ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৫ বৈশাখ ১৪৩১

বৈশাখে মেলায় মানুষের ঢল

প্রকাশিত: ০৭:২৮, ১৬ এপ্রিল ২০১৬

বৈশাখে মেলায় মানুষের ঢল

বৈশাখ এলেই বাহারি মেলার ছড়াছড়ি লেগে যায় পুরো ময়মনসিংহ জুড়ে। গ্রাম কি শহর সবখানেই মেলার আয়োজন উৎসবে যোগ দিতে ঢল নামে নানা শ্রেনী পেশার হাজারো মানুষের। প্রাণের উৎসবে মেতে ওঠে নানা বয়সী মানুষ। বাংলা নববর্ষকে বরণ করতে এবং প্রাণবন্ত করে তুলতে মেলা কেন্দ্রিক আয়োজনের প্রস্তুতি শুরু হয় পহেলা বৈশাখের আগে থেকেই। সকালে বাংলা নববর্ষের বর্ণাঢ্য আনন্দ র‌্যালীর পর পরই মূলত প্রতিটি মেলায় এই ঢল নামে। পরিবার পরিজন ও বন্ধু বান্ধবদের নিয়ে দিনভর মেলায় ঘুরে বেড়ানো, পছন্দের জিনিষ কেনাকাটা আর সাংষ্কৃতিক আয়োজন উৎসবে প্রাণের উচ্ছ্বাস মেলানোর মধ্য দিয়েই নানা শ্রেনী পেশার মানুষ বৈশাখী মেলাকে উপভোগ করে আসছে যুগ যুগ ধরে। প্রাচীন শহর ময়মনসিংহের একাধিক স্পটে প্রতিবছর কড়া নিরাপত্তা ব্যবস্থার মধ্য দিয়ে আয়োজন করা হয় এই বৈশাখী মেলার। এর মধ্যে শহরের শিল্পাচার্য জয়নুল আবেদীন জাদুঘর সংলগ্ন ‘সাহেব কোয়ার্টার’ এলাকা বলে পরিচিত মাঠে আয়োজন করা হয় ভিন্ন মাত্রার মেলা। মেলার শতাধিক স্টলে রাখা হয় বাহারি রঙের পছন্দের সব খেলনাসহ প্রয়োজনীয় সব সামগ্রী। এর সাথে নাগরদোলা, চড়কিসহ বিনোদনের নানা আয়োজন শিশু কিশোরদের আনন্দ যুগিয়ে আসছে। শহরের নাসিরাবাদ কলেজ মাঠেও বর্ণাঢ্য মেলার আয়োজন করা হয় কয়েক বছর ধরে। এই মেলায় মৃৎশিল্প ও খেলনা সামগ্রীসহ বাশ বেতের নানা স্টল বসে। নাসিরাবাদ কলেজ মাঠের এই মেলায় আবহমান বাংলার গ্রামীণ ঐতিহ্য ও রূপকে মেলে ধরার চেষ্টা করে থাকে আয়োজকরা। শহরের বাইরে ময়মনসিংহ সদর উপজেলার চরখরিচা হাই স্কুল মাঠেও প্রতিবছর পহেলা বৈশাখে আয়োজন করা হয় তিন দিনব্যাপী বৈশাখী মেলার। এই মেলায় ফুটবল প্রতিযোগিতা, ঘোড় দৌড়, লাঠিখেলা, ঘুড়ি উড়ানো প্রতিযোগিতাসহ নানা আয়োজন রাখা হয়। এর বাইরে বিভিন্ন স্টল বসে। এসব স্টলে খেলনা সামগ্রী ছাড়াও গৃহস্থালীর প্রয়োজনীয় সামগ্রী বেচাবিক্রি চলে। -বাবুল হোসেন, ময়মনসিংহ থেকে
×