ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১

বেগম জিয়া দেশকে জঙ্গীরাষ্ট্র হিসেবে বিশ্বে পরিচিতি করেছিলেন ॥ সৈয়দ আশরাফ

প্রকাশিত: ০৬:০৩, ১৮ এপ্রিল ২০১৬

বেগম জিয়া দেশকে  জঙ্গীরাষ্ট্র হিসেবে  বিশ্বে পরিচিতি  করেছিলেন ॥ সৈয়দ আশরাফ

নিজস্ব সংবাদদাতা, কুষ্টিয়া, ১৭ এপ্রিল ॥ বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও জনপ্রশাসনমন্ত্রী সৈয়দ আশরাফুল ইসলাম বলেছেন, ৪৫ বছর আগে ১৯৭১ সালের আজকের দিনে মেহেরপুরের বৈদ্যনাথতলার এই ঐতিহাসিক আম্রকাননে দেশের প্রথম সরকার শপথ গ্রহণ করেছিল। শুধু শপথ গ্রহণ করেনি, সঙ্গে সঙ্গে স্বাধীনতার ঘোষণাপত্রও পাঠ করা হয়েছিল এখানে। এই স্বাধীনতার ঘোষণা হলো আমাদের আজকের সংবিধানের মূল অধ্যায়, যা বাংলাদেশ নামক রাষ্ট্রের আইনসিদ্ধ ভিত্তি গড়ে দেয়। পরবর্তীকালে বাংলাদেশের সংবিধান ওই ঘোষণাপত্রের আলোকেই তৈরি করা হয়। ঐতিহাসিক মুজিবনগর দিবস উপলক্ষে রবিবার এখানে আয়োজিত এক আলোচনা সভায় সভাপতির ভাষণে সৈয়দ আশরাফুল ইসলাম আরও বলেন, বেগম জিয়া পাকিস্তানী তাঁবেদার। তিনি এদেশেকে জঙ্গী রাষ্ট্র হিসেবে সারা বিশে^ পরিচিতি করেছিলেন। সভায় বক্তারা বলেন, মহান মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাসে এক স্মরণীয় দিন ১৭ এপ্রিল। ৪৫ বছর আগের এদিনে মেহেরপুরের তৎকালীন বৈদ্যনাথতলার আম্রকাননে শপথ গ্রহণ করে বাংলাদেশের অস্থায়ী সরকার। এখানেই গঠন করা হয় প্রবাসী সরকার। পরে ওই জায়গার নাম বদলে রাখা হয় মুজিবনগর। এটিই ছিল প্রবাসী অস্থায়ী সরকারের রাজধানী। সভায় দলের প্রেসিডিয়াম সদস্য ও শিল্পমন্ত্রী আমির হোসেন আমু বলেন, আওয়ামী লীগ কখনও আন্দোলনের হুমকিতে ভয় পায় না। বিএনপি আন্দোলনের নামে মানুষ হত্যা করলে কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। সাংবাদিক শফিক রেহমানের মুক্তি দাবিতে বিএনপি চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়ার বিবৃতি প্রসঙ্গে আমু বলেন, আইন অনুযায়ী তাকে গ্রেফতার করা হয়েছে। আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। রবিবার দুপুরে শেখ হাসিনা মঞ্চে আওয়ামী লীগ আয়োজিত আলোচনা সভায় প্রধান অতিথি শিল্পমন্ত্রী এসব কথা বলেন। তিনি আরও বলেন, বিএনপি-জামায়াত কখনও মুজিবনগর দিবস মানে না। তাদের মুখে দেশপ্রেমের কথাও শোভা পায় না। দেশের জন্মের ইতিহাস না মানলেও দেশপ্রেমিক দাবি করে বিএনপি-জামায়াত অথচ মুক্তিযুদ্ধকালীন দীর্ঘ মাস তারা মুক্তিযুদ্ধের বিরোধিতা করেছে। এই দেশের সূর্য সন্তানদের তারা হত্যা করেছে। তারা মা-বোনদের সম্ভ্রম নষ্ট করেছে এবং মুক্তিকামী মানুষের বাড়িঘর জ্বালিয়ে দিয়েছিল। তাদের রুখে দেয়ার শপথই হোক আজকের এই দিবসের শপথ। অনুষ্ঠানে আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুবউল আলম হানিফসহ কেন্দ্রীয় ও স্থানীয় নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন। এ ছাড়াও উপস্থিত ছিলেন, সরকারী কর্মকর্তা, মুক্তিযোদ্ধাসহ বিভিন্ন শ্রেণী পেশার মানুষ। এর আগে সকাল দশটা স্মৃতিসৌধে পুষ্পার্ঘ্য অর্পণ করেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও জনপ্রশাসনমন্ত্রী সৈয়দ আশরাফুল ইসলাম, প্রেসিডিয়াম সদস্য শিল্পমন্ত্রী আমির হোসেন আমুসহ নেতৃবৃন্দ। এর পর অতিথিদের গার্ড অব অনার প্রদান করেন পুলিশ, আনছার, বিএনসিসি, মুক্তিযোদ্ধা ও ছাত্রছাত্রীরা। এদিকে মুজিবনগর দিবসের অনুষ্ঠানে মেহেরপুর ছাড়াও আশপাশের জেলা থেকে আওয়ামী লীগ নেতাকর্মী, মুক্তিযোদ্ধাসহ বিভিন্ন শ্রেণী পেশার মানুষের ছিল উপচে পড়া ভিড়। বিকেলে মুক্তিযুদ্ধ মন্ত্রণালয়ের উদ্যোগে মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে সঙ্গীত পরিবেশন করেন দেশবরেণ্য শিল্পীবৃন্দ।
×