ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০

উয়েফা চ্যাম্পিয়ন্স লীগের শেষ চারের ড্র অনুষ্ঠিত, ২০১৩-১৪ মৌসুমের মতো এবারও ফাইনালে মাদ্রিদ ডার্বির সম্ভাবনা, সেমিতে ওঠা চার দলেরই দুই লেগ মিলিয়ে জয়ের ব্যবধান ৩-২ গোল

সেমিতে রিয়াল-ম্যানসিটি, বেয়ার্ন-এ্যাটলেটিকো লড়াই

প্রকাশিত: ০৫:৫৯, ১৬ এপ্রিল ২০১৬

সেমিতে রিয়াল-ম্যানসিটি, বেয়ার্ন-এ্যাটলেটিকো লড়াই

স্পোর্টস রিপোর্টার ॥ দুই বছর আগের স্মৃতি কি তাহলে আবারও ফিরে আসছে? ২০১৩-১৪ মৌসুমে উয়েফা চ্যাম্পিয়ন্স লীগের ফাইনাল দেখেছিল ‘মাদ্রিদ ডার্বি’। অর্থাৎ শিরোপা লড়াইয়ে মুখোমুখি হয়েছিল স্পেনের দুই ক্লাব নগর প্রতিদ্বন্দ্বী রিয়াল মাদিদ ও এ্যাটলেটিকো মাদ্রিদ। চলমান ২০১৫-১৬ মৌসুমে আবারও সেই সম্ভাবনা উঁকি দিচ্ছে। কেননা সেমিফাইনালে এ দু’দল একে অপরের মুখোমুখি হচ্ছে না। শুক্রবার সুইজারল্যান্ডের নিওনে সেমিফাইনালের ড্র অনুষ্ঠিত হয়। সেখানে ফাইনালে ওঠার লড়াইয়ে রিয়াল প্রতিপক্ষ হিসেবে পেয়েছে নিজেদের ইতিহাসে প্রথমবার সেমিতে নাম লেখানো ইংলিশ ক্লাব ম্যানচেস্টার সিটিকে। আর এ্যাটলেটিকোতে খেলতে হবে জার্মান পরাশক্তি বেয়ার্ন মিউনিখের বিপক্ষে। অর্থাৎ সেমিফাইনালে নিজ নিজ ম্যাচ জিততে পারলে ফাইনালে আরেকবার দেখা হবে এ্যাটলেটিকো ও রিয়ালের। ২০১৩-১৪ মৌসুমেও সেমিফাইনালে জায়গা করে নিয়েছিল রিয়াল, এ্যাটলেটিকো ও বেয়ার্ন। এবার পরিবর্তন এসেছে শুধু একটি দলে। চেলসির বদলে এবার শেষ চারে উঠে এসেছে ম্যানচেস্টার সিটি। সেবার অবশ্য রিয়াল মাদ্রিদকে খেলতে হয়েছিল বেয়ার্নের বিপক্ষে। আগামী ২৬ ও ২৭ এপ্রিল সেমির প্রথম লেগের ম্যাচে মুখোমুখি হবে ইউরোপের সেরা চার দল। ম্যানসিটির মাঠে প্রথম লেগের ম্যাচ খেলবে রিয়াল মাদ্রিদ। আর বেয়ার্ন মিউনিখের মাঠে খেলতে হবে এ্যাটলেটিকো মাদ্রিদকে। ৩ ও ৪ মে ফিরতি লেগের ম্যাচে মুখোমুখি হবে রিয়াল-ম্যানসিটি ও এ্যাটলেটিকো-বেয়ার্ন। সেমিফাইনালে জয়ী দুই দল শিরোপা জয়ের অন্তিম লড়াইয়ে মাঠে নামবে আগামী ২৮ মে। এবারের ইউরোপ সেরার লড়াইয়ের ফাইনাল ম্যাচ অনুষ্ঠিত হবে ইতালির মিলানে, সান সিরো স্টেডিয়ামে। এর আগে চ্যাম্পিয়ন্স লীগে কেবল এক মৌসুমেই মুখোমুখি হয়েছিল রিয়াল ও ম্যানসিটি। ২০১২-১৩ মৌসুমে ইতিহাদ স্টেডিয়ামে ম্যাচ ১-১ গোলে ড্র হয়। সান্টিয়াগো বার্নাব্যুতে ৩-২ গোলে জেতে রিয়াল। ম্যানচেস্টার সিটির কোচ ম্যানুয়েল পেলেগ্রিনি ২০০৯-১০ মৌসুমে রিয়ালের কোচের দায়িত্বে ছিলেন। মজার বিষয় হচ্ছে, এবার সেমিফাইনালে ওঠা চার দলই কোয়ার্টার ফাইনালের দুই লেগ মিলিয়ে জিতেছে ৩-২ গোলের ব্যবধানে। কোয়ার্টার ফাইনালের প্রথম লেগে ২-০ গোলে হারা রিয়াল নিজেদের মাঠে ক্রিশ্চিয়ানো রোনাল্ডোর হ্যাটট্রিকে উলফসবার্গকে ৩-০ গোলে হারিয়ে টানা ষষ্ঠবারের মতো শেষ চারে জায়গা করে নেয়। টুর্নামেন্টের বর্তমান চ্যাম্পিয়নদের বিদায় করে স্পেনের অন্য ক্লাব এ্যাটলেটিকো। নিজেদের মাঠে বার্সিলোনা জিতেছিল ২-১ গোলে। ভিসেন্টে ক্যালডেরনে ফিরতি লেগে এ্যাটলেটিকো জয় পায় ২-০ গোলে। কাতালানরা শেষ নয় বছরে মাত্র দুইবার সেমিফাইনালে উঠতে ব্যর্থ হলো। পর্তুগালের বেনফিকার মাঠে কোয়ার্টার ফাইনালে ২-২ গোলে ড্র করে টানা পঞ্চমবারের মতো শেষ চারে ওঠে জার্মান চ্যাম্পিয়ন বেয়ার্ন। নিজেদের মাঠে ১-০ গোলে জিতেছিল পেপ গার্ডিওলার দল। প্রথমবার সেমিতে জায়গা পাওয়া ম্যানসিটি গত নিজেদের মাঠে কোয়ার্টার ফাইনালে পিএসজিকে ১-০ গোলে হারায়। প্যারিসে প্রথম লেগের ম্যাচটি ২-২ গোলে ড্র হয়। বার্সিলোনার বিদায়ে অনেকে হতাশ হলেও ইতিহাস বলছে, এটাই হওয়ার কথা ছিল! কেননা ১৯৯২ সালে নতুন নামে, নতুন রূপে পথচলা শুরু পর থেকে এখন পর্যন্ত টানা দুই আসরে কেউই চ্যাম্পিয়ন হতে পারেনি। সেই সত্যিটা এবারও রয়ে গেল। অথচ সপ্তাহ তিনেক আগেও বার্সা ইতিহাস গড়বে এমনই ভাবছিলেন ফুটবল বোদ্ধারা। কিন্তু সেটা আর হচ্ছে না। শুধু তাই নয়, বার্সা এখন লা লিগার শিরোপা ধরে রাখতে পারবে কি না সেটা নিয়েও শুরু হয়েছে গুঞ্জন।
×