ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১

আম্বেদকরের জন্মজয়ন্তীর আলোচনায় ভারতের হাইকমিশনার

অভিন্ন লক্ষ্যে সম্পর্ক নতুন উচ্চতায় নিয়ে গেছেন দুই প্রধানমন্ত্রী

প্রকাশিত: ০৪:১১, ১৬ এপ্রিল ২০১৬

অভিন্ন লক্ষ্যে সম্পর্ক নতুন উচ্চতায় নিয়ে গেছেন দুই প্রধানমন্ত্রী

কূটনৈতিক রিপোর্টার ॥ ভারতের হাইকমিশনার হর্ষবর্ধন শ্রিংলা বলেছেন, দারিদ্র্য বিমোচন, আর্থ-সামাজিক ন্যয়বিচার নিশ্চিত ও উন্নয়নের ক্ষেত্রে বাংলাদেশ-ভারতের লক্ষ্য একই। ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ও বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এই লক্ষ্য সামনে রেখেই দুই দেশের মধ্যে দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ক নতুন উচ্চতায় নিয়ে গেছেন। শুক্রবার ভারতের অন্যতম সংবিধান প্রণেতা ভীমরাও রামজী আম্বেদকরের ১২৫তম জন্মজয়ন্তীর আলোচনা অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন। রাজধানীর সিরডাপ মিলনায়তনে ঢাকায় ভারতীয় হাইকমিশন ও বাংলাদেশ ভারত মৈত্রী সমিতি ভীমরাও রামজী আম্বেদকরের ১২৫তম জন্মজয়ন্তী উপলক্ষে এই অনুষ্ঠানের আয়োজন করে। এতে প্রধান অতিথি ছিলেন প্রধানমন্ত্রীর রাজনৈতিক বিষয়ক উপদেষ্টা ড. এইচটি ইমাম। অনুষ্ঠানে সূচনা বক্তব্য রাখেন ভারতের হাইকমিশনার হর্ষবর্ধন শ্রিংলা। এতে সভাপতিত্ব করেন বাংলাদেশ-ভারত মৈত্রী সমিতির সভাপতি অধ্যাপক এমিরেটাস ড. একে আজাদ চৌধুরী। এতে মূল বক্তব্য রাখেন আইন কমিশনের সদস্য ড. শাহ আলম। আরও বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ-ভারত মৈত্রী সমিতির সাধারণ সম্পাদক সুবীর কুশারী। অনুষ্ঠানে ভারতের হাইকমিশনার হর্ষবর্ধন শ্রিংলা বলেন, সহস্রাব্দ লক্ষ্য উন্নয়ন মাত্রা বাস্তবায়নে বাংলাদেশ রোল মডেল। সে জন্য ২০২১ সালের মধ্যে বাংলাদেশ নিম্ন আয়ের দেশ থেকে মধ্য আয়ের দেশে পরিণত হতে চলেছে। এছাড়া ২০৩০ সালের মধ্যে জাতিসংঘের টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা অর্জনে দারিদ্র্য ও ক্ষুধামুক্ত দেশ হিসেবে পরিণত হতে নানামুখী পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে বাংলাদেশ। তিনি বলেন, ১২৫ বছর আগে ড. আম্বেদকর জন্মগ্রহণ করেছিলেন। তিনিই ছিলেন ভারতের প্রথম আইনমন্ত্রী। তিনি ভারতের সংবিধান প্রণেতা। তবে আম্বেদকরের জীবনের লক্ষ্য ছিল সামাজিক ন্যয়বিচার প্রতিষ্ঠা। সকল মানুষ ছিল তার কাছে সমান। সব মানুষকে সমান চোখে দেখাটা ছিল তার জীবনের আদর্শ। সে কারণে তিনি আজও অপরিহার্য। অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রীর রাজনৈতিক বিষয়ক উপদেষ্টা ড. এইচটি ইমাম বলেন, ড. আম্বেদকর মানুষের জীবনের জয়গান দেখতে চেয়েছিলেন।
×