ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১

খুলনা শিল্পকলা একাডেমির নির্মাণ কাজ চলছে শম্বুক গতিতে

প্রকাশিত: ০৪:০৩, ১৬ এপ্রিল ২০১৬

খুলনা শিল্পকলা একাডেমির নির্মাণ কাজ চলছে শম্বুক গতিতে

স্টাফ রিপোর্টার, খুলনা অফিস ॥ খুলনায় আধুনিক শিল্পকলা একাডেমি কমপ্লেক্সের নির্মাণ কাজ শুরু হয়েছে কয়েক মাস আগে। ইতোমধ্যে পাইলিং, ভীত ও কলাম নির্মাণের কাজ সম্পন্ন হলেও বিস্তারিত ড্রইং ও ডিজাইন এখনও পাওয়া যায়নি। যে কারণে প্রকল্পের বাস্তবায়ন কাজ চলছে শম্বুক গতিতে। এর ফলে নির্ধারিত মেয়াদে কাজ শেষ করা যাবে কিনা তা নিয়ে সংশয় দেখা দিয়েছে। সংশ্লিষ্ট সূত্র জানা গেছে, ২০১৫ সালের ৬ ডিসেম্বর সংস্কৃতিমন্ত্রী আসাদুজ্জামান নুর এমপি নগরীর ৫৭/১ শেরেবাংলা রোডে খুলনা শিল্পকলা একাডেমি কমপ্লেক্সের নির্মাণ কাজের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেন। এই একাডেমি কমপ্লেক্সেও নির্মাণ ব্যয় ধরা হয়েছে ১২ কোটি ৭ লাখ ৪০ হাজার টাকা। এ কমপ্লেক্সে থাকছে একটি দৃষ্টিনন্দন মুক্ত মঞ্চ, সুদৃশ্য গ্যালারি ও একটি প্রশাসনিক ভবন। ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপনের পর থেকে কার্যাদেশ পাওয়া ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান বিসি-টিএই-ইলোরা জেভি নামক শিল্পকলা একাডেমি কমপ্লেক্সের নির্মাণ কাজ শুরু করে। প্রকল্পটি বাস্তবায়নের দায়িত্বে রয়েছে গণপূর্ত বিভাগ-১ খুলনা। নির্মিতব্য এ কমপ্লেক্সে থাকছে একটি দৃষ্টিনন্দন মুক্ত মঞ্চ, সুদৃশ্য গ্যালারি ও একটি প্রশাসনিক ভবন। ইতোমধ্যে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান মাটি পরীক্ষা এবং কমপ্লেক্স নির্মাণের জন্য পাইলিংয়ের কাজ শেষ করেছে। শেষ হয়েছে ভীত ও কলাম নির্মাণের কাজ। কিন্তু গণপূর্ত বিভাগ থেকে বিস্তারিত ড্রইং ও ডিজাইন এখনও সরবরাহ করা হয়নি। ফলে যেভাবে কাজ এগিয়ে চলছিল তার গতি এখন শ্লথ হয়ে পড়েছে। সূত্র জানায়, নির্মাণ কাজ শুরুর আগে খুলনা শিল্পকলা একাডেমি কমপ্লেক্সের জন্য একটি মূল নক্সা তৈরি করা হয়। ওই নক্সায় কোথায় কোন ভবন ও মঞ্চ হবে তা নির্দেশিত রয়েছে। তবে ভবন ও মঞ্চসহ সমগ্র কমপ্লেক্স নির্মাণ করতে ড্রইং ও ডিজাইনের প্রয়োজন হয়। যেমন মুক্ত মঞ্চের সিঁড়ি কতটুকু মাপের হবে এবং ওই সিঁড়িতে কি পরিমাণ রড ব্যবহার করা হবে, সিঁড়িটি কোন প্যাটার্নের হবে তা বিস্তারিতভাবে ড্রইং ও ডিজাইনে উল্লেখ থাকে। এমনিভাবে কমপ্লেক্সের প্রতিটি কক্ষ, গ্যালারিসহ সকল স্থাপনা নির্মাণের পৃথক বিস্তারিত ড্রইং ও ডিজাইন প্রয়োজন হয়। এই ড্রইং ও ডিজাইন সরবরাহ করার কথা প্রকল্পটি বাস্তবায়নের দায়িত্বে থাকা গণপূর্ত বিভাগ-১ খুলনার। যথাসময়ে বিস্তারিত ড্রইং ও ডিজাইন সরবরাহ না হওয়ায় বর্তমানে কাজ চলছে ঢিমেতালে। চুক্তি অনুযায়ী আগামী ডিসেম্বর মাসে প্রকল্পের মেয়াদ শেষ হওয়ার কথা। এই সময়ের মধ্যে কাজ শেষ করা যাবে কিনা তা নিয়ে সংশয় রয়েছে। সূত্রমতে, যদি নির্ধারিত সময়ে কাজ শেষ করা না যায় তাহলে সময় বৃদ্ধির সঙ্গে প্রকল্পের ব্যয়ও বেড়ে যাবে। এ ব্যাপারে বিসি-টিএই-ইলোরা জেভি নামক ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের কর্ণধার তৌহিদুল ইসলাম আজাদ বলেন, গুণগত মান বজায় রেখে খুলনা শিল্পকলা একাডেমি কমপ্লেক্সের নির্মাণ কাজ এগিয়ে চলছিল। কিন্তু যথাসময়ে ড্রইং ও ডিজাইন না পাওয়ায় নির্ধারিত সময়ে কাজ শেষ করা কঠিন হয়ে দাঁড়াবে। এ ব্যাপারে গণপূর্ত বিভাগ-১ খুলনার নির্বাহী প্রকৌশলী মোঃ জাকির হোসেন বলেন, ড্রইং ও ডিজাইনের জন্য তাদের আন্তরিকতার কোন ঘাটতি নেই। শীঘ্রই এ ব্যাপারে একটি টিম খুলনায় আসবে। আশা করা যায় দ্রুততম সময়ের মধ্যে ড্রইং ও ডিজাইন পাওয়া যাবে।
×