিক শফিক রেহমানকে আঙ্কেল বলে ডাকতেন যুক্তরাষ্ট্রে সাজাপ্রাপ্ত সিজার। সিজার বিএনপি মতাদর্শে বিশ্বাস করেন। একাধিকবার বিএনপির বিভিন্ন রাজনৈতিক অনুষ্ঠানে যোগ দিতে যুক্তরাজ্য গিয়েছিলেন তিনি। শফিক রেহমান তাদের সঙ্গে নিয়মিত যোগাযোগ রাখতেন। শফিক রেহমানকে আঙ্কেল বলে ডাকতেন সিজার। ২০১২ সালে শফিক রেহমান নিউইয়র্কে যান। সেখানে সিজার, শফিক রেহমান, লাস্টিক ও থ্যালার ডারবান নামে একটি শপিং মলে সাক্ষাত করেন তিনি। শফিক রেহমানকে সেখানে পারিবারিক বন্ধু বলে তাদের সঙ্গে পরিচয় করিয়ে দেন সিজার। বৈঠকে শফিক রেহমানের কাছে জয়ের ব্যাপারে লাস্টিকের সংগ্রহ করা বিভিন্ন তথ্য-উপাত্ত দেন। ভবিষ্যতে আরও তথ্য-উপাত্ত দেবেন বলে লাস্টিক তাদের আশ্বস্ত করেন। এফবিআই এজেন্ট ৪০ হাজার ইউএস ডলারের বাকি যে ডলার পাবেন তাও দ্রুত শফিক রেহমান মিল্টন ও সিজারকে দিতে বলেন। সেখানে তারা পরস্পর সজীব ওয়াজেদ জয়ের ব্যাপারে আরও তথ্য সংগ্রহ করবেন বলেও জানান ওই বৈঠকে। এ ছাড়ও মেইলে সিজার সবকিছু জানাতেন মিল্টনকে। মিল্টনের মাধ্যমে তথ্য-প্রমাণ পেতেন মাহমুদুর রহমানও। এসব তথ্য-প্রমাণের বিষয়েও ডিবি জিজ্ঞাসাবাদ করেছে শফিক রেহমানকে। ডিবির কাছে যুক্তরাষ্ট্রের জাস্টিস ডিপার্টমেন্টের তথ্য ॥ যুক্তরাষ্ট্রের জাস্টিস ডিপার্টমেন্টের পাওয়া তথ্য পর্যালোচনা করেছে ডিবি পুলিশ। এতে দেখা যায়, যুক্তরাষ্ট্রে জয় সম্পর্কে গোপন তথ্য সংগ্রহের বিনিময়ে অভ্যন্তরীণ আইনশৃঙ্খলাসংক্রান্ত দলিল সংগ্রহের জন্য ঘুষ লেনদেনের ঘটনায় এফবিআইয়ের সাবেক স্পেশাল এজেন্ট রবার্ট লাস্টিক, তার বন্ধু জোহান্স থ্যালার এবং থ্যালারের পরিচিত রিজভী আহমেদ সিজারকে অভিযুক্ত করা হয়েছে। বিএনপির সাংস্কৃতিক সংগঠন জাসাসের সহসভাপতি মোহাম্মদ উল্লাহ মামুনের ছেলে রিজভী আহমেদ সিজার। পরে রিজভী আহমেদ এবং থ্যালের যথাক্রমে ৪২ মাস ও ৩০ মাসের সাজা হয়েছে। তাদের আরও দুই বছর নজদারিতে রাখারও নির্দেশনা দিয়েছেন আদালত। লাস্টিক অন্য ঘটনায় গ্রেফতার হয়ে জেলহাজতে আছেন। যুক্তরাষ্ট্রের জাস্টিস ডিপার্টমেন্টের দলিলে এসব তথ্যাদি উল্লেখ করা হয়েছে। এতে দেখা যায়, গোপন তথ্য সংগ্রহের বিনিময়ে রিজভী আহমেদ সিজারের কাছ থেকে লাস্টিক ও থ্যালার কমপক্ষে ১০০০ ইউএস ডলার গ্রহণ করেন। যুক্তরাষ্ট্রে এই ঘটনার পর এফবিআইয়ের সঙ্গে যোগাযোগ শুরু করে। দেশে তদন্ত শুরু করে বাংলাদেশের পুলিশ। তদন্তের ষড়যন্ত্রের গুরুত্বপূর্ণ তথ্য পায় পুলিশ। সেই তথ্য যাচাই বাছাই করে শফিক রেহমানের জড়িত থাকার প্রমাণ পাওয়া যায়। তারপরই গ্রেফতার করা হয় শফিক রেহমানকে। ৪০ হাজার ইউএস ডলারের চুক্তি ॥ ২০১১ সালে সিজারের পরিচয় হয় যুক্তরাষ্ট্রের নাগরিক থ্যালারের সঙ্গে। থ্যালারের মাধ্যমে একজন এফবিআইয়ের এজেন্ট নিয়োগ করার অনুরোধ করেন সিজার। সিজার তাকে বলেন, ওই এজেন্টকে তিনি ৪০ হাজার ডলার ঘুষ দিতে রাজি আছেন। তখন এফবিআই এজেন্ট রবার্ট লাস্টিককে নিযুক্ত করেন। প্রাথমিকভাবে যুক্তরাষ্ট্রের বিএনপি নেতা মিল্টন ভূইয়া তথ্যের জন্য তাদের ২ হাজার ডলার ঘুষ পরিশোধ করেন। সিজার তার বাবার বিএনপির রাজনৈতিক মতাদর্শে উজ্জীবিত হয়ে জয়কে অপহরণ ষড়যন্ত্রে লিপ্ত হওয়ার জন্য উৎসাহিত হয়ে উদ্যোগ নেন। তার সঙ্গে যুক্ত হন মিল্টন ভুঁইয়া নামে আরও এক আমেরিকা প্রবাসী যিনি বিএনপি নেতাও। চট্টগ্রামের বাসিন্দা মার্কিন প্রবাসী মিল্টন ভুইয়াই পুরো ষড়যন্ত্রের মধ্যস্থতা করেছেন। যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য ও বাংলাদেশসহ কয়েকটি দেশে এ নিয়ে ষড়যন্ত্রকারীরা একাধিকবার বৈঠক করেছেন। নিজেদের মধ্যে তারা মেইলের মাধ্যমে যোগাযোগ করতেন। এমন কিছু মেইলও হাতে পেয়েছে পুলিশ। শফিক রেহমান আমেরিকায় যাওয়ার কথা স্বীকার করেছেন। বিএনপিতে ভাল পদ ও মন্ত্রিত্ব পেতেন ॥ তদন্তের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট ডিবির এক কর্মকর্তা বলেন, শফিক রেহমান যুক্তরাষ্ট্রে যাওয়ার পর মার্কিন প্রবাসী মিল্টনের সঙ্গে একাধিকবার বৈঠক অনুষ্ঠিত হয় তার। মার্কিন প্রবাসী জয়কে অপহরণ ও হত্যার চেষ্টার সফল বাস্তবায়ন করতে পারলে আগামীতে বিএনপিতে ভাল পদ ও বিএনপি ক্ষমতায় গেলে মন্ত্রী হতেন। শুধু তিনিই (শফিক রেহমান) নন, কারাবন্দী মাহমুদুর রহমানও বিএনপিতে ভাল পদ এবং বিএনপি ক্ষমতায় গেলে মন্ত্রীর পদ পাওয়ার আশায়ই জয় অপহরণ ও হত্যাচেষ্টা ষড়যন্ত্র করেন।
×