ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ২৮ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০

মুশফিকের ছক্কা মারার যোগ্যতা নেই!

প্রকাশিত: ০৬:০০, ১৬ এপ্রিল ২০১৬

মুশফিকের ছক্কা মারার যোগ্যতা নেই!

স্পোর্টস রিপোর্টার ॥ বাংলাদেশ জাতীয় ক্রিকেট দলের হয়ে এখন পর্যন্ত ৪৮ টেস্ট, ১৫৮ ওয়ানডে, ৫৭ টি২০ ম্যাচ খেলেছেন মুশফিকুর রহীম। টেস্টে ২২, ওয়ানডেতে ৫৩ ও টি২০তে ১৭ ছক্কা মেরেছেন। অথচ ভারতের পেসার হার্দিক পান্ডে বলছেন মুশফিকের ছক্কা মারার যোগ্যতা নেই! কেন এমনটি বললেন পান্ডে। মুশফিক এত বেশি কথা শুনছেন, কারণ টি২০ ক্রিকেট বিশ্বকাপে ভারতের বিপক্ষে ম্যাচটিতে ছক্কা মারতে গিয়ে আউট হয়ে যান মুশফিক। তাতে দলেরও হারের রাস্তাও যেন তৈরি হয়ে যায়। মাত্র ৩ বলে ২ রান দরকার ছিল। মুশফিকের আউটের পর ২ বলে ২ রান নিলেই জয় নিশ্চিত থাকলেও তা পারা যায়নি। মুশফিকের আউটের পর যে মাহমুদুল্লাহ রিয়াদ ও মুস্তাফিজুর রহমানও আউট হয়ে যান। ১ রানে হার হয় বাংলাদেশের। আর তাই মুশফিককে ইঙ্গিত করে পান্ডে অনেক উচ্চবাচ্য করছেন। এ বছর ২৩ মার্চ দিনটি বাংলাদেশের ক্রিকেটে দুঃখ, কষ্ট ভরা দিনেই পরিণত হয়ে থাকবে। না চাইলেও বাংলাদেশের ক্রিকেট দিনটির কথা মনে রাখবে অনেকদিন। সেদিন যে মৃত্যু হয়েছিল বাংলাদেশের স্বপ্নের। ব্যাঙ্গালুরুর চিন্নাস্বামী স্টেডিয়ামে সেদিন ভারতের বিপক্ষে জয়ের এত কাছে গিয়েও পারেনি মাশরাফি বিন মর্তুজার দল। সেদিন শেষ ওভারে বল হাতে ছিলেন ভারতের ২২ বছর বয়সী হার্দিক পান্ডে। শেষ ওভারে জিততে ১১ রান দরকার ছিল বাংলাদেশের। মাহমুদুল্লাহ ১ রান নিয়ে মুশফিককে স্ট্রাইকে দেন। পরের দুই বলে মুশফিক দুটি বাউন্ডারি হাঁকান। কিন্তু শেষ তিন বলে বদলে যায় ম্যাচের গতিপথ। ৩ বলে বাকি থাকে ২ রান। তাই করা যায়নি। সেই ম্যাচের এতদিন পর এসে সেই ম্যাচ নিয়ে খোলাখুলি আলোচনা করলেন পান্ডে। খেলাধুলা বিষয়ক ভারতীয় গণমাধ্যম স্পোর্টসকিডাকে এক সাক্ষাতকারও দেন। বলেন, ‘ধোনি আমাকে চাপ নিতে বারণ করেছিলেন। সেই কাজটি করল সে (মুশফিক)। কিন্তু ছক্কা হাঁকানো তার সামর্থ্যরে বাইরে। না জিতেও সে উদযাপন শুরু করলে আমি তাকে বললাম, ম্যাচ শেষ হয়ে যায়নি। সবকিছু হারিয়ে বসতে পারে ও। ওরা তখনও দুই রান পেছনে ছিল। রহিম-রিয়াদ দু’জনই নায়কোচিত শট খেলতে গিয়ে উইকেট খোয়ালেন। এখানেই বাংলাদেশের ক্রিকেটারদের অনভিজ্ঞতা ফুটে বেরিয়েছে। যে কোন জ্ঞানসম্পন্ন ক্রিকেটার ওখান থেকে ম্যাচ জিতে ফিরত। কিন্তু তারা জয়ের কাছে গিয়ে হার নিয়ে ফিরেছে।’ শেষ বলের ক্ষেত্রে পরিকল্পনা কেমন ছিল? এমন প্রশ্নের জবাবে পান্ডে বলেন, ‘ধোনি আর আমি দু’জনই মনে করছিলাম ইয়র্কারের চেয়ে ব্যাক অব লেংথ ডেলিভারি বেশি কার্যকর হবে। টেলএন্ডাররা অনেক সময় ইয়র্কারেও চার মেরে বসতে পারেন। কিন্তু গুড লেংথে সেটা পারবেন না।’
×