ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১

অলিম্পিকের সহজ গ্রুপে ব্রাজিল

প্রকাশিত: ০৬:২১, ১৬ এপ্রিল ২০১৬

অলিম্পিকের সহজ গ্রুপে ব্রাজিল

স্পোর্টস রিপোর্টার ॥ দোরগোড়ায় ২০১৬ অলিম্পিক। এবার রিওতে অনুষ্ঠিত হবে ক্রীড়া জগতের মহাযজ্ঞ অলিম্পিক। তার আগে শুক্রবার হয়ে গেল অলিম্পিক ফুটবলের ড্র। রিও ডি জেনেরিওর ঐতিহাসিক মারাকানা স্টেডিয়ামে অনুষ্ঠিত হওয়া ড্রয়ে গ্রুপপর্বে তুলনামূলকভাবে সহজ প্রতিপক্ষ পেয়েছে ব্রাজিল। ‘এ’ গ্রুপে তাদের প্রতিপক্ষ হিসেবে কার্লোস দুঙ্গা পেয়েছেন দক্ষিণ আফ্রিকা, ইরাক ও ডেনমার্ককে। তবে কঠিন গ্রুপে পড়েছে তাদের চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী আর্জেন্টিনা। ‘ডি’ গ্রুপে আর্জেন্টিনা পাচ্ছে পর্তুগালকে। এছাড়া বাকি দুটি প্রতিপক্ষ হচ্ছে হুন্ডুরাস ও আলজিরিয়া। তবে ‘সি’ গ্রুপকেই ডেথ গ্রুপ হিসেবে বিবেচনা করা হচ্ছে। এখানে বর্তমান চ্যাম্পিয়ন মেক্সিকোর সঙ্গে রয়েছে জার্মানি, দক্ষিণ কোরিয়া ও ফিজি। এ ছাড়া ‘বি’ গ্রুপে জাপানের তিন প্রতিপক্ষ নাজিরিয়া, সুইডেন ও কলম্বিয়া। আগামী ৪ আগস্ট স্বাগতিক ব্রাজিল ও দক্ষিণ আফ্রিকার মধ্যকার ম্যাচ দিয়ে যাত্রা শুরু অলিম্পিক ফুটবলের। ২০ অগাস্ট মারাকানা স্টেডিয়ামে অনুষ্ঠিত হবে টুর্নামেন্টের শিরোপা নির্ধারণী ম্যাচটি। ব্রাজিলের কিংবদন্তি ফুটবলার পেলে অনেক ট্রফি জিতলেও কখনও অলিম্পিকের সোনা ছুঁয়ে দেখতে পারেননি। এমনকি কখনও খেলারও সুযোগ হয়নি তার। ব্রাজিলের কাছেও শিরোপাটি অধরায় থেকে গেছে। এবার ঘরের মাঠে অলিম্পিক। এবার সোনা জয়ের স্বপ্নে বিভোর ব্রাজিলীয়ানরা। এমন অবস্থায় কিছুটা রসিকতা করলেন পেলে। জানালেন, তিনি আবার মাঠে ফিরে সোনা জিততে চান। এখন পর্যন্ত সর্বোচ্চ পাঁচবার বিশ্বকাপ জিতেছে ব্রাজিল। যার মধ্যে পেলেই জিতেছেন তিনবার। অনেকের কাছে সর্বকালের সেরা ফুটবলার ১৫ বছর বয়সে সান্তোস দলে খেলার সুযোগ পান। আর সেলেসাওদের হয়ে তার অভিষেক হয় ১৬ বছর বয়সে। অভিষেক ম্যাচে আর্জেন্টিনার বিপক্ষে মারাকানাতে খেলতে নামেন তিনি। ফলে কখনই অলিম্পিকে খেলার সুযোগ পাননি পেলে। তিনি বলেন, ‘যখন আমি ১৬ বছর বয়সে ফুটবল খেলা শুরু করি, তখন জাতীয় দলের হয়ে খেলেছিলাম। আমি সুইডেন বিশ্বকাপের জন্য দলে সুযোগ পেয়েছিলাম। সেবার ব্রাজিল চ্যাম্পিয়নও হয়েছিল। সে সময় পেশাদার ফুটবলাররা অলিম্পিকে খেলার সুযোগ পেত না।’ ব্রাজিল কখনই অলিম্পিকে সোনা জিততে পারেনি। ফাইনালে জায়গা পেয়েও তিনবার রানার্সআপ হয়েছে তারা। আর দু’বার তৃতীয় স্থান। সর্বশেষ লন্ডন অলিম্পিকেও ফাইনাল ম্যাচে হেরেছিলেন নেইমাররা। আগামী ৪ আগস্ট রিও ডি জেনেরিওতে শুরু হবে অলিম্পিক ফুটবলে সোনা জয়ের লড়াই। ক্রীড়াঙ্গনের ১৯ নারী ক্রীড়াবিদ সম্মাননা পাবেন আজ স্পোর্টস রিপোর্টার ॥ বাংলাদেশ ক্রীড়ালেখক সমিতি স্বাধীনতা পরবর্তী সময় থেকে এখন পর্যন্ত বিভিন্ন আন্তর্জাতিক গেমস ও চ্যাম্পিয়নশিপে স্বর্ণজয়ী নারী ক্রীড়াবিদদের সম্মাননা জানাবে। এতে সহযোগিতা করবে ইউনিলিভার বাংলাদেশ লিমিটেড। ‘ফেয়ার এন্ড লাভলি ফাউন্ডেশন ক্রীড়াঙ্গনের অদম্য নারী’ শীর্ষক এই অনুষ্ঠান শনিবার বিকেল ৩টায় অনুষ্ঠিত হবে জাতীয় ক্রীড়া পরিষদ টাওয়ার মিলনায়তনে। এতে প্রধান অতিথি থাকবেন সংস্কৃতিমন্ত্রী আসাদুজ্জামান নূর। এই অনুষ্ঠানে ব্যক্তিগত ও দলগত ইভেন্টে স্বর্ণজয়ী ১৮ নারী এ্যাথলেটদের সম্মাননা জানানো হবে। ক্রেস্ট ও উত্তরীয় দিয়ে। এছাড়া বাংলাদেশের নারীদের খেলাধুলার অগ্রদূত রানী হামিদকে দেয়া হবে আজীবন সম্মাননা। এই ১৮ মহিলা ক্রীড়াবিদদের সর্বাধিক সাতজনই শূটার। এছাড়া কারাতের ৪, এ্যাথলেটিক্স ও তায়কোয়ান্দোর ২ জন করে, সাঁতার, ভারোত্তোলন ও উশুর ১ জন করে। এদের মধ্যে ব্যক্তিগত সর্বাধিক স্বর্ণপদক জিতেছেন শূটার সাবরিনা সুলতানা। ১৯৯৩ সাফ গেমস থেকে ২০০৯ সাফ গেমস পর্যন্ত তিনি অর্জন করেছেন ৯ স্বর্ণপদক। আরেক শূটার শারমিন আক্তার রতœা জিতেছেন দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ৩ স্বর্ণ। স্বর্ণপদকপ্রাপ্ত তিন ক্রীড়াবিদ দেশের বাইরে। কারাতেকা মুন্নী খাতুন সিঙ্গাপুরে, লং জাম্পার ফৌজিয়া হুদা জুঁই মালয়েশিয়া এবং আরেক শূটার লাভলী চৌধুরী আঁখি আছেন যুক্তরাষ্ট্রে। বাকি স্বর্ণজয়ী কন্যারা হলেনÑ সাঁতারু মাহফুজা খাতুন শিলা, ভারোত্তোলক মাবিয়া আক্তার সীমান্ত, তায়কোয়ান্দোবিদ কারমিন ফারজানা রুমি, শাম্মী আক্তার, কারাতেকা, মুন্নি খানম, জ উ প্রু, উসাইনু মারমা, মরিয়ম খাতুন, উশু খেলোয়াড় ইতি ইসলাম, শূটার কাজী শাহানা পারভীন, সৈয়দা সাদিয়া সুলতানা, তৃপ্তি দত্ত, শারমিন আক্তার ও দৌড়বিদ রহিমা খানম যুঁথি। পাকিস্তানের কোচ হচ্ছেন ডিন জোন্স স্পোর্টস রিপোর্টার ॥ শেষ পর্যন্ত বিদেশী কোচ নিয়োগ দিতে যাচ্ছে পাকিস্তান। সব ঠিক থাকলে বিশ্বের সর্বপেক্ষা ‘আনপ্রেডিক্টেবল’ ক্রিকেট দলের পরিচর্যার দায়িত্ব নিতে যাচ্ছেন অস্ট্রেলিয়ার ডিন জোন্স। এশিয়া কাপ ও টি২০ বিশ্বকাপে ব্যর্থতার দায় নিয়ে সম্প্রতি পদত্যাগ করেন ওয়াকার ইউনুস। এরপর আরেক সাবেক আকিব জাভেদের নাম শোনা গেলেও শেষ পর্যন্ত তিনি আর আগ্রহ দেখাননি। নতুন কোচ নিয়োগের জন্য গ্রেট ওয়াসিম আকরাম ও রমিজ রাজাকে নিয়ে গঠিত প্যানেল অসি-জোন্সকে নিয়োগের জন্য পিসিবির (পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ড) কাছে এরই মধ্যে সুপারিশ করেছেন বলে পিটিআইর খবরে জানানো হয়েছে। সাবেক টেস্ট ওপেনার মহসিন খানকে ম্যানেজার ও স্পিনার ইকবাল কাশিমকে প্রধান নির্বাচল করা হতে পারে। অবশ্য নির্বাচক বোর্ডের নির্বাহী (এক্সিকিউটিভ) হতে আরেক গ্রেট ইনজামাম-উল হকে পেতে যাইছে পাকিস্তান। ওয়াকার সরে যাওয়ার পর পরই কোচ হতে আগ্রহ প্রকাশ করেছিলেন বর্তমানে আরব আমিরাতের দায়িত্বে থাকা আকিব। বোর্ডও খুশি হয়েছিল। কিন্তু আকরাম-রমিজের পরামর্শে হুট করেই বিদেশী কোচ চেয়ে বিজ্ঞপ্তি দেয়য়া ক্ষেপে যান তিনি! ২৫ এপ্রিলের মধ্যে আগ্রহীদের আবেদন করতে হবে। এরপর যাচাই-বাছাই করে আকরাম-রমিজের প্যানেল সেটি বোর্ডের কাছে জমা দেবেন। সেখান থেকেই সেরা একজনকে বেছে নেয়া হবে। তবে পিসিবির বিশ্বস্ত সূত্র ইতোমধ্যে পিটিআইকে জানিয়েছে, জোন্সই হচ্ছেন পছন্দের প্রার্থী। শুরুতে বিদেশীদের মধ্যে পছন্দের তালিকায় টম মুডি এগিয়ে ছিলেন। কিন্তু সাবেক অস্ট্রেলিয়া অলরাউন্ডার বর্তমানে আইপিএলে সানরাইজার্স হায়দরাবাদের হয়ে কোচের দায়িত্ব পালন করছেন। অবশ্য বিজ্ঞপ্তি প্রকাশের পর জোন্সই সবার আগে আবেদন করেছিলেন। তিনি বলেছিলেন, ‘প্রতিভান পাকিস্তান ক্রিকেট দলের দায়িত্ব পেলে খুশিই হব।’ বছরের শুরুতে প্রথমবারের মতো আয়োজিত পাকিস্তান সুপার লীগের (পিএসএল) শিরোপাজয়ী ইসলামাদ ইউনাইটেডের কোচ ছিলেন ৫৫ বছর বয়সী জোন্স। ফ্র্যাঞ্চাইজিটির ম্যানেজমেন্টের সঙ্গে জড়িত ছিলেন আকরামও। জোন্স ১৯৮৪-১৯৯২ পর্যন্ত অস্ট্রেলিয়ার হয়ে ৫২ টেস্ট ও ১৬৪ ওয়ানডে খেলেন। বিশ্বকাপ ব্যর্থতায় অধিনায়ক-কোচের পদত্যাগের পর পিসিবির নির্বাচক প্যানেল ভেঙ্গে দেয়া হয়। ইকবাল কাশিমের নাম শোনা গেলেও প্রধান নির্বাচক হিসেবে পিসিবির প্রথম পছন্দ ইনজামাম। শচীন যেখানে চরম ভিতু স্পোর্টস রিপোর্টার ॥ শচীন টেন্ডুলকর। দীর্ঘ দুই যুগ ক্রিকেট বিশ্ব শাসন করেছেন। প্রতিনিয়ত শত ক্যামেরার লেন্স তাকে খুঁজে ফিরেছে। অথচ সেই ক্যামেরাকেই ভয় ভারতীয় গ্রেটের! বিষয়টা আগে বোঝেননি ক্রিকেট ইতিহাসের সেরা ব্যাটসম্যান! তার ক্যাছে ক্যামেরার সামনে দাঁড়ানোর চেয়ে বরং বিশ্বের সবচেয়ে দ্রুতগতির বোলারকে পিটিয়ে রান করাই সহজ মনে হয়! শচীনের এমন অনুভূতি তার বায়োপিক ‘শচীন : এ বিলিয়ন ড্রিম’ এ ক্যামেরার সামনে দাঁড়িয়ে। ফিল্মটি মুক্তি পাবে শীঘ্রই। ‘অনেক বছর ধরে আমি যা করতে চেয়েছি করেছি, আর ক্যামেরা তা বন্দী করেছে। হঠাৎই ক্যামেরায় ধারণ করার জন্য আমাকে নির্দিষ্ট কিছু বিষয় করতে বলা হলো। এটা আমার জন্য ভিন্ন ছিল। বিশ্বাস করুণ, প্রথম বিষয়টিই ভাল ছিল’Ñ মুম্বাইয়ে এক অনুষ্ঠানে বলেন শচীন। ব্রিটিশ পরিচালক জেমস এসকিনের পরিচালনায় হচ্ছে বায়োপিকটি। সেটার টিজারেও শচীনকে দেখা গেছে। ফিল্ম মুক্তি পেলে বোঝা যাবে আর কি কি করতে হয়েছে তাকে। জীবনের চেয়ে বড় তার ক্রিকেট ক্যারিয়ার। সবচেয়ে বেশি আন্তর্জাতিক রান, ম্যাচ, সেঞ্চুরির মালিক। মুভির বিশালতাও তাই সবকিছুকে ছাড়িয়ে যাওয়ার কথা। আর সেখানে স্বয়ং শচীনের উপস্থিতি না থাকলে নয়। কিছু বিষয় ক্যামেরার সামনে অভিনয় করতে হয়, ‘অভিনয় করাটা কখনই আমার স্বপ্ন ছিল না। সন্দেহ নেই ক্রিকেট খেলার চেয়ে অভিনয়টাই বেশি চ্যালেঞ্জিং। আমি খেলাটাই বেশি উপভোগ করেছি।’
×