স্টাফ রিপোর্টার ॥ নারী শুধুমাত্র করুণার পাত্র নয়, তাদের মেধা ও মনন দিয়ে পুরুষের সঙ্গে সমানভাবে এ সমাজে বসবাস করার যোগ্যতা আছে, এমনই দৃশ্য ফুটে ওঠে সমসাময়িক নৃত্যনাট্যে, সমাজে কিভাবে নারীরা নির্যাতিত হচ্ছে তারও প্রতিচ্ছবি ফুটে উঠেছে এ প্রজন্মের মেধাবী নৃত্যশিল্পীদের নৃত্যশৈলীতে।
বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমির জাতীয় নাট্যশালার প্রধান মিলনায়তনে শনিবার সন্ধ্যায় অনুষ্ঠিত হয় সাত তরুণ বাংলাদেশী কোরিওগ্রাফার দ্বারা সমসাময়িক নৃত্যনাট্য পারফর্মেন্স। সমসাময়িক এ নৃত্যনাট্যের আয়োজন করেছে বাংলাদেশের গ্যেটে ইনস্টিটিউট। সহযোগিতায় ছিল বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমি। অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন গ্যেটে ইনস্টিটিউটের পরিচালক ফিলিপ কুপার্স। আয়োজনটি গ্যেটে ইনস্টিটিউট বাংলাদেশের ‘ইয়ং কোরিওগ্রাফার প্ল্যাটফর্ম প্রকল্প ২০১৬’ শিরোনামে একটি প্রকল্পের অংশ, যার মূল উদ্দেশ্য হলো এ দেশের তরুণ ও প্রতিশ্রুতিশীল কোরিওগ্রাফারদের প্রশিক্ষণের মাধ্যমে সুদক্ষ করে গড়ে তোলা এবং তাদের প্রতিষ্ঠিত করার লক্ষ্যে মঞ্চে সুযোগ প্রদান করা।
এ বছরের জানুয়ারি মাস থেকে যে সাত তরুণ কোরিওগ্রাফার একাধিক কর্মশালায় অংশগ্রহণ করছেন তারা হলেনÑ মোঃ ফরহাদ আহমেদ, লামিয়া সাইয়ারা মেলা, পারভীন সুলতানা কলি, শাম্মি আক্তার, স্নাতা শাহরিন, সুদেষ্ণা স্বয়ম্প্রভা ও তাহনুন আহমেদী।
এই সাতজন নিত্যশিল্পী জার্মান কোরিওগ্রাফার টমাস বুনেগরের নিবিড় পরিচর্যায় তাদের নিজ নিজ সমসাময়িক নৃত্যনাট্য পরিকল্পনা করেছেন, যা মঞ্চে প্রথমবারের মতো প্রদর্শিত হয়। এর শৈল্পিক পরিচালক টমাস বুন্গের, কারিগরিতে ছিলেন ফয়েজ জহির, শৈল্পিক পরিচালকের সহকারী রেজওয়ান পারভেজ, পোশাক পরিকল্পনায় সুরভী রায় এবং সঙ্গীতে ছিলেন তাজ উদ্দিন তাজু।