ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৫ বৈশাখ ১৪৩১

জাসাসের নববর্ষ বরণ অনুষ্ঠানে খালেদা জিয়া

নতুন বছরে দেশে শান্তি সুদিন ও গণতন্ত্র ফিরে আসবে

প্রকাশিত: ০৫:৫১, ১৬ এপ্রিল ২০১৬

নতুন বছরে দেশে শান্তি সুদিন ও গণতন্ত্র ফিরে আসবে

স্টাফ রিপোর্টার ॥ নতুন বছরে দেশে শান্তি, সুদিন ও গণতন্ত্র ফিরে আসবে বলে ত্যাশা ব্যক্ত করেছেন বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া। বৃহস্পতিবার বিকেলে নয়াপল্টন বিএনপি কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে জাসাস আয়োজিত বাংলা নববর্ষ বরণ অনুষ্ঠান শেষে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন। খালেদা জিয়া বলেন, আশা করছি নতুন বছরে জনগণের কল্যাণ হবে, খুন-গুম থেকে মানুষ মুক্তি পাবে এবং দেশে বেকারদের কর্মসংস্থান হবে। তবে সবচেয়ে বড় কাজ গণতন্ত্র ফিরিয়ে আনতে সবাইকে বিভেদ ভুলে ঐক্য গড়ে তুলে দেশকে এগিয়ে নিয়ে যেতে হবে। এ সময় তিনি দেশের জনগণ ও সকল রাজনৈতিক দলের নেতাসহ বিশ্ববাসীকে বাংলা নববর্ষের শুভেচ্ছা জানান। দেশবাসীর উদ্দেশে খালেদা জিয়া বলেন, আসুন, পেছনের অনেক দুঃখ, কষ্ট, যন্ত্রণা ও বেদনা ভুলে আমরা সকলে হাতে হাত ও কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে গণতন্ত্র পুনরুদ্ধার ও মানুষের কল্যাণের জন্য কাজ করি। দেশকে সামনের দিকে এগিয়ে নিয়ে যাই। যেমন করে শহীদদের রক্তে মাতৃভাষা বাংলা প্রতিষ্ঠা পেয়েছে, তেমনি আমাদের দেশকে শান্তি ও উন্নয়নের দেশ হিসেবে গড়ে তুলি। শুভদিন আমাদের সামনে আসবেই। জাসাস সভাপতি এমএ মালেকের সভাপতিত্বে বর্ষবরণ অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, দলের সিনিয়র নেতা ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন, ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদ, গয়েশ্বর চন্দ্র রায়, ড. আবদুল মঈন খান, শাহ মোয়াজ্জেম হোসেন, আব্দুল্লাহ আল নোমান, ডা. এজেডএম জাহিদ হোসেন, রুহুল কবির রিজভী, ব্যারিস্টার মাহবুব উদ্দিন খোকন, সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল, খায়রুল কবির খোকন, ফজলুল হক মিলন, এমরান সালেহ প্রিন্স, আবদুস সালাম, নিতাই রায় চৌধুরী, কণ্ঠশিল্পী মনির খান, বেবী নাজনীন, ছাত্রদল সভাপতি রাজীব আহসান, সাধারণ সম্পাদক আকরামুল হাসান প্রমুখ। এর আগে বেলা আড়াইটায় জাসাসের বর্ষবরণ অনুষ্ঠান শুরু হয়। বিএনপি চেয়ারপার্সন বিকেল সোয়া ৪টার দিকে অনুষ্ঠানস্থলে উপস্থিত হন। অনুষ্ঠানস্থলে বিএনপি চেয়ারপার্সন খালেদা জিয়া আসার পর প্রথমে জাতীয় সঙ্গীত, তারপর দলীয় সঙ্গীত ও বৈশাখের গান ‘এসো হে বৈশাখ, এসো এসো’ পরিবেশন করা হয়। এরপর জাসাস শিল্পীদের কণ্ঠে একে একে ‘ওকি গাড়িয়াল ভাই’, ‘খাঁচার ভেতর অচিন পাখি কেমনে আসে যায়’, ‘যে জন প্রেমের ভাব জানে না তার সাথে নাই লেনাদেনা’সহ বেশ ক’টি গান পরিবেশিত হয়। জাসাসের শিল্পীরা যখন এসব গান গাইছিলেন তখন অন্য শ্রোতাদের সঙ্গে বিএনপি চেয়ারপার্সনও মাথা নাড়িয়ে তাদের উৎসাহ দেন। জাসাসের বর্ষবরণের এ অনুষ্ঠানে বেবী নাজনীনের পাশাপাশি হাসান চৌধুরী, পিয়াল হাসান, মনির খান, পলি শারমীন, শুভ্র আসাদ, শাহজাদী কোহিনুর পাঁপড়ি, মুন, রেখাসহ সংগঠনের শিল্পীরা ভাটিয়ালী, দেশাত্মবোধক ও মুক্তিযুদ্ধের গান পরিবেশন করেন। এদিকে বিএনপি চেয়ারপার্সনের অনুষ্ঠানস্থলে পৌছার আগেই দুপুরের পর থেকে রাজধানীর বিভিন্ন এলাকা থেকে বিএনপি ও এর অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীরা নয়াপল্টন কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে গিয়ে হাজির হয়। সময় গড়ানোর সঙ্গে সঙ্গে বাড়তে থাকে জনস্রোত। এক পর্যায়ে বিএনপি কার্যালয়ের সামনের সড়কে নেতাকর্মীদের ভিড়ে যানবাহন চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। অনুষ্ঠানে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, আমাদের সংগ্রাম গণতন্ত্রকে ফিরিয়ে আনা। গণতন্ত্রকে ফিরিয়ে নিয়ে আসবই আসব। আগুন জালো হৃদয়ে সমস্ত অন্যায়-অত্যাচরকে দূরে সরিয়ে দিয়ে সত্যিকার গণতন্ত্রকে ফিরিয়ে আনতে হবে। গণতন্ত্র ফেরাতে তিনি সবাইকে হাতে হাত, কাঁধে কাঁধ রেখে সামনে এগিয়ে যাওয়ার আহ্বান জানান।
×