আহা, মধুমাস কি মজার!
রবিউল হুসাইন
বাংলা সনটা চলেই গেল
চৈতী রথে চড়ে
তবু আবার এলো ফিরে
বোশেখে জৈষ্ঠের নীড়ে
আমের বোলে মৌমাছি সব
পরাগরেণু মেখে
মধু চুষে বেড়ায় উড়ে
আপন মনে সুখে
সিঁদুর-রাঙা আম লিচু জাম
বাতাসে সব দোলে
ধুপুস্্ ধাপুস্্ ঝরে পড়ে
একটু বাতাস হলে
আমরা তখন সবাই মিলে
গাছের তলায় যাই
আম জাম কুড়িয়ে নিয়ে
ঝুড়ি করি বোঝাই
তারপরে সেই গাছের ছায়ায়
সাজিয়ে থরে থরে
ফলের এক পাহাড় বানাই
যতœ করে ধীরে
এমন সময় তুমুল বেগে
কাল বোশেখীর হঠাৎ ঝড়ে
নিমিষে সেই ফলের পাহাড়
শূন্যে গেল উড়ে
আরে, তাতে কিছু যায় আসে না
আম কুড়োতে আবার
ঝড়ের ভেতর নেমে পড়ি
আহা, মধুমাস কি মজার!
পয়লা বোশেখ
পৃথ্বীশ চক্রবর্ত্তী
পয়লা বোশেখ
এল বলে আজ
ধরল স্বদেশ
ভিন্ন রকম সাজ।
জরা-গ্লানির
নেইতো কলরব
সাম্য-মৈত্রী
সম্প্রীতির আজ রব।
ছায়া নটের
রমনা বটমূল
গানে গানে
রবীন্দ্র-নজরুল।
শোভাযাত্রায়
মুখোশ পরল কেহ
তুলির রঙে
রঙিন কারো দেহ।
সাজলো ইফ্তি
সাজলো তৃপ্তি খুব
সব দিয়েছে
আনন্দে আজ ডুব।
তবুও বোশেখ
জগলুল হায়দার
দিনটা দারুণ এলোমেলো
হাওয়ার ডানায় আকাশ পেলো
শনৈ শনৈ বেগ
দুরন্ত সব মেঘ।
জমলো আঁধার, কমলো আলো
ঈশান আকাশ নিকষ কালো
উড়ছে পথে ধুল
মত্ত হুলুস্থুল।
ঝড় বৃষ্টি, ঝড় বৃষ্টি
গুড়ুমগুড়ুম বাজ
এলোকেশী মেঘ ছড়িয়ে
দেয়ার সে কি সাজ!
দেয়ার সাজে যদিও কাজে
কেবল বাধে গোল
তবুও বোশেখ, রুদ্র বোশেখ
বাজছে প্রাণের ঢোল।
বোশেখ মানে
মানজুর মুহাম্মদ
বোশেখ ঝড়ে হাওয়ার তোড়ে
মা ছাড়া হয় পাখি,
বুকে নিতে সেই পাখিদের
আকুল হয়ে থাকি।
বোশেখ ঝড়ে হাওয়ার তোড়ে
ঝরে কাঁচা আম,
আম কুড়াতে যাই রে বনে
ফেলে সকল কাজ।
বোশেখ ঝড়ে হাওয়ার তোড়ে
দুখীর উড়ে ঘর,
থাকবো পাশে সেই দুখীদের
ভাঙবো যে তার ডর।
বোশেখ মানে ঘরের বাহির
ব্যস্ত সারা বেলা,
বোশেখ মানে প্রাণের খেলা
ফুল পুতুলের মেলা।
বৈশাখী মেলা
মণিকাঞ্চন ঘোষ প্রজীৎ
চল না ঋতু চল না মিতু
দেখতে যাবো মেলা;
খুটি মুচি রাখ না এখন
রাখ না পুতুল খেলা।
মেলায় নাকি হাতি ঘোড়া
করছে লুকোচুরি;
সাপের খেলা দইয়ের মেলা
যেন স্বর্গপুরী।
মাটির পুতুল বাঁশের বাসন
যাচ্ছে অনেক পাওয়া;
কাল বোশেখী বটের তলা
সবুজে সবুজ ছাওয়া।
নাগর দোলায় চড়ে চড়ে
যাবো চাঁদের দেশে;
বৈশাখী ওই মেলায় আমার
চোখের কাজল মেশে।
আরো পড়ুন
শীর্ষ সংবাদ: